নির্যাতন, অত্যাচারের গল্প শোনালেন বাগরামের সাবেক বন্দিরা

অন্য এক দিগন্ত | Sep 28, 2021 07:39 am
নির্যাতন, অত্যাচারের গল্প শোনালেন বাগরামের সাবেক বন্দিরা

নির্যাতন, অত্যাচারের গল্প শোনালেন বাগরামের সাবেক বন্দিরা - ছবি : সংগৃহীত

 

লম্বা, অন্ধকার বারান্দা ধরে হাঁটছেন হাজিমুমিন হামজা। এমন সাবধানে তিনি পুরো এলাকাটা ঘুরে ঘুরে দেখছেন যেন আগে কখনো এই জায়গায় আসেননি। কালো পাগড়ি ও ঐতিহ্যবাহী দুই প্রস্থ পোশাক পরিহিত ৩৬ বছর বয়সী দাড়িওয়ালা এ ব্যক্তি তালেবান সহযোদ্ধাদের জন্য এমন এক জায়গার পথপ্রদর্শক, পারলে যার নাম পর্যন্ত তিনি ভুলে যেতে চান। বারান্দার এক পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটা চেয়ারে তার চোখ থেমে যায়।

'ওরা এই চেয়ারে আমাদের হাত-পা বেঁধে বৈদ্যুতিক শক লাগাত। কখনো কখনো তারা চেয়ারটাকে মারধরের জন্যও ব্যবহার করত,' হামজা বলেন। ২০১৭ সালের থেকে বাগরাম কারাগারে বন্দী থাকার সময় যে অত্যাচার সহ্য করেছিলেন, এভাবেই তার বর্ণনা দিলেন হামজা। গত মাসে কাবুলের পতনের সূত্রপাত হলে তিনি বাগরাম থেকে পালাতে সক্ষম হন ।

মার্কিন আক্রমণে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর তালেবান যুদ্ধ শুরু করলে ২০০১ সালের শেষের দিকে সশস্ত্র যোদ্ধাদের অবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘পারওয়ান বন্দিশালা’ স্থাপন করে, যা বাগরাম বা ‘আফগানিস্তানের গুয়ানতানামো’ নামেও পরিচিত।

পারওয়ান প্রদেশের বাগরাম বিমান ঘাঁটির মধ্যে অবস্থিত কারাগারটি অস্থায়ী হওয়ার কথা হলেও কিন্তু শেষ পর্যন্ত অন্য রকমই হয়। ১৫ আগস্টে তালেবান আফগানিস্তান পুনর্দখলের কয়েক দিন আগে কারাগারের ফটক ভেঙে ফেলার আগ পর্যন্ত এখানে ৫ হাজারেরও বেশি বন্দীকে আটকে রাখা হয়েছিল।

সুলতান ২০১৪ থেকে আগস্ট ২০২১-এর মধ্যে বাগরাম কারাগারে ছিলেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় উন্নত গোয়েন্দা কৌশল হিসেবে পরিচিত নির্যাতনে তিনি তার দাঁত হারিয়েছেন। মানবাধিকার গোষ্ঠীগলো দাবি করে, এই জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নির্যাতনস্বরূপ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারক। ৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার পারিবারিক নাম জানাতে চাননি, তবে তিনি মুখ হাঁ করে তার উপর করা নির্যাতনের নমুনা দেখান।

কারাগারের দেয়ালে অবস্থিত একটি বড় ফলক জেনেভা সম্মেলনে গৃহীত নিয়মগুলো ইংরেজি ও দারিতে লেখা আছে। তবে ফলকটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তালেবান সদস্যদের কেউই তা পড়তে আগ্রহী ছিলেন না।

'উল্লিখিত কর্মকাণ্ডগুলো যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গায় নিষিদ্ধ থাকবে (...) - জীবন ও ব্যক্তির প্রতি সহিংসতা, বিশেষ করে সব ধরনের হত্যাকাণ্ড, অঙ্গচ্ছেদ, নিষ্ঠুর আচরণ এবং নির্যাতন,' ফলকটিতে লেখা আছে।

