আপনি লং কোভিডে আক্রান্ত নন তো?

অন্য এক দিগন্ত | Jan 27, 2022 02:43 pm
আপনি লং কোভিডে আক্রান্ত নন তো?

আপনি লং কোভিডে আক্রান্ত নন তো? - ছবি : সংগ্রহ

 

হালকা জ্বর, সর্দি কিংবা গা ব্যথা রয়েছে বেশ কিছু দিন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো এতই সামান্য যে পরীক্ষা করানোর কথা মনেও আসেনি। বুঝতে পারছেন না আদৌও কোভিড আক্রান্ত কি না? সাবধান! একেই কিন্তু লং কোভিড কিংবা পোস্ট কোভিডের লক্ষণ বলছেন চিকিৎসকরা।

কাদের মধ্যে লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি তাই নিয়েই চলছে নানা গবেষণা। কোভিডের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে আক্রান্ত কিছু মানুষ সেরে উঠেছেন খুব তাড়াতাড়ি। আবার অনেকের কোভিড থেকে সেরে উঠতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। এই ধরনের লং কোভিড সমস্যায় ভুগেছেন করোনা আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে একজন। শারীরিক, স্নায়বিক সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যেই কি লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি?

ঠিক কোন জৈবিক কারণগুলো লং কোভিডের আশঙ্কা বাড়াতে পারে তার সন্ধান দিয়েছেন গবেষকদের একটি দল যারা ২০০ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন মাস ধরে গবেষণা চালিয়েছেন।

জার্নাল ‘সেল’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে চারটি কারণ চিহ্ণিত করা হয়েছে যা বলে দেবে কোন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে লং কোভিডের উপসর্গগুলো দেখা যেতে পারে। এক ব্যক্তির করোনভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রথম দিকেই এই লক্ষণগুলো সনাক্ত করা যাবে।

গবেষকরা বলেছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণের পরিমাণ প্রাথমিক দিকে কতখানি তার ওপরেই নির্ভর করবে তিনি লং কোভিডে আক্রান্ত হবেন কি না। তাদের মতে, এই গবেষণা লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাকে অনেকখানি কমাতে পারে। লং কোভিডের উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের কোভিডের প্রথম দিকেই

গবেষকরা শনাক্ত করা চারটি কারণের মধ্যে একটি হলো সংক্রমণের প্রথম দিকে রোগীর রক্তে করোনভাইরাস আরএনএর স্তর, যা ভাইরাল লোডের একটি সূচক। আরেকটি কারণ হলো রক্তে এমন কয়েকটি অটোঅ্যান্টিবডির উপস্থিতি যা শরীরের টিস্যুগুলো আক্রমণ করে। মূলত লুপাস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে শরীরে এই অটোঅ্যান্টিবডিগুলো আক্রমণ হয়। তৃতীয় কারণ হলো এপস্টাইন-বার ভাইরাসের পুনঃসক্রিয়তা। এই ভাইরাস সাধারণত অল্পবয়সীদের শরীরে বাসা বাঁধে,এবং তারপর সুপ্ত হয়ে যায়। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেও লং কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


ওমিক্রনের তাণ্ডবে মৃত্যুর রেকর্ড
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ!

গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচেই ছিল। চার মাস পর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল। গতকাল বুধবার মৃতের সংখ্যা ছিল নয় হাজার ৬৪৭ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ লাখ মানুষ। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৩২ লাখ ২১ হাজার ৫৬৭ জন।

একই সময়ে করোনা থেকে বিশ্বে মোট সুস্থ হয়েছে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭০ জন।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৯৮ হাজার ৬৮০ জন।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us