৫ কারণে মহিলাদের মধ্যে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ছে

অন্য এক দিগন্ত | Apr 18, 2022 02:15 pm
৫ কারণে মহিলাদের মধ্যে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ছে

৫ কারণে মহিলাদের মধ্যে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ছে - প্রতীকী ছবি

 

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি বছর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারান হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে। অত্যধিক মানসিক চাপ, কর্মব্যস্ত জীবন- অনেক ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন যাপনের মধ্যেই নিহিত থাকে হৃদ্‌রোগের কারণ। অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সেন্টার্স অব ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে একজন হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। গত বছর ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও তুলে ধরা হয়েছে যে, সব দেশে মহিলাদের মধ্যে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ বাড়ছে।

পুরুষ আর মহিলাদের মধ্যে হৃদ্‌রোগের উপসর্গগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আলাদা হয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নারীর ক্ষেত্রে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে মূলত ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গগুলোই প্রকট হয়।

জানেন কি কেন নারীদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেশি?

১) ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মহিলাদের ঋতুবন্ধ হয়। ঋতুবন্ধের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এ কারণে তাদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

২) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। এ সময়ে রক্তচাপ বেড়ে গেলে রক্তনালিকাগুলো দিয়ে রক্ত ও অক্সিজেন পর্যাপ্ত মাত্রায় মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।

৩) ধূমপানের অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা। ধূমপান বন্ধ করে দিলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা কমে শতকরা আশি ভাগ। অতিরিক্ত মদ্যপান থেকেও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। এতেও হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়ে।

৪) ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এই সব রোগের কারণে রক্তনালিকাগুলি সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। রক্ত প্রবাহে বাধা তৈরি হয়। ফলস্বরূপ হৃদ্‌যন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায়।

৫) মানসিক চাপের কারণেও মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ্‌রোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। কর্মব্যস্ততা এবং অবসাদের কারণে অনেক মহিলারাই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এতেও কিন্তু ঝুঁকি বাড়ে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


পিঠের ব্যথা কমছেই না? কী করবেন
করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে সব কিছুই এখন ডিজিটাল মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আধুনিকতার কারণে শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়াটা অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

পড়াশোনা থেকে বাজার দোকান- সব কিছুই সামলানো যাচ্ছে ফোন কিংবা কম্পিউটারের পর্দায়। ফলে কায়িক শ্রম খানিক কম হচ্ছে। অনেকেই আবার সময়ের অভাবে বাড়িতেও শরীরচর্চা করে উঠতে পারেন না। সব কিছুর ফলে পিঠে ব্যথার সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। সমস্ত বয়সের মানুষের মধ্যেই এই সমস্যার পরিমাণ বাড়ছে। ৯০ শতাংশ মানুষের পিঠে ব্যথার প্রধান কারণ- এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে থাকা। তবে এই সমস্যার তাৎক্ষণিক উপশমও হতে পারে, এমন কিছু উপায় আছে। সেগুলো কী কী?

১) চেষ্টা করুন, ঘুমোনোর সময় মাথার নিচে বালিশ না নিতে।

২) নিয়মিত শবাসন, ভুজঙ্গাসন, মকরাসন প্রভৃতি শরীরচর্চা করলে পিঠের ব্যথা কমে।

৩) অফিসের কাজ করার সময়ে একই জায়গায় এবং একই ভঙ্গিতে অনেক ক্ষণ বসে থাকবেন না। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর বিরতি নিতে পারেন। উঠে দাঁড়ান, হাঁটাচলা করুন।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us