লকডাউনে ছাড় আছে যেসব বিষয়ে

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Apr 12, 2021 03:16 pm
লকডাউনে ছাড় আছে যেসব বিষয়ে

লকডাউনে ছাড় আছে যেসব বিষয়ে - ছবি সংগৃহীত

 

আবার লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য চলাচলে নিয়ন্ত্রণে বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িকপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এই সময়ে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে শিল্প-কারখানা।

এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা গ্রহণের প্রয়োজনে টিকার কার্ড দেখিয়ে বের হওয়া যাবে। এছাড়া ওষু, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসা সেবা, লাশ দাফন বা সৎকার- ইত্যাদি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যাবে।

কয়েক দিন ধরেই সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল একটি 'সর্বাত্মক লকডাউনের' কথা। সেখানে বলা হচ্ছিল কোন শিল্প কারখানা খোলা রাখা হবে না এবার।

কিন্তু রবিবার পোশাক শিল্পের মালিক সংগঠনগুলো দাবি জানিয়েছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখার কথা। সেই ধারাবাহিকতায় প্রজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, এবারও ছাড় দেয়া হলো শিল্প-কারখানাগুলোকে।

তবে সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট-সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহন ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ রাখা হয়নি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ এসব বিধিনিষেধ জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সেখানে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে বলে বলা হয়েছে।

তবে এই প্রজ্ঞাপনেও লকডাউন বা সাধারণ ছুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। যদিও সরকারর বিভিন্ন পর্যায় থেকে লকডাউন শব্দ ব্যবহার করে সেটা কঠোরভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

যেসব ক্ষেত্রে ছাড়
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-কারখানা চালু রাখার কথা যেমন বলা হয়েছে। অন্যদিকে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং রাতে ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় এবং সরবরাহ করা যাবে।

উন্মুক্ত জায়গায় কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা-বেচা করা যাবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

দেশের আদালত বা বিচার কার্যক্রম নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ এবং তারাবির নামাজ হবে। তবে এসব নামাজে জমায়েত কীভাবে করা যাবে- সে ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্দেশনা জারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বোরো ধান কাটার জন্য জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন। কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সমন্বয় করার জন্য।

বিধি-নিষেধগুলো কার্যকর করতে সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন টানা দুই মাস পরিবহন, মার্কেট ও অফিস-আদালত বন্ধ থাকে।

এই বছরের মার্চ থেকে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বেড়ে যাওয়ায় সরকার এপ্রিলের শুরুতে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই লকডাউনের সময় বাংলাদেশের সাথে সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।

সূত্র : বিবিসি


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us