হোয়াটস অ্যাপের 'সর্বনাশে', 'পৌষমাস' সিগন্যাল ও টেলিগ্রামের

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jan 11, 2021 02:54 pm
হোয়াটস অ্যাপের 'সর্বনাশে', 'পৌষমাস' সিগন্যাল ও টেলিগ্রামের

হোয়াটস অ্যাপের 'সর্বনাশে', 'পৌষমাস' সিগন্যাল ও টেলিগ্রামের - ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম নিঃসন্দেহে হোয়াটস অ্যাপ। ডিজিট্যাল যুগে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িয়ে গেছে এই অ্যাপ। তা সত্ত্বেও এবার ইউজাররা হোয়াটস অ্যাপের বিকল্প খুঁজছেন। যার জেরে তরতরিয়ে গুরুত্ব বাড়ছে সিগন্যাল ও টেলিগ্রামের।

সম্প্রতি নতুন প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপ্লিকেশনটি খোলা মাত্রই ফোনের স্ক্রিনে উপস্থিত হচ্ছে এক ইন স্ক্রিন নোটিফিকেশন। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তাদের শর্ত না মানলে ইউজারদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি ডিলিট হয়ে যেতে পারে। জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপ তাদের নীতি বদল করার ফলে আপনার মোবাইল নম্বর, ফোনের তথ্য, আইপি অ্যাড্রেস, গ্রাহকের বার্তা বিনিময়ের প্রকৃতি, লেনদেনের তথ্য, লোকেশন হিস্ট্রি এবং আরো একাধিক তথ্য তারা তুলে দিতে পারে ফেসবুকের কাছে। আর এতেই অস্বস্তিবোধ করছেন বহু ইউজার। জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছেন তারা।

হোয়াটস অ্যাপের এই সর্বনাশে পৌষমাস হয়েছে সিগন্যাল ও টেলিগ্রামের মতো ২টি অ্যাপের।কিছুদিন আগে পর্যন্ত অনেকেই হয়তো এই অ্যাপটির নাম জানতেন না। কিন্তু এখন এ অ্যাপটি ব্যাপক পরিমাণ ডাউনলোড হচ্ছে। এমনকি এখন অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে ডাউনলোড রেটের নিরিখে হোয়াটসঅ্যাপকে ছাড়িয়ে গেছে সিগন্যাল। এই অ্যাপের প্রধান বৈশিষ্ট্য গ্রাহকের সুরক্ষা। এটি, ক্লাউড স্টোরেজে অসুরক্ষিত ব্যাকআপ সেভ করেনা এবং এটি ইউজারের ডেটাবেসটিকে সম্পূর্ণ এনক্রিপ্টেড রাখে। এই অ্যাপে একটি ডার্ক মোডও রয়েছে।

অন্যদিকে টেলিগ্রাম ব্যবহার করছেন অন্ততপক্ষে ৪০ কোটি ইউজার। এই অ্যাপটিতেও এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন রয়েছে। টেলিগ্রামে ২ লাখ লোকের চ্যাটরুম তৈরি করা সম্ভব। তবে টেলিগ্রাম অপেক্ষা সিগন্যালের জনপ্রিয়তা বেড়েছে একটু বেশিই।

হঠাৎ জনপ্রিয়তার কীভাবে? ঘটনা হলো, টেসলা কোম্পানির সিইও এলন মাস্ক একটি টুইট করেন। অনেকেই বলছেন, এরপরই এত জনপ্রিয় 'সিগন্যাল'। এলন, সম্প্রতি টুইট করে জানান যে তিনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি অন্য ইউজারদেরও অ্যাপটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি। মাস্কের এই টুইটটিকে আবার রিটুইট করেন টুইটারের সিইও জ্যাক ডর্সি। ফলে, একদিকে হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তিত প্রাইভেসি পলিসি, অন্যদিকে এই টুইট পোস্ট, এই দুই কারণেই হুড়মুড়িয়ে সিগন্যালের উত্তোরণ বলে মনে করছেন ইউজাররা।


হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি নীতিতে পরিবর্তন, তথ্য চলে যাচ্ছে ফেসবুকে

বিতর্কের কেন্দ্রে হোয়াটসঅ্যাপ। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে, ইউজারদের নোটিফিকেশন পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়ে দেয়, তারা পরিষেবা সংক্রান্ত শর্তাবলী ও গোপনীয়তা রক্ষা নীতিতে পরিবর্তন করেছে। এরফলে ইউজারদের তথ্য ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পেরেন্ট সংস্থা ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করবে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে এর ফলে ইউজারদের কোনো তথ্য স্টোর বা সংরক্ষিত করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপের এই ঘোষণার পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড়। গ্রাহকদের কাছে যে কারণে হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, সেই এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন-কেই হোয়াটসঅ্যাপ বদলে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান টুইট করে আশ্বাস দিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য ফেসবুককে দেয়ার বিষয়ে নীতিতে কোনো বদল হচ্ছে না।

হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত নীতিতে আমরা যে বদল আনার কথা ঘোষণা করেছি, সে বিষয়ে গত কয়েক দিন ধরে অনেক আলোচনা হচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি কিছু কথা জানাতে চাই। সারা বিশ্বে ২০০ কোটি মানুষের ব্যক্তিগত আলাপচারিতা গোপনীয় রাখার বিষয়ে দায়বদ্ধ হোয়াটসঅ্যাপ। আপনারা প্রিয়জনের সঙ্গে যে বার্তার আদানপ্রদান করছেন বা হোয়াটসঅ্যাপ কল করে যে কথাবার্তা চালাচ্ছেন, তা আপনাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এ বিষয়ে আমাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসছে না। ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’-এর ফলে আমরা আপনাদের ব্যক্তিগত মেসেজ বা কল দেখতে ও জানতে পারি না। ফেসবুকও এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাচ্ছে না। আমরা সারা বিশ্বে এই প্রযুক্তি বজায় রাখার বিষয়ে দায়বদ্ধ।’

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us