কিন্তু তারা সবাই জানেন, বাগরামে এই নিয়মগুলোর কোনোটাই প্রযোজ্য নয়। সাবেক বন্দীরা জানান, কেউ যদি বাগরামে প্রবেশ করে, তাহলে তার বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। এবং যদি কেউ এই জেলে ঢোকার আগে শত্রু যোদ্ধা নাও হয়, তবে বের হওয়ার সময় অবশ্যই শত্রু যোদ্ধায় পরিণত হবে।

২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলাকালীন মার্কিন যুদ্ধে হাজার হাজার বন্দীর মধ্যে কেউই যুদ্ধবন্দীর মর্যাদা লাভ করেনি।

২০০২ সালে কারারুদ্ধ অবস্থায় দুজন আফগান বন্দীর মৃত্যুর পর এই জেলখানা অভ্যন্তরীণ তদন্তের মুখোমুখি হয় এবং সাতজন আমেরিকান সৈন্য নির্যাতন করার অভিযোগের সম্মুখীন হয়। অবশ্য অত্যাচার অব্যাহত থাকে এবং শিগগিরই 'বাগরামের অলিখিত নিয়ম'-এর অংশ হয়ে ওঠে।

বৈদ্যুতিক শক দেয়ার ছাড়াও আরো অনেক নির্যাতনে কথাই মজার মনে আছে : ঘণ্টার পর ঘণ্টা উল্টা করে ঝুলিয়ে রাখা, কারাকক্ষের ছাদের গরাদের মধ্য দিয়ে থেকে ঘুমন্ত বন্দীদের ওপর পানি ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে দেয়া, সপ্তাহের পর সপ্তাহ বা মাসের পর মাস ধরে কোনো ধরনের আলো ছাড়া বা সারক্ষণ শুধু একটা তীব্র উজ্জ্বল বাল্ব জ্বালানো অবস্থায় একটা ক্ষুদ্র, জানালাহীন, নির্জন প্রকোষ্ঠে বন্দী করে রাখা।

সাবেক বন্দীদের মতে, তথাকথিত 'গোপন কারাগার'-এর অস্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকার করলেও, যারা ওই কারাপ্রকোষ্ঠে একাকী কারাবাস ভোগ করে, তাদের কেউই সেখান থেকে মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় বের হয় না।

'যৌন নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন ব্যবহার করা হতো এখানে। ওরা আমাদের পুরুষত্ব হানি করার জন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করত,' হামজা জানান। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। 'যা ঘটেছিল তা মনে করাটাও আমার পক্ষে মানসিকভাবে কঠিন। নির্যাতনের বেশির ভাগই আফগান কর্মচারীরা করত, কখনো কখনো আমেরিকানরাও করত। কিন্তু নির্দেশ আসত যুক্তরাষ্ট্র থেকে।'

মার্কিন হামলার পর ১৬ বছর বয়সে হামজা তালেবানে যোগ দেন। তার চোখে আমেরিকানরা ছিল তার স্বদেশ দখলকারী হানাদার। তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে একজন মুসলিম এবং আফগান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে দেখেছিলেন। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগে ক্লাস শেষে তাকে বোমা এবং আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

২০১৭ সালের গ্রীষ্মে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে কাবুলের সাফারিয়াদ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তারপর অন্য দুটি বন্দিশালায় রাখা শেষে চার মাস পরে তাকে বাগরামে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, যে সমস্ত জেলখানার রাখা হয় সেসব জায়গাতেই তাকে নির্যাতন করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, 'বাগরামে ৮৫ ভাগ কয়েদি ছিল তালেবান, বাকিরা দায়েশ [আইসিস বা আইসিল] সদস্য। মার্কিন ও আফগান বাহিনী তাদের অভিযান পরিচালনা করে কোনো তালেবান সদস্যদের খুঁজে না পেলে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে যেত। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রমাণের অভাবে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক বছর ধরে এখানে বন্দী ছিল,' হামজা বলেন।

তালেবানের একটি দলসহ সাবেক বন্দিরা কারাগারের ব্যারাকের কক্ষগুলোর মধ্য দিয়ে হাঁটছিল এবং ঘরের মধ্যে যে সব অবশিষ্ট পড়ে ছিল তার ছবি তুলছিল। পোশাক, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং চায়ের কাপ মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বন্দীদের মতে, এই কক্ষে ৩৪ জন বন্দী থাকত। দেয়ালগুলো পশতু ও দারিতে লেখায় ভর্তি।

