পুলিশ দেখে ‘ইচ্ছা’ করে বাতকর্ম, ১০ হাজার টাকা জরিমানা!

অন্য এক দিগন্ত | Apr 13, 2021 08:50 am
পুলিশ দেখে ‘ইচ্ছা’ করে বাতকর্ম, ১০ হাজার টাকা জরিমানা!

পুলিশ দেখে ‘ইচ্ছা’ করে বাতকর্ম, ১০ হাজার টাকা জরিমানা! - ছবি : সংগৃহীত

 

হাঁচি, কাশি যেমন স্বতঃস্ফূর্ত, তার বেগ যেমন চট করে আটকানো যায় না, বাতকর্মকেও ফেলতে হয় এক দলে। পাবলিক প্লেসে একজনের বাতকর্ম অবশ্য হাঁচি বা কাশির চেয়ে দুর্গন্ধের কারণে অনেক বেশি অসুবিধায় ফেলে অন্যদের। তবে সম্প্রতি এই শারীরিক কর্মকাণ্ডটি ঘিরে যে ঘটনা একেবারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিশ্বে এবং সংবাদমাধ্যমে, তার অভিঘাত বাতকর্মের তীব্র শব্দের মতোই অস্বস্তিদায়ক!

মূল ঘটনাটি অবশ্য গত বছরের। অস্ট্রিয়ার পুলিশ জানিয়েছিল যে এক ব্যক্তি এক পার্কের এক বেঞ্চে বসেছিলেন নিজের মতো। উঠে যাওয়ার সময়ে তিনি ওই পুলিশকর্মীর দিকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তাকান, তার পর সশব্দে তাকে লক্ষ্য করে বায়ুত্যাগ করেন। পুলিশের মতে এটি স্বতস্ফূর্ত ঘটনা নয়, এভাবে বাতকর্মের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি ইঙ্গিতপূর্ণ এবং অশালীন বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন। ফলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এবং ৫০০ ইউরো, বাংলাদেশী মুদ্রায় ৫০ হাজার টাকার বেশি জরিমানা করে। ঘটনাটি আদালতেও ওঠে।

আর তার পরেই দেখতে দেখতে আদালতে ঘটনাটি চলে যায় ওই নাম প্রকাশিত না হওয়া ব্যক্তির পক্ষে। তিনি আদালতে এই বলে যুক্তি দেন যে বাতকর্ম একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া, বেগ তীব্র হলে তা আটকে রাখা যায় না। তেমনই শারীরিক এই কর্মকাণ্ড ব্যক্তিস্বাধীনতার মধ্যেও পড়ে, এর জন্য কাউকে যদি প্রশাসন জরিমানা দিতে বাধ্য করে, তাহলে তা হবে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।

আদালত অবশ্য এই ব্যক্তির বক্তব্যকে আংশিক হলেও সম্প্রতি সমর্থন করেছে। ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আপাতত এক ধাক্কায় কমে এসেছে জরিমানার পরিমাণ। এখন আদালতের নির্দেশ অনুসারে এই ব্যক্তিকে জরিমানা দিতে হবে মাত্র ১০০ ইউরো, বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০ হাজার টাকা। ঠিক কোন যুক্তিকে অবলম্বন করে আদালত এই জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে দিলো?

জানা গেছে যে আদালত তার রায়ে সবার প্রথমে পুলিশকর্মীর অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছে। জানিয়েছে যে শব্দের মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মানুষ একে অন্যকে পাঠিয়ে থাকে ঠিকই, কিন্তু বাতকর্মের শব্দকে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। ফলে, এই দিক থেকে বিচার করলে অভিযুক্তের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা নেওয়া অন্যায়। তবে আদালতের মত- জনসমক্ষে সশব্দে বায়ুত্যাগ অশালীনতা, সে কারণেই সামান্য হলেও জরিমানা দিতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে।


প্রযুক্তির সাহায্যে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ, বানরকে দিয়ে গেম খেলাচ্ছেল এলন মাস্ক
বাচ্চারা ছাড়াও আজকাল ভিডিও গেম বড়রাও খেলেন। কিন্তু বানর ভিডিও গেম খেলছে এমনটা দেখেছেন কখনও? এমনই একটি ভিডিও সামনে এসেছে। আমেরিকান উদ্যোগপতি এলন মাস্ক হলেন প্রযুক্তির অন্যতম পথিকৃৎ। তার বেশ কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে নিউরালিংক যা মানব মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে দেয়। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি আমাদের অনের আশার আলো দেখাতে পারে। ৪৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের সম্প্রতি Twitter-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যাতে দেখা গিয়েছে ভবিষ্যতে এই নতুন প্রযুক্তি কী ভাবে কাজ করবে। এর লক্ষ্য হল এমন একটি ইন্টারফেস তৈরি করা যা মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে জুড়ে দেবে।

শুক্রবার, এলন মাস্ক নিউরালিংক-এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে ৯ বছর বয়সী একটি মাকাক প্রজাতির বানরের ভিডিও প্রকাশ করেন, যার নাম পেজার। দেখা য়ায় সে কম্পিউটার স্ক্রিনে একটি ভিডিও গেম খেলছে। পেজারের মস্তিষ্কের দুই পাশে প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে বিজ্ঞানীরা নিউরালিংক মাইক্রোচিপ যুক্ত করেছিলেন। স্ক্রিনে চলা গেম নিয়ন্ত্রণের জন্য পেজারকে জয়স্টিক ব্যবহার করতে দেখা যায়। ভিডিওটির ব্যাখ্যায় শোনা গিয়েছে নিউরালিঙ্কের মাধ্যমে আলাপচারিতা করা বেশ সহজ। তার জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে একটি স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

ভিডিওটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০০০ ইলেকট্রোড থেকে মস্তিষ্কে বসানো চিপ রেকর্ডারটি পেজারের মোটর কর্টেক্স এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে যা কি না হাত ও বাহু চলাচলের সিগন্যাল দেয়। বানরটির মস্তিষ্কে নিউরনের প্রবাহ কী ভাবে হচ্ছে তা দেখিয়েছেন নিউরালিংক কর্তৃপক্ষ। এখানে পেজারের মস্তিষ্কের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে তার জয়স্টিক চালানো অ্যালগরিদমে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ভিডিও গেমটি খেলার সময় বানরটি জয়স্টিকটি ব্যবহার করে। গবেষক তার স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ রেকর্ড করে এবং ডিকোডারটি ক্যালিব্রেট করেন।

এলন মাস্ক এই ট্যুইটটি করার পরই প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। কারণ কিছু নