কলকাতার ছবিতে অভিনয় : মোশাররফ করিমের ভাবনা

বিভাস রায়চৌধুরী | Feb 08, 2021 05:55 pm
মোশাররফ করিম

মোশাররফ করিম -

 

তিনি বাংলাদেশের শাহরুখ খান। সহজে ধরাই যায় না। তার সঙ্গে যোগাযোগ হলেই তিনি বলেন তিনি ঢাকার বাইরে। শেষমেশ তাকে যখন ফোনে পাওয়া গেল, তিনি তখন সিলেটে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। মোশাররফের স্ত্রী, অভিনেত্রী জুঁই করিমের মধ্যাস্থতায় আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বললেন মোশাররফ করিম।

প্রশ্ন : ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায়। এপার বাংলার ছবিতে এই প্রথম আপনি। কেমন লাগছে?

মোশাররফ করিম : বেশ ভালো লাগছে। এবং আমি খুব উৎসাহী। যত্ন নিয়ে কাজটা করেছি। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।

প্রশ্ন: কলকাতার সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে কেমন লেগেছিল?

উত্তর: এর আগেও প্রস্তাব পেয়েছি। করা হয়ে ওঠেনি নানা কারণে। কিন্তু ব্রাত্যদা যখন এ বার চরিত্রটার কথা বললেন, গল্পটি বললেন, তখন ভালো লাগল। পরে কাজটা করতে এসে মনে হয়েছে, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি।

প্রশ্ন : কলকাতায় আরো ছবি করার ইচ্ছে আছে?

উত্তর : অবশ্যই আছে। ঠিকঠাক চরিত্র পাওয়া গেলে, ভালো গল্প পাওয়া গেলে ভালো লাগবে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে আপনি তুমুল জনপ্রিয় টেলিভিশন, নাটক এবং ধারাবাহিকের জন্য। সিনেমায় উপস্থিতি তুলনায় কম। তাও বিশেষ ধারার চলচ্চিত্রেই অভিনয় করেন। তথাকথিত মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবিতে আকর্ষণ বোধ করেন না?

উত্তর : ‘তথাকথিত’ যেহেতু বললেন, তাই বলি— না, আকর্ষণ বোধ করি না।

প্রশ্ন : গ্রুপ থিয়েটারে অভিনয় কতটা সমৃদ্ধ করেছে?

উত্তর : হ্যাঁ, ওটা আসলে একটা বড় সময়। একটা চমৎকার সময়। একটি চমৎকার দলের সঙ্গে থাকা। আমার অনেকটা বেড়ে ওঠা ওখানেই। সমৃদ্ধ হয়েছি অনেকটাই।

প্রশ্ন : টেলিভিশন নাটকে আপনার ‘সেকান্দার বক্স’, ‘মাহিন’, ‘অ্যাভারেজ আসলাম’, ‘ঘাউড়া মজিদ’ চরিত্রগুলো ইউটিউবের দৌলতে বিশ্বের বাঙালির কাছে খুব প্রিয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটকের ভুবন নিয়ে কিছু বলুন।

উত্তর : হ্যাঁ, টেলিভিশনেই বেশি কাজ হয়েছে। আমি এবং আমার মতো অনেকেই কাজ করেছি। আসলে টেলিভিশন নাটকের ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। অনেক কাজ করলেও সন্তুষ্ট হইনি। আবার অনেক কাজ আছে, যা আমাকে তৃপ্ত করেছে। নানা সীমাবদ্ধতা আছে। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, তারপর অপ্রচারজনিত সীমাবদ্ধতা। এ সবের মধ্যেই টেলিভিশন নাটক এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রশ্ন : ‘ডিকশনারি’ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয়েছিল করোনা আসার আগে। তারপর দীর্ঘ লকডাউন পর্বের পর বাকি কজ শেষ করতে কতটা সমস্যা হলো?

উত্তর : আমার পুরো শ্যুটিংটা লকডাউনের আগেই হয়ে গিয়েছিল। পরে আবার ডাবিং-এর জন্য কলকাতায় আসি। গল্পটা নিয়ে, চরিত্রটা নিয়ে ব্রাত্যদা যা ভেবেছেন, আমার ভাবনাও তেমনই ছিল। পরিচালক এবং অভিনেতার ভাবনা মিলে গেলে সেটা তো দারুণ হয়। পরেরটুকু দর্শক বললেই ভালো হবে। এটুকু বলব আমি অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি।

প্রশ্ন : সিনেমায় আপনার চরিত্রটি কী?

উত্তর : পরিশ্রমী একটা মানুষ। কারখানার মালিক। একটা চাপ আছে, সেটা ইংরেজি না জানা নিয়ে। আসলে পুরোটা এখন ব্যাখ্যা করতে চাইছি না। সিনেমাটা দর্শক দেখুন। গল্পের রহস্যটা থাকুক।

প্রশ্ন : পৌলমী বসুর সঙ্গে এক ছবিতে অভিনয় করে কেমন লাগল?

উত্তর : দারুণ অভিনেত্রী। তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন : পরিচালক হিসেবে ব্রাত্য বসু কেমন?

উত্তর : উনি বহুমুখী প্রতিভা। চমৎকার অভিনয় করেন। লেখেন চমৎকার। পরিচালক হিসেবেও চমৎকার।

প্রশ্ন : থিয়েটার, টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কী মিল বা অমিল পান?

উত্তর : বললে অনেক ভাবেই বলা যায়, কিন্তু কাজটা আসলে অভিনয়ই করা। আমি এ ব্যাপারে কোনো কৌশলের আশ্রয় নিই না। অভিনয়টাই করে যাই। মোটা দাগের অভিনয় আর ভালো অভিনয় এ ভাবে মানি না। কোনো পার্থক্যও নেই বলেই মনে হয়।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের এই প্রজন্মের ভালো চলচ্চিত্রকার কারা?

উত্তর : অনেকেই। এই প্রজন্ম বলতে আসলে কী বলব... বরং আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি... তৌকির আহমেদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, ফাখরুল আরেফিন খান— এমন অনেক নামই আসবে। আরো অনেকেই যুক্ত হবে এই তালিকায়।আপাতত ডিকশনারি উল্টে পাল্টে দেখছি…

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us