হিন্দুদের বিয়েতে কেন থাকে সাত পাঁক?

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Jan 27, 2020 09:40 am
হিন্দুদের বিয়েতে কেন থাকে সাত পাঁক?

হিন্দুদের বিয়েতে কেন থাকে সাত পাঁক? - ছবি : সংগৃহীত

 

বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে। তা সে রেজিস্ট্রি ম্যারেজই হোক বা আচার-অনুষ্ঠান মেনে ঘটা করে সাত পাঁকে ঘুরেই হোক। হিন্দুদের বিয়ে মানে অনেক রীতি। আইবুড়ো ভাত থেকে শুরু করে ফুলশয্যা। আর তার মাঝেই রয়েছে বহু নিয়ম-রীতি। আসলে বিয়ে মানে যেমন দু’টি মনের মিলন, তেমনই দু’টি পরিবারের মেলবন্ধনও বটে। তাই আজকাল অনেকেই রীতি মোতাবেক বিয়েকে বাদ দিয়ে কেবল রেজিস্ট্রি ম্যারেজের দিকে ঝুঁকলেও পরে দুই পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা ভেবে বা বলা ভালো চাপে ছাদনাতলায় যেতে রাজি হয়ে যান। বিয়ের এই রীতিগুলিরে মধ্যে অন্যতম হলো অগ্নিসাক্ষী করে সাত পাঁকে ঘোরা। কিন্তু এই প্রতিটি পাঁকের গুরুত্ব কী? আসুন জানা যাক।

প্রথম পাক : পাত্র ও পাত্রী দুজনেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। পাত্র যেমন তাঁর সন্তান ও স্ত্রীর সমস্ত দায়িত্বের প্রতিজ্ঞা নেন, তেমনই পাত্রী দায়িত্ব নেন তার পরিবারকে ভালো রাখার। এছাড়া তিনি নতুন সংসারের সব দায়িত্ব নেয়ার জন্যও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

দ্বিতীয় পাক : পাত্র প্রতিজ্ঞা করেন একসঙ্গে তারা পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করবে। পাত্রী প্রতিজ্ঞা করেন সুখ-দুঃখে সবসময় স্বামীর পাশে থাকার। পরিবর্তে থাকবে স্বামীর থেকে সারাটা জীবন আন্তরিকভাবে ভালোবাসার দাবি।

৩. তৃতীয় পাঁক : এই পাঁকে পাত্র ভবিষ্যতের সন্তান-সন্ততিদের দীর্ঘজীবনের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠার আশাও রাখেন। অন্যদিকে পাত্রী প্রতিজ্ঞা করে বলেন, যে আমার কাছে স্বামীই সব। তাকেই সারাজীবন ভালোবাসবো।

৪. চতুর্থ পাঁক : একে অপরকে সারাজীবন আনন্দে ভরিয়ে রাখার প্রতিজ্ঞা নেয় পাত্র-পাত্রী। পাশাপাশি সারাজীবন একে অপরকে সব দিক থেকে পরিপূর্ণতা দেয়া ও একে ওপরের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞাও করে।

৫. পঞ্চম পাঁক : দু’জনেই দু’জনকে অপার ভালোবাসা দেয়ার প্রতিজ্ঞা নেন। যাতে তারা সারাজীবন দু’জনের সন্মান বজায় রাখতে পারেন।

৬. ষষ্ঠ পাঁক : দু’জনে দু’জনের পাশে থেকে ভালোবাসা ভাগ করে নেয়ার অঙ্গিকার জানায়। তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে, কেউ কাউকে ছেড়ে কখনোই যাবেন না। একসাথে সারা জীবন সুখে-দুঃখে কাটিয়ে দেবেন।

৭. সপ্তম পাঁক : এই পাঁকে তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে নেন। তারা প্রতিজ্ঞা করেন এখন থেকে আমরা একই সুত্রে বাঁধা। আমাদের একে অপরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা একে অপরকে সম্মান করব। আর নিজেদের সম্পর্কটাকে সততা, দায়িত্ব ও বিশ্বাস দিয়ে পরিপূর্ণ রাখব।
সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us