হেলমেট পুরো ফাঁকা, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই ব্যাট করলেন সাহসী আফ্রিদি

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Nov 15, 2020 02:36 pm
মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই ব্যাট করলেন সাহসী আফ্রিদি

মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই ব্যাট করলেন সাহসী আফ্রিদি - ছবি সংগৃহীত

 

হেলমেটের সামনে পুরো ফাঁকা। কোনো গ্রিল নেই। এমনই বিপজ্জনক হেলমেট পরেই বাইশ গজে ফিরেই চমকে দিলেন বুম বুম শাহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তান সুপার লিগের প্লে অফ ম্যাচে খেললেন মুলতান সুলতানস বনাম করাচি কিংস ম্যাচে।

কয়েক মাস আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শেষবার মাঠে দেখা গিয়েছিল পিএসএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মার্চে। তারপর চলতি মাসের নভেম্বরে ইমাদ ওয়াসিমদের করাচি কিংসের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন করেন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক মেজাজে হাঁকাতে থাকেন তিনি। তবে ১২ বলে ১২ করার পর পেসার আর্শাদ ইকবালের বলে আউট হয়ে যান। ব্যাটে রান না পেলেও হেলমেটের কারণে শিরোনামে উঠে এসেছেন পাক তারকা।

বিপজ্জনক দেখতে এই হেলমেটের গ্রিলের টপ বারই নেই। মুখে ধেয়ে আসা বল সহজেই আঘাত হানতে পারে মুখে। সৌভাগ্যবশত, আফ্রিদিকে সেরকম কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। তবে এই হেলমেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেট মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পিএসএলের কোয়ালিফায়ারে ধারাভাষ্যকার বাজিদ খান বলেন, “জন্টির মতো আকর্ষণীয় হেলমেট পরে খেলছে। তবে এরকম হেলমেট আগে কখনো দেখিনি।” দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা জন্টি রোডস বলেন, “এই হেলমেট পড়েই কয়েক মাস আগে খেলতে নেমেছিলাম। তবে গ্রিলের টপ বার নিয়ে আমার সমস্যা ছিল। সেইসঙ্গে দেখতেও সমস্যা হচ্ছিল। নিরাপত্তার কারণে এই হেলমেট থেকে দূরে থেকেছি।”

হেলমেট তৈরি করার সময় যেন সবসময় ক্রিকেটারের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পায়, তা বরাবরই নিশ্চিত করতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি। কয়েকবছর আগে ফিল হিউজসের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর হেলমেট ডিজাইন নিয়ে আরো কড়া হয়েছে আইসিসি। আইপিএলে বিজয় শঙ্কর সরাসরি আঘাত পাওয়ার পর শচীন তেন্ডুলকর আওয়াজ তুলেছিলেন যেন ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে হেলমেট বাধ্যতামূলক করা হয়।

যাইহোক, হেলমেট নিয়ে শিরোনামে উঠে আসা আফ্রিদি ব্যাট হাতে ভেলকি দেখাতে না পারলেও করাচি কিংসের রান চেজ করার সময় ইফতিকার আহমেদকে আউট করেন। যাইহোক, মুলতান, করাচি দুই দলই ১৪১ রানে টাই হয়ে যাওয়ার পরে সুপার ওভারে শেষ হাসি হাসে কিংসরা। আফ্রিদিরা হেরে বসেন।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

তামিমের ব্যাট না হাসলেও হেসেছে লাহোর কালান্দার্স

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) শনিবার রাতে এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লাহোর কালান্দার্স ও পেশোয়ার জালমি। একাদশে জায়গা পেয়ে ব্যাট হাতে লাহোরের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল। খুব একটা জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। তবে তার দল ঠিকই জিতেছে। আর সেটা মোহাম্মদ হাফিজের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও শেষ দিকে ডেভিড ওয়েজের অবিশ্বাস্য দুই ছক্কার বদৌলতে। পেশোয়ার জালমিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছে তামিমরা।

শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে কোয়ালিফায়ারে মুলতান সুলতান্সকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে করাচি কিংস। রোববার দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে মুলতানের মুখোমুখি হবে তামিমদের লাহোর। রাত নয়টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে জিততে পারলে ফাইনালে করাচির মুখোমুখি হবে তামিমদের লাহোর কালান্দার্স।

করাচি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৭০ রান করে পেশোয়ার। জবাবে এক ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটে ১৭১ রান করে লাহোর। ৪৬ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত দারুণ ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ‘প্রফেসর’ মোহাম্মদ হাফিজ।

বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্সের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৮ রানে বিদায় ওপেনার ফকর জামান। অপর ওপেনার বাংলাদেশের হার্ড হিটার তামিম ইকবাল। দুটি চারও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেনি চট্টগ্রামের এই ড্যাশিং ওপেনার। ১০ বলে মাত্র ১৮ রান করেন সাকিব মাহমুদের শিকার। দলীয় রান তখন ২৫। দলীয় ৩৩ রানে সাকিবের বলেই আউট অধিনায়ক সোহেল আখতার (৭)। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ। তার সঙ্গে বেন ডাঙ্ক ও সামিত প্যাটেলের দুটি খণ্ড জুটি লাহোরকে জয়ের স্বপ্ন দেখায়।

সমান ২০ রান করে আউট হন ডাঙ্ক ও প্যাটেল। ১৩০ রানে লাহোর খোয়ায় পাঁচ উইকেট। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ। শেষ তিন ওভারে লাহোরের দরকার ছিল ৩৬ রান, বল প্রতি দুই রান। সাকিব মাহমুদের করা ১৮তম ওভারে দুটি চার ও এক ছক্কাসহ ১৬ রান তোলেন হাফিজ।

১২ বলে দরকার পড়ে ২০ রান। ওয়াহাব রিয়াজের এই ওভারে বিস্ময়কর কিছু উপহার দেন হাফিজের সঙ্গে ওয়েজ। প্রথম বলে চার হাঁকান হাফিজ। দ্বিতীয় বলে এক রান। তৃতীয় বলে ওয়েজ নেন দুই রান। পরের দুই বলে টানা দুই ছক্কা হাকিয়ে লাহোরকে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার। এক ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটের দারুণ জয় পায় লাহোর।
৪৬ বলে ৭৪ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হাফিজ। তার ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও দুটি ছক্কার মার। সাত বলে দুই ছক্কায় ১৬ রানে নট আউট ওয়েজ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে পেশোয়ার জালমি। ৯ উইকেটে দলটি করে ১৭০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৩৯ রান করেন শোয়েব মালিক। ১৬ বলে তিন ছক্কা-চারে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হারডাস ভিলজোয়েন। ডু প্লেসিস ৩১ রান, ওপেনার ইমাম উল হক করেন ২৪ রান। বল হাতে লাহোরের হয়ে দিলবার হোসেন তিনটি, শাহিন শাহ, হ্যারিস রউফ ও ওয়েজ দুটি করে উইকেট নেন।

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us