কেমন আছে এভারেস্ট?

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 29, 2020 09:32 am
এভারেস্ট

এভারেস্ট - সংগৃহীত

 

অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনার, জয় করার ইচ্ছে মানুষের সেই আদি লগ্ন থেকেই। একের পর এক ভয় জয় করে, প্রতিকূলতা পেরিয়ে, অসাধ্য সাধন করে আজ এখানে দাঁড়িয়ে সভ্যতা। পৃথিবীর কোন দুর্গম প্রান্তে মানুষের পা পড়েনি? কোন অসম্ভবকে সম্ভব করেনি সে? ২৯ মে সেরকম এক অসম্ভবের জন্মদিন।

২৯ মে, ১৯৫৩। দুনিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু মাউন্ট এভারেস্ট চুড়োয় পৌঁছে গেলেন এডমন্ড হিলারি আর তেঞ্জিং নোরগে। ৮৮৪৮ মিটার উচ্চতায় এরপর অজস্রবার পৌঁছেছেন দেশ বিদেশের পর্বতারোহীরা। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছরই সারা বিশ্বের সমস্ত পর্বতারোহীদের জন্য এভারেস্টের রুট ওপেন হয়। বিশ্বের সর্বোচ্চ বিন্দু ছোঁয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে এখনও দীর্ঘ অধ্যাবসায়, প্রতিকূলতা পেরিয়ে শিরোনামে আসতে হয় আজকের এডমান্ড, তেঞ্জিং দের। স্বপ্ন ছোঁয়ার পথ এখনো একইরকম দুর্গম, তবে প্রযুক্তি এসেছে, সময়ের সাথে সাথে এসেছে পেশাদারি দক্ষতা। বাণিজ্যিকরণের হাওয়াও কি লাগেনি? বছর বছর ‘সামিট সিজন’-এ হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে কি একটু একটু করে একলা হয়ে যাচ্ছে তুষার রাজ্য?

তবে এ বছরের মে মাসটা অন্যরকম, গোটা আরোহণের মরশুমটাই অবশ্য। বিগত আড়াই মাস, টিভিতে, খবরের কাগজে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বসারঘর, শোবার ঘরের আলোচনার শুরুতে নাম ভূমিকায় থাকা কোভিড-১৯ তৈরি করেছে অন্য এক ইতিহাস। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম (২০১৫ সালের নেপালের ভূমিকম্প ছাড়া) নেপালের দিক থেকে বন্ধ থাকল সামিট। না, সারা মাস জুড়ে নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হয়নি, ভাঙেনি, আবার তৈরি হয়নি। অনভিপ্রেত দুর্ঘটনা ঘটেনি পাহাড়ের কোলে। সামিট সিজনের শেষে বরফের রাজ্য থেকে নামিয়ে আনতে হয়নি কেজি কেজি আবর্জনা। একটা বছর কেউ ঘুম ভাঙাল না হিমালয়ের রাণীর। কোলাহল করল না কেউ। বিজ্ঞানীরা বলেন ৮০০০ মিটারের ওপরের উচ্চতায় ক্রমশ কমে আসে অক্সিজেন। তবু এই মরশুমে খানিকটা বুক ভরে নিঃশ্বাস কি নেয়নি এভারেস্ট? কে জানে!

উচ্চতা মাপতে এভারেস্টে চীনের দল

দেড় শ' বছরেরও বেশি আগে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা মেপে ছিলেন বাঙালি গণিতবিদ রাধানাথ শিকদার। তার মাপা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটারকেই এভারেস্টের উচ্চতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে নেপাল। চীনের হিসাব আবার অন্য, নেপালের থেকে চার মিটার কম। এই অবস্থায় প্রকৃত উচ্চতা মাপতে বুধবার এভারেস্টে পৌঁছেছেন চীনের জরিপ আধিকারিকরা। তিব্বতের দিক দিয়ে তারা এভারেস্টে যান।

মে মাসের শুরু থেকে নতুন করে এভারেস্টের উচ্চতা মাপার কাজ শুরু করে চীন। সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, এই জরিপের কাজের ফলে প্রকৃতি নিয়ে জ্ঞান বাড়বে। বিজ্ঞানসম্মত ধারণাও সমৃদ্ধ হবে বলে জানানো হয়েছে। জিনহুয়া আরও জানিয়েছে, বরফাচ্ছন্ন এই পর্বতশৃঙ্গে জরিপের জন্য ২০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে একটি মার্কার বানাবেন চীনা জরিপ কর্মকর্তারা।

তবে এভারেস্টের উচ্চতা মাপার চীনা উদ্যোগ এই প্রথম নয়। এর আগে ছয় রাউন্ড জরিপ এবং গবেষণার শেষে ১৯৭৫ সালে এবং ২০০৫ সালে এভারেস্টের উচ্চতা মাপে বেজিং। প্রথমবার জরিপের শেষে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ দশমিক ১৩ মিটার বলে জানায় তারা। কিন্তু ২০০৫ সালে এই উচ্চতা কমিয়ে ৮ হাজার ৮৪৪ দশমিক ৪৩ মিটার বলে জানায় চীন।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us