করোনা প্রতিরোধে ৩য় ডোজের দরকার!

অন্য এক দিগন্ত | Apr 16, 2021 09:33 am
করোনা প্রতিরোধে ৩য় ডোজের দরকার!

করোনা প্রতিরোধে ৩য় ডোজের দরকার! - ছবি : সংগৃহীত

 

ফাইজারের সিইও জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য লোকজনকে দুই ডোজের পর ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয় আরেক ডোজ নিতে হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সিভিএস হেলথের সাথে সিএনবিসির আয়োজন করা এক প্যানেল আলোচনায় আলবার্ট বরলা বলেন, দেহে পুরোপুরি করোনা প্রতিরোধ সক্ষমতা সৃষ্টির জন্য ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় একটি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, এমনও সম্ভব যে লোকজনকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিবছরই টিকা গ্রহন করার দরকার হবে।
তিনি বলেন, পোলিওর ক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য এক ডোজ টিকাই যথেষ্ট। কিন্তু আবার ফ্লুর ক্ষেত্রে প্রতি বছরই টিকা গ্রহণ করতে হয়।
তিনি জানান, কোভিড ভাইরাসকে পোলিও ভাইরাসের মতো নয়, বরং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো মনে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, ফাইজারের টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ছয় মাস পর কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৯০ ভাগের চেয়েও বেশি কার্যকর হচ্ছে।

অবশ্য, সুরক্ষা ছয় মাসের বেশি নিশ্চিত হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য আরো তথ্য প্রয়োজন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাইডেন প্রশাসনের কোভিডবিষয়ক প্রধান বিজ্ঞান কর্মকর্তা ডা. ডেভিড কেসলার বলেন, করোনার ভ্যারিয়েন্ট অব্যাহতভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকায় আমেরিকানদের সম্ভবত বুস্টার ডোজ নিতে হতে পারে।
তিনি করোনাভাইরাস রেসপন্সবিষয়ক হাউজ সিলেক্ট সাবকমিটিতে বলেন, আমরা অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়ার স্থায়িত্বের ওপর সমীক্ষা চালাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা শক্তিশালী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাচ্ছি। তবে ভ্যারিয়েন্টও চ্যালেঞ্জিং বিষয়। ফলে টিকার জন্য আরো কঠোরভাবে কাজ করতে হবে।
ফাইজার ও এর জার্মান অংশীদার বায়োনটেক গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়ে সমীক্ষা চালানোর কাজ শুরু করেছে।
বুস্টার ডোজটি ভবিষ্যতের ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তৃতীয় ডোজ অ্যান্টিবডি সৃষ্টিতে অনেক ভালো কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রায় ১৪৪ স্বেচ্ছাসেবীকে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এদেরকে গত বছর টিকা দেওয়া হয়েছিল।

ফাইজারের বর্তমান টিকাটি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অনেক দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছে।

মার্চে মডার্না ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথও সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বুস্টার ডোজের পরীক্ষা শুরু করেছে। ২০২১ সালেই বুস্টার ডোজ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ১২৩.৯ মিলিয়ন আমেরিকানকে, জনসংখ্যার ৩৭.৩ ভাগ, অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ৭৬.৬ মিলিয়ন আমেরিকানকে দুই ডোজ টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।

সূত্র : ডেইলি মেইল

করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর দেখা দিতে পারে ৪ সমস্যা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জেরবার মানবজাতি। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে মানুষ। বিষয়টি নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেখা যাচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে কোভিড সেরে গেলেও, তার বেশ কিছু উপসর্গ থেকে যাচ্ছে। সাধারণত বাড়াবাড়ি না হলে দুই সপ্তাহ সময় লাগছে নেগেটিভ হতে। কিন্তু কারো মধ্যে রয়ে গেছে করোনার মূল কিছু উপসর্গ। সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণা এমনই বলছে। দেখে নেয়া যাক সেই উপসর্গ কী কী।

১. শ্বাসকষ্ট : কোভিডে আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট একটি কমন উপসর্গ। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে আক্রান্তদের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যারা সামান্য উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের সেরে যাওয়ার পরও শ্বাস কষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।

২. স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া : করোনার অন্যতম উপসর্গ স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া। বিশেষত যাদের উপসর্গ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছয়নি, তাঁদের মধ্যে স্বাদগন্ধহীনতা দেখা যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে করোনা মুক্ত হওয়ার পরও এই উপসর্গ থেকে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের অনুমান, মূলত নার্ভাস সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলছে করোনা তাই এই সমস্যা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে।

৩. ক্লান্তি ভাব : সারা দিন ক্লান্তি ভাব থেকে যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। করোনায় আক্রান্ত হলে এমনিই ক্লান্তি থাকছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও থেকে যাচ্ছে ক্লান্তি ও দুর্বল ভাব।

৪. মনোযোগে সমস্যা : এছাড়াও আরো একটি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে যেটি নিয়ে গবেষণা করছেন সুইডেনের বিশেষজ্ঞরা। দেখা যাচ্ছে মস্তিষ্কের উপরেও প্রভাব ফেলছে করোনা। করোনা মুক্ত হওয়ার পরও কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে অনেকেরই।

সূত্র : নিউজ ১৮


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us