নতুন জুতা পরলেই পায়ে ফোস্কা পড়ে? সমাধান যেভাবে

অন্য এক দিগন্ত | Feb 24, 2022 04:33 pm
নতুন জুতা পরলেই পায়ে ফোস্কা পড়ে? সমাধান যেভাবে

নতুন জুতা পরলেই পায়ে ফোস্কা পড়ে? সমাধান যেভাবে - ছবি : সংগ্রহ

 

পছন্দের জামার সাথে জুতসই জুতা না হলে মুখ ভার হয় অনেকেরই। তবে যত দামি হোক না কেন, নতুন জুতা পায়ে পরে ঘণ্টা খানেক হাঁটিহাঁটির পর গোড়ালির পিছন দিকে কিংবা বুড়ো আঙুলের তলায় ফোস্কা পড়ে যাওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। শুরু হয় জুতা যন্ত্রণা। এক বার ফোস্কা পড়লে পরবর্তী দু’-তিন দিন হাঁটা চলা করাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে।

এই সমস্যা আপনার একার নয়। এই সমস্যায় নাজেহাল হন কমবেশি সকলেই। এই অবস্থায় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

১) অ্যালো ভেরা ফোস্কা সারিয়ে তুলতে দুর্দান্ত কার্যকর। অ্যালো ভেরার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ক্ষতস্থানের ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ফোস্কাতে ভালো করতে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। জেল শুকিয়ে গেলে হালকা গরম দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন বার লাগালেই অনেকটা আরাম পাবেন।

২) গ্রিন টি-তে, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাল উৎস। গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি টি ব্যাগ ডোবান। তার পর ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন। টি ব্যাগটি নিয়ে ফোস্কার জায়গায় বেশ কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন। বেকিং সোডাতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। দিনে দুই থেকে তিন বার এই প্রক্রিয়াটি করলেই সুফল মিলবে।

৩) ফোস্কা নিরাময়ের জন্য অ্যাপ্‌ল সাইডার ভিনিগারও ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ-ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সংক্রমণের বিস্তার হতে দেয় না।। অ্যাপ্‌ল সাইডার ভিনেগারে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থানে হালকা হাতে চেপে লাগিয়ে রাখুন বেশ কিছুক্ষণ। এই প্রক্রিয়াটি করার সময় সামান্য জ্বালা করতে পারে। কিন্তু নিশ্চিত উপকার পাবেন।

৪) ক্ষত স্থানে নারকেল তেলও লাগাতে পারেন। নারকেল তেল এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেল টিস্যু মেরামতের পাশাপাশি, ক্ষতস্থান দ্রুত নিরাময় করতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া পেট্রোলিয়াম জেলিও লাগাতে পারেন। দিনে দু’বার ১৫ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। ভালো করে তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। তার পর ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। গরম পানি ব্যথা এবং সংক্রমণকে প্রশমিত করতে বেশ উপকারী।

৫) ফোস্কার ব্যথা কমাতে লবণও ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এ বার সেই পানি দিয়ে ফোস্কার জায়গায় সেঁক দিন । এই উপায় ফোস্কার যন্ত্রণা ও ফোলাভাব কমে যাবে। দ্রুত ক্ষত নিরাময় হবে।


রাতে ঘুম আসে না? যেভাবে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে
সারাদিন অনেক খাটাখাটুনি হয়েছে, প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আপনি। ভাবলেন ডিনার সেরে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। সেইমতো বিছানায় শুয়েও পড়লেন। কিন্তু ঘুম আর আসছে না। চোখের পাতা খুলে রেখেই কেটে গেল অর্ধেক রাত। এমন সমস্যা অনেকের। বহু মানুষ ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু এটা এমন একটা রোগ, এর ওষুধও খেতে পারবেন না। রোজ রোজ ঘুমের ওষুধ খাওয়া একদমই ঠিক না। তাই রাতের পর রাত জেগেই কাটছে। ঘুম-কে টেনে আপনার কাছে নিয়ে আসা কিন্তু এত কঠিন কাজও নয়। শুধু জানতে হবে কৌশল।

রুম ঠাণ্ডা রাখুন
কোনো মানুষ যখন ঘুমোন তার শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। রুমের তাপমাত্রা বেশি থাকলে ঘুমের সমস্যা হয়। ১৫-১৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে ঘুম আসবে দ্রুত। ঘুমের আগে গরম পানিতে গোসল করলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসবে, কারণ গরম পানিতে গোসল করার পর শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। শরীরের তাপমাত্রা কমলে আপনার মস্তিষ্কে সিগন্যাল যাবে ঘুমের।

