ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ও ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মধ্যে পার্থক্য কী?

অন্য এক দিগন্ত | Jul 29, 2021 07:46 am
ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ও ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মধ্যে পার্থক্য কী?

ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ও ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মধ্যে পার্থক্য কী? - ছবি : সংগৃহীত

 

বিশ্বায়নের যুগে কত কী বদলেছে! উন্নত হয়েছে মানব সভ্যতা। সেই কড়ি লেনদেনের যুগ পেরিয়ে আমরা এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) যুগে এসে দাঁড়িয়েছি। ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা এখন গোটা বিশ্বের আলোচ্য বিষয়। এই ক্রিপ্টোকারেন্সির পোশাকি নাম হল বিটকয়েন (Bitcoin)। বহু মানুষ বিটকয়েন বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন, কিন্তু তার আগে কিছু জিনিস জেনে নিতে হবে। যেমন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ (Crypto exchange) এবং ক্রিপ্টো ওয়ালেট (Crypto wallet) কী সেটা জানতে হবে। নাম ও কাজেএক মনে হলেও দু'টি জিনিসই একে অপরের থেকে আলাদা। এই প্রতিবেদনে বিশদে আলোচনা করা হল।

ক্রিপ্টো ওয়ালেট কী?

বিটকয়েন ওয়ালেট (Bitcoin Wallet) একধরনের ভার্চুয়াল পকেট। যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি সঞ্চিত করে রাখা হয়। ডিজিটাল মুদ্রা চোখে দেখা যায় না। এটা অদৃশ্য মুদ্রা। যা কতগুলো কোড ওয়ার্ডের দ্বারা বোঝা যায়। তাই ডিজিটাল মুদ্রা কেনার পর এটাকে ক্রিপ্টো ওয়ালেটে রাখা হয়। এর পর যতবার বিটকয়েনের খরচ হচ্ছে বা বিটকয়েনের সঞ্চয় হচ্ছে, সব প্রক্রিয়াই এই ক্রিপ্টো ওয়ালেটের সাহায্যে হয়। ক্রিপ্টো ওয়ালেট বিভিন্ন ভাগের হতে পারে। যেমন - ডেস্কটপ ওয়ালেট (Desktop wallet), মোবাইল ওয়ালেট (Mobile Wallet) হার্ডওয়্যার ওয়ালেট (Hardware wallet), ওয়েব ওয়ালেট (Web Wallet)।

ডেস্কটপ ওয়ালেটের জন্য অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস পেতে ডেস্কটপের প্রয়োজন হয়। তবে বিভিন্ন কোম্পানির ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে, বিভিন্ন ধরনের ওয়ালেট পরিষেবা দেয়া হয়। এ-ক্ষেত্রে যেটা সুবিধার সেটা চয়ন করা বাঞ্ছনীয়।

ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক ওয়ালেট হলো মোবাইল ওয়ালেট। যেকোনো সময় যেকোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের কাজে ব্যবহার করা যায় মোবাইল ওয়ালেট। তবে এই ওয়ালেট অনেক ক্ষেত্রে নিরাপদ না-ও হতে পারে।

হার্ডওয়্যার ওয়ালেট হলো সব চেয়ে নিরাপদ। কারণ, সঞ্চিত বিটকয়েনগুলো হাই সিকিউরিটির মধ্যে থাকে। এই কারণে, হার্ডওয়্যার ওয়ালেট অন্যগুলোর থেকে একটু ব্যয়বহুল।

ওয়েব ওয়ালেট হলো শুধুমাত্র ওয়েবের মাধ্যমে অ্যাকসেস পাওয়ার একটা মাধ্যম। এ-ক্ষেত্রে সব সময় পার্সোনাল কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখতে হয়। আর যদি সেটা না হয় তাহলে সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কী?

ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ হলো এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্যে বিটকয়েনের বেচাকেনা করা হয়। এখান থেকেই ক্রিপ্টো কারেন্সির বিনিয়োগে লাভ অর্জন করা যায়। এছাড়াও ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সাধারণ মুদ্রাকে বিটকয়েনে রূপান্তর করা যায়। ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে বিটকয়েন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়। প্রতি দিনের লেনদেনে কখন বিনিয়োগ করলে কতটা সুবিধা হবে সেই সংক্রান্ত কাজ করে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ, ঠিক যেমনটা শেয়ার বাজারে কাজ হয়। এখান থেকেই বোঝা যায় বিটকয়েন কখন কেনা বা বিক্রি করা উচিত। ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ তার ইউজারদের ওয়ালেট সরবরাহ করে।

ক্রিপ্টো ওয়ালেটে দীর্ঘ সময় ধরে ডিজিটাল মুদ্রা সংরক্ষণ করে রাখা যায়। অন্য দিকে, এক্সচেঞ্জের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল বিটকয়েনে বেচা-কেনার পরিষেবা দেওয়া। ডিজিটাল ওয়ালেটের ইউজার তার তহবিলের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায়। কিন্তু, ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ইউজারদের নিজের তহবিলের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে দেয় না। এ-ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকে। ক্রিপ্টো ওয়ালেট এবং ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ উভয়ই ইউজারদের জন্য বিভিন্ন পরিষেবা সরবরাহ করে। এই সবই উদ্দেশ্য অনুযায়ী করা হয়। সব ক্ষেত্রেই, সুরক্ষাগুলি একে অপরের থেকে আলাদা হয়।

অতএব এটা বুঝতে অসুবিধা নেই যে ওয়ালেট এবং এক্সচেঞ্জ দু'টিরই আলাদা আলাদা কাজ। কিন্তু, দু'টিই ব্যবসায়ী বা বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়।

সূত্র : নিউজ ১৮

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us