'কয়েদীরা দিনপঞ্জীর মতো দেয়ালে নিজেদের স্মৃতি লিখে রেখেছিল। আমরা লেখা লিখতাম কারণ মার্কিনিরা আমাদের হত্যা করলে যেন আমরা আমাদের সাক্ষ্য রেখে যেতে পারি। যাতে সবাই জানতে পারে আমরা এখানে বন্দী ছিলাম,' হামজা বলেন।

'শুরুতে আমাদের কেবল কমলা রঙের পোশাক দেয়া হতো। কিন্তু আমরা এই রঙের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি এবং তারপর থেকে আমাদের আরো ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালো পোশাক দেয়া হলো। জনপ্রতি একখানা কাপড় দেয়া হতো। প্রত্যেকের জন্য একটি মাত্র কম্বল ছিল, যদিও শীতের মাসে ঠাণ্ডা পড়ত। কখনো কখনো আমাদের নতুন বন্দীদের সাথে কম্বল ভাগ করে নিতে হতো। কিছু কয়েদীর কম্বল পাওয়ার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল।'

একটি কারাকক্ষের সামনে দারি ও ইংরেজিতে একটি বড় ফলক কারাগারের নিয়মকানুন ব্যাখ্যা করা হয় :
নিয়ম ১ : কোনো কিছু নিক্ষেপ করা যাবে না। কোনো বস্তু বা তরল পদার্থ কারারক্ষীদের উপর নিক্ষেপ বা আক্রমণ করা যাবে না। তুমি আমাদের রক্ষীদের উপর কিছু ফেলতে পারবে না।
নিয়ম ৩ : কোনো কিছু ছিটানো যাবে না। তুমি আমাদের প্রহরী বা অন্য বন্দীদের উপর থুথু ফেলতে পারবে না।
নিয়ম ৭ : কোনো ধরনের অবাধ্যতা করা যাবে না। তোমাকে পাহরাদারদের সকল আদেশ মেনে চলতে হবে। কোনো ব্যতিক্রম হবে না।

কিন্তু নিয়মগুলো সব সময় মানা হয়নি।

হামজা বলেন, 'আমি এক কারারক্ষকের কাছ থেকে ১,০০০ আফগানি (১১.৫০ ডলার) দিয়ে একটি ফোন কিনেছিলাম। আমরা দেয়ালে একটি গর্ত খুঁজে পাই। যখন আমরা নেটওয়ার্ক সংযোগ পেতাম, তখনই আমরা কল করতাম।' 'দুই বছর ধরে আমার কাছে ফোন ছিল। কয়েকবার ফোন পাওয়া গেছে, কিন্তু আমি সবসময় আরেকটি ফোন কিনে নিতাম।'

এই ফোনই শেষ পর্যন্ত কারাবন্দীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। মার্কিন সেনাবাহিনী আফগান সরকারকে না জানিয়ে ২ জুন ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেলে এবং তালেবান সামরিক আক্রমণ তীব্র করে তুললে বাগরাম প্রায় তদারক শূন্য হয়ে পড়ে।

'আমাদের মধ্যে একজন অসুস্থ বোধ করেছিল, তাই আমরা সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি শুরু করি। কিন্তু অনেকক্ষণ যাবত কেউ আসেনি। বাগরামজুড়ে শুধুই নীরবতা,' হামজা জানান। 'ঠিক তখন আমরা পালানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা খাবার দেয়ার ধাতুর থালা দিয়ে জানালার গারদ ভাঙলাম।'

কারাপ্রকোষ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসার পর বন্দীরা মার্কিন সেনাবাহিনীর রেখে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এবং যে কয়েকজন আফগান কারারক্ষীকে তখনো পাহারারত ছিল তাদের আটক করে। শেষ পর্যন্ত তারা অন্য বন্দীদের পাশাপাশি কারারক্ষকদেরও মুক্তি দেয়।

'৫ হাজারেরও বেশি বন্দী বাগরাম থেকে পালিয়েছিল। কিন্তু তাদের সঠিক সংখ্যা ঠিক কত তা আমি নিশ্চিত নই। কারাগারের বারান্দা মানুষে মানুষে পরিপূর্ণ ছিল। আমি ফোন চার্জ করার জায়গা খুঁজে বের করে একটা কল করি,' হামজা বলেন।