২) ৪-৭-৮ মেথড
৪-৭-৮ নিশ্বাসের পদ্ধতি মানলে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। এই পদ্ধতিতে প্রশান্তি পাবেন, ভালো ঘুমের জন্য শরীর রিল্যাক্স হওয়া দরকার।
পদ্ধতি - জিভের ডগা ওপরের দাঁতের পাটির পিছনে রাখুন। হুশ শব্দ করতে থাকুন। এরপর মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে শ্বাস নিন। মনে মনে ৪ পর্যন্ত কাউন্ট করুন। নিশ্বাস ছাড়বেন না। ৭ পর্যন্ত গোনার পর মুখ খুলে নিশ্বাস ছাড়ুন। এভাবে তিনবার করুন। এই পদ্ধতি শরীরকে রিল্যাক্স করবে এবং তাড়তাড়ি ঘুম আসবে।

৩) শিডিউল তৈরি করুন
ঘুমের নির্দিষ্ট শিডিউল থাকলে ওই সময় দেখবেন ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। শরীরের রেগুলেটরি সিস্টেম আছে, যা শরীরকে অ্যালার্ট করে কখন কী করা উচিত। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় থাকলে ওই সময় শরীর মস্তিষ্ককে অ্যালার্ট দেবে ঘুমানোর জন্য। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। ঘুমানোর আগে শরীরকে ৩০-৪৫ সময় দেয়া দরকার হালকা হওয়ার জন্য। প্রচুর কাজ করার পর আপনার ঘুম আসবে না সঙ্গে সঙ্গে।

৪) শরীরকে দিন ও রাতের আলোর পার্থক্য বোঝান
আপনাদের আগেই বলেছি শরীরের মধ্যে একটা ইন্টারনাল ক্লক রয়েছে, যা ঘুমের সময় অ্যালার্ট করে মস্তিষ্ককে। দিনের বেলায় অতিরিক্ত আলোয় মস্তিষ্ক ঘুমোনোর সঙ্কেত পায় না। তেমনি রাতে, অন্ধকারে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যেটা ঘুমের জন্য দরকার হয়। রাতে কালো পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখতে পারেন রুম, এতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।

৫) যোগা, মেডিটেশন
দুশ্চিন্তায় থাকলে ঘুম আসতে চায় না। তাই ভালো ঘুমের জন্য স্ট্রেস ফ্রি থাকতে হবে। আপনার স্ট্রেস কাটাতে পারে যোগা, মেডিটেশন। ঘুমের কোয়ালিটি, ঘুমের সময়ের ওপর প্রভাব ফেলে যোগা। মেডিটেশন মেলাটোনিনের স্তরকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৬) ঘড়ির দিকে তাকাবেন না
মাঝরাতে অনেকের ঘুম ভেঙে যায়। তারপর আর ঘুম আসতে চায় না। দেখবেন জেগে জেগে ভোর হয়ে গেল। গবেষকরা বলছেন, মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে ঘড়ির দিকে তাকাবেন না। এতে অবসেসড হয়ে পড়তে পারেন আপনি। ঘড়ির দিকে তাকালে উদ্বেগ বাড়বে, বারবার মনে হবে আপনার ঘুম হচ্ছে না ঠিক করে, মাঝরাত থেকে আপনাকে জেগে থাকতে হবে, আর হয়তো ঘুম হবে না। এই ধরনের চিন্তা যাতে মাথায় না আসে সেজন্য ঘড়ি বেডরুমে না রাখাই ভালো।

৭) দিনে ঘুমোবেন না
রাতে যাদের ঘুমের সমস্যা হয়, তারা দিনের বেলা না ঘুমানোর চেষ্টা করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের বেলা ২ ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমোলে রাতে ঠিক মতো ঘুম আসে না।

৮) ডিনারে নজর
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন সেটা ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে। রাতে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বেশি খেলে ভালো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই লো-কার্ব এবং হাই ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার রাতে খাওয়া উচিত।

৯) গান শুনুন
ঘুমোনোর আগে ঘুম ভালো করতে মিউজিকের বিকল্প নেই। যারা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, তারা ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা গান শুনতে পারেন। তবে লাউড মিউজিক একদম না।

১০) দিনের বেলা এক্সারসাইজ করুন আপনি সারাদিন অ্যাকটিভ থাকলে ভালো ঘুম হবে। দিনের বেলা এক্সারসাইজ করলে সারাদিন একজন অ্যাকটিভ থাকতে পারেন। এক্সারসাইজ স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কম করে সেরোটোনিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। দৌড়ানো, সাইক্লিং, টেনিস খেলা খুব ভালো এক্সারসাইজ।

সূত্র : বোল্ডস্কাই


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us