বিশ্বের অন্যতম ধনী অনিল আম্বানি যেভাবে নিঃস্ব হলেন

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Sep 27, 2020 08:56 am
অনিল আম্বানি

অনিল আম্বানি - ছবি : সংগৃহীত

 

কথায় আছে, ‘আজ রাজা কাল ফকির’! একসময়ের বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এখন নাকি অত্যন্ত আর্থিক দুরাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আদালতে অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

‘রিলায়েন্স কমিউনিকেশন’-এর কর্ণধার অনিল আম্বানির এখন সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। অথচ, একসময় তিনি ছিলেন বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি। কালের ফেরে এখন তার দেউলিয়া অবস্থা। তার সব সংস্থারই প্রায় ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রোজগারও কার্যত বন্ধ। পরিস্থিতি নাকি এতটাই প্রতিকূল যে, উকিলের খরচ জোগাড় করতেও নিজের সাধের গয়না বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।

সম্প্রতি, ব্রিটেনের এক আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির ভাই অনিল আম্বানি। সূত্রের খবর, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক, ‘চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক অব চায়না’সহ একাধিক ব্যাংক দাবি করছে, আম্বানির সংস্থাকে তারা ঋণ বাবদ কয়েক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। ব্যক্তিগত গ্যারান্টির মাধ্যমেই নাকি এই ঋণ নিয়েছেন অনিল আম্বানি।

কিন্তু, অনিলের ব্যবসা ক্রমতাগত আর্থির ক্ষতির মুখে পড়তে থাকায় তিনি এই ব্যাংকগুলোর ঋণ মেটাতে পারেননি। বাধ্য হয়ে ব্যাংকগুলো একইসঙ্গে ব্রিটেনও ভারতের আদালতে অনিলের বিরুদ্ধে মামলা করে। ব্রিটেনের আদালত আম্বানিকে চীনের তিনটি ব্যাংকের প্রায় ৫ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা ঋণ শোধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

যদিও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। ব্যাংকগুলোর ঋণ এখনই তাই তার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। অনিলের মতো এক সময়ের বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যবসায়ীর মুখ থেকে এ কথা শুনে রীতিমতো বিস্ময়প্রকাশ করে আদালত। এরপরই আদালতের তরফে অনিলকে তার সব সব সম্পত্তির হিসেবের একটা হলফনামা জমা দিতে বলা হয়।

জানা গেছে, আদালতে অনিল আম্বানি নাকি এমনও বলেছেন, এখন তার আর নাকি তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পত্তি নেই। থাকার মধ্যে শুধুমাত্র একটি গাড়ি রয়েছে তার। এমনকী নিজের খরচ চালানোর জন্য তাকে স্ত্রী ও সন্তানের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। একজন সাধারণ মানুষের মতোই তিনি জীবনযাপন করেন।

সূত্র : পুবের কলম

কৃষকদের বিক্ষোভে অচল ভারতের বিভিন্ন রাজ্য
এনডিটিভি

ভারতের পার্লামেন্টে বিতর্কিত কৃষি বিল পাসের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন কৃষকরা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা। সরকারকে হুঁশিয়ার করে কৃষকরা বলেছেন, অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে। এরই মধ্যে শ্রমিকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস, আরজেডি, তৃণমূল এবং ১০টি কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ট্রেড ইউনিয়ন।

সম্প্রতি ‘অত্যাবশ্যক পণ্য আইন’ সংশোধন, ‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’সংক্রান্ত তিনটি বিল সম্প্রতি লোকসভায় পাস হয়। ২০ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’সংক্রান্ত দু’টি বিল পাস হয় রাজ্যসভায়।

বিলগুলো পাস না করতে আগে থেকেই বিক্ষোভ করছিলেন কৃষকরা। রাজ্যসভায় বিল পাসের পর সে বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়ে ওঠে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লির একাধিক জায়গায় পথে নেমে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। কোথাও পথ অবরোধ, কোথাও আবার রেল রোখো অভিযানে নেমেছেন তারা। রাষ্ট্রপতি বিলগুলোতে স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে। সে কারণে কৃষি বিল ফিরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন বিরোধীরা। ওই বিলে রাষ্ট্রপতিকে সই না করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

কয়েক দিন ধরেই পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লির একাধিক এলাকায় পথে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষকরা। শুক্রবারও ভারতীয় কিষান সংগঠন ও বাম সংগঠনের নেতৃত্বে পাঞ্জাবের জলন্ধরে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা। জলন্ধরের ফিল্লাউর এলাকায় অমৃতসর-দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। একই সাথে অমৃতসরেও কেন্দ্র-বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন কৃষকরা।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us