কিছুক্ষণ পরে তার ভাই তাকে নিতে আসেন। কিন্তু বাইরের বাস্তবতা তার জন্য ছিল অপরিচিত।

'জেলের বাইরে আসার পর প্রথম প্রথম আমাদের কাছে সবকিছুই অচেনা লাগত, বিশেষ করে শিশুদের। আমরা এত দিন শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে সময় কাটিয়েছি, বহু দিন নিজেদের পরিবারকে দেখিনি। মানুষজন, গাড়িঘোড়া সবকিছুই অপরিচিত মনে হচ্ছেছিল,' হামজা বলেন।

জেল থেকে পালানোর পর এই প্রথম বাগরাম কারাগারে ফিরছেন হামজা। তিনি কখনো ভাবননি তিনি এই কারাগার থেকে পালাতে পারবেন। তিনি যখন এই প্রাক্তন মার্কিন বিমানঘাঁটির মাঠ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, তখন তার চারদিকে সৈনিক ও বন্দীদের ব্যক্তিগত সামগ্রী, খাবারদাবার এবং অস্ত্রশস্ত্রের চিহ্ন চারিদিকে বিশৃঙ্খল অগোছালোভাবে পড়ে আছে। তিনি বললেন, মুক্তি লাভ করতে পেরে তিনি খুশি।

তালেবানর সাথে জেল খাটা দায়েশ যোদ্ধাদের কী হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি।

কাবুলের পুল-ই-চার্খি কারাগার থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি কারাগারের কার্যালয়ের চেয়ারে বসে কথা বলেন মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি। এই তালেবান নেতাকে সম্প্রতি আফগানিস্তানের কারাগারব্যবস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে পূর্ববর্তী তালেবান সরকারের অধীনে একই কাজ করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানে ২০ বছরের নির্বাসনের পর আফগানিস্তানে ফিরে আসেন তিনি। মার্কিন আক্রমণের পর অনেক তালেবান কর্মকর্তা শরণার্থী হিসেবে ওই দেশে বসবাস করছিলেন।

'আমেরিকানরা নিজেদের মানবাধিকারের পক্ষে বলে। তারা কিন্তু ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছে। আমরা তাদের মতো নই এবং আমরা আমাদের কাজে তা করে দেখাব। এ দেশে আর কোনো নির্যাতন হবে না, ক্ষুৎপীড়নও থাকবে না,' তুরাবি বলেন। কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেন, নতুন কারাগারের কর্মীদের মধ্যে পুরনো রক্ষীরা এবং নতুন সদস্য হিসেবে তালেবান ধর্মযোদ্ধারা অন্তর্ভুক্ত হবে।

'আমাদের নিজস্ব সংবিধান আছে কিন্তু আমরা তাতে পরিবর্তন আনব এবং ওই পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে আমরা দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন এবং নাগরিক নিয়মকানুন সংশোধন করব। এবার কারাবন্দির সংখ্যা অনেক কমবে, কারণ আমরা ইসলামী নিয়ম, মানবিক নিয়ম মেনে চলব।'

১০ সেপ্টেম্বর কাবুলে বিক্ষোভের সময় চারজনকে হত্যা করা বা কারাগারে সাংবাদিক ও বেসামরিক নাগরিকদের উপর এখনো নির্যাতন চালানোর ক্রমবর্ধমাণ প্রমাণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তুরাবি।

নতুন বিচারব্যবস্থা পূর্ববর্তী তালেবান আমলের অনুরূপ হবে কী না তা জানতে চাইলে তিনি বিনা দ্বিধায় জবাব দেন।

“মানুষ আমাদের কিছু কিছু আইন নিয়ে চিন্তিত, যেমন চুরির অপরাধে হাত কাটা। কিন্তু এমনটা জনসাধারণেরই দাবি। আপনি যদি একবার কারো হাত কেটে ফেলেন, তাহলে তিনি ওই অপরাধ আর কখনো করবেন না। দেশের লোকজন এখন দুর্নীতিগ্রস্ত, তারা একে অন্যের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে, ঘুষ নিচ্ছে, তিনি বলেন।

'আমরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনব। একবার আমরা আমাদের আইন-কানুন চালু করলে কেউ তা ভাঙার সাহস পাবে না।'
সূত্র : আল জাজিরা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us