চশমা থেকেও করোনা সংক্রমণের শঙ্কা!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jul 12, 2020 10:08 am
চশমা থেকেও করোনা সংক্রমণের শঙ্কা!

চশমা থেকেও করোনা সংক্রমণের শঙ্কা! - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে মানুষদের মধ্যে এক অদ্ভুত ভীতির জন্ম নিয়েছে। নিজেদেরকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সমস্ত নিয়মাবলী মেনে চলার পরেও, সামান্য কিছু অসতর্কতার কারণে কেউ কেউ আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন এই ভাইরাসে। ফলে পৃথিবীর সকল মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

সংক্রমণ ঠেকাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রাখা, মাস্ক, গ্লাভস, চশমা, ফেস শিল্ড পরা, ভালো করে হাত ধোয়া ইত্যাদি মেনে চলার পাশাপাশি, নিজেদের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দিচ্ছেন প্রত্যেকে। বাইরে থেকে এসে হাত, পা, মুখ ভালো করে ধোয়া, পরা জামাকাপড় কেচে নেয়া, গোসল করা ইত্যাদি সকলের এখন নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড ও হাত ধোয়ার প্রতি আমরা যতটা গুরুত্ব দিচ্ছি, ঠিক ততটাই কি চশমা ব্যবহার এবং পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছি? বাড়ি ফিরে মাস্ক ও গ্লাভস ভালো করে ধুয়ে নিচ্ছেন বা স্যানিটাইজ করছেন। কিন্তু চশমা? নিশ্চয়ই ভুলে যাচ্ছেন। তবে চলুন এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন চশমা ব্যবহার এবং পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর দেয়া নির্দেশিকাগুলো।

১) চশমা মাথার উপরে রাখা এবং যখন তখন খুলে পকেটে ঢুকিয়ে দেয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

২) বাইরের থেকে বাড়িতে আসার পর মাস্ক, গ্লাভস ও ফেস শিল্ড যেভাবে পরিষ্কার করছেন, ঠিক সেইভাবেই চশমাকে সাবান ও জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন এবং টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিন।

৩) চশমা ব্যবহারের আগে ভালো করে সাবান দিয়ে নিজের হাত মুখ ধুয়ে নিন। তারপর অবশ্যই চশমার ফ্রেম ও হ্যান্ডেল স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।

৪) চশমা রাখার বাক্স ও চশমা পরিষ্কার করার টিস্যু যেন নিয়মিত স্যানিটাইজ হয়।

৫) চশমা রাখার আগে বাক্সটি স্যানিটাইজ করে নেবেন।

৬) বাক্সের ভেতরে চশমা ঢোকানোর আগে চশমাটি স্যানিটাইজ করুন এবং লেন্সের দিকটি উপরের দিকে রাখুন।

৭) অফিসের টেবিলে, বাথরুমের বেশিনের পাশে চশমা রাখলে তা পরার আগে স্যানিটাইজ করুন।

৮) চশমা যদি কোনো সারফেসে ঠেকে, তবে তা অবশ্যই স্যানিটাইজ করতে হবে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

নিমের গুণাগুণ
ডা: জ্যোৎস্না মাহবুব খান

ইউনানী আয়ুর্র্বেদ মতে, নিমগাছ হলো ভেষজ উদ্ভিদ, যার প্রতিটি অংশ যেমন- পাতা, ফল, বাকল, ডালপালা এবং বীজের ভেষজগুণ রয়েছে। নিমের গুণাগুণ সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিধায় এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিমের বহুবিধ গুলাবলিকে গুরুত্ব দিয়ে জাতিসঙ্ঘ একে একশ’ শতকের বৃক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু আয়ুর্বেদ ও ইউনানী বিদ্যায়ই নয়, অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ডায়েট বিজ্ঞানসহ নানা পর্যায়ে নিমের সফল ব্যবহার হচ্ছে।

নিমের পাতা, বাকল, বীজ এবং শিকড় অনেক রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক। কৃমিনাশক হিসেবে নিমপাতার রস পরিচিত। নিমের জীবাণুনাশকারী গুণাগুণ থাকায় বিভিন্ন চর্মরোগ- হাম, বসন্ত, খোশ-পাঁচড়ায় নিমপাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল করলে আরওগ্য লাভ হয়।
দাঁত মাজতে নিমের ডাল, নিম মিশ্রিত টুথপেস্ট ও টুথ পাউডার অত্যন্ত জনপ্রিয়।
নিমের তেল ও খৈলের চাহিদা ব্যাপক। নিমের তেল জৈব কীটনাশক হিসেবে উল্লেখযোগ্য। খাদ্যশস্য সংরক্ষণে বা গুদামজাতকরণে যেখানে রাসায়নিক কীটনাশক মারাত্মক ক্ষতিকর সেখানে নিমের ব্যবহার কার্যকরী, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত!

নিমজাত দ্রব্য থেকে প্রস্তুত জৈব কীটনাশক মানুষ, গবাদিপশু এবং পরিবেশের কোনোরূপ দূষণ করে না।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us