করোনাভাইরাসের ৫ সাধারণ উপসর্গ

করোনাভাইরাসের ৫ সাধারণ উপসর্গ | Mar 15, 2020 08:44 pm
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস - সংগৃহীত

 

কিভাবে বোঝা যাবে যে কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত? সর্দি, কাশি হলেই কি ধরে নিতে হবে যে তিনি করোনাভাইরাসের শিকার? করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে সর্দি, কাশি, শুষ্ক গলা ও জ্বর। তবে শুরুতেই এসব উপসর্গ দেখে অনেক সময় বোঝা কঠিন যে এটি ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ৷

করোনা ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণগুলো :

জ্বর
শুষ্ক কাশি
শ্বাসকষ্ট
মাংসপেশিতে ব্যথা
ক্লান্তি

করোনা ভাইরাসের সচরাচর দেখা যায় না এমন লক্ষণগুলো :

কফ তৈরি হওয়া
মাথাব্যথা
কফে রক্ত আসা
ডায়রিয়া

করোনা ভাইরাসের বিরল লক্ষণগুলো :

সর্দি
গলা ব্যথা
সর্দি এবং গলা ব্যথা হচ্ছে শ্বাসযন্ত্রের উর্ধাংশের সংক্রমণ৷ ফলে যাদের সর্দি আছে এবং গলাব্যথা করছে তারা সাধারণ কোনো ঠান্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যায়৷

শুরুতে অনেকের কোনো লক্ষণই দেয়া যায় না৷

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে অনেকের শরীরেই কোনো লক্ষণ দেখা যায় না৷ জার্মান সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা রবার্ট-কখ্-ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড হচ্ছে ১৪ দিন৷

আপনি যদি অসুস্থ বোধ করার পর নিশ্চিত না হন যে কী হয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন৷ একজন চিকিৎসক আপনার কফ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে পারবে আপনার ঠিক কী হয়েছে৷

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ ঠান্ডা বা ফ্লু হয় ভাইরাসের কারণে৷ ফলে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার অর্থহীন৷ এন্টিবায়োটিক শুধু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজে লাগে, ভাইরাস নয়৷

এন্টিবায়োটিক তখনই কাজে লাগে যখন কারো শরীরের দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে ব্যাকটেরিয়া তার শরীরে প্রবেশ করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে৷ আর এভাবে সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে যা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে৷ নিউমোনিয়া, টন্সিলে প্রদাহ, সিসটাইটিস বা মেনিনজাইটিস অধিকাংশক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে৷ তাই সেসব রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন৷

করোনা যেভাবে ছড়ায়
মোট সাতটি প্রজাতির করোনা ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে৷ তার একটি ২০১৯ এন করোনা ভাইরাস৷ এই ভাইরাসটি প্রথমে প্রাণী থেকে মানুষে এবং এখন তা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে৷ এটি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়৷ হাঁচি, কাশি, কফ, থুথু বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শেও এই রোগ ছড়ায়৷

যেসব লক্ষণ দেখা যায়
শরীরে নভেল করোনা ভাইরাস প্রবেশের পর দুই থেকে ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথমে জ্বর হয়৷ এছাড়াও শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া হতে পারে৷ কারো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, ক্যান্সার থাকলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে৷

সরকারের নির্দেশনা
কেউ যদি চীন, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, ইতালি, ইরান এসব দেশে ভ্রমণ করে থাকেন এবং ফিরে আসার ১৪ দিনের মধ্যে যদি জ্বর-কাশি-গলা-ব্যথা-শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাহলে অতি দ্রুত আইইডিসিআর-এর হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন এবং কুয়েত-মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ নিন৷

আইইডিসিআর-এর হটলাইন
করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ- ০১৭০০৭০৫৭৩৭ হটলাইন নাম্বার- নাম্বার: ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১৷

রেসপিরেটরি মাস্ক কি উপকারী?

আসলে না৷ বর্তমান করোনা ভাইরাস নাক ঝাড়া এবং কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির দেহ থেকে বের হওয়া ‘ড্রপলেটের' মাধ্যমে ছড়ায়৷ ফলে, নিরাপদ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে যারা সংক্রমিত বা সম্ভবত সংক্রমিত, তাদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা৷ সংক্রমণমুক্ত থাকতে সাবান এবং গরম পানি দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধু তাই নয়, সম্ভব হলে হাত ধোয়ার পর তা মুছতে ‘ডিসপোসেবল টাওয়েল' ব্যবহার করলে ভালো হয়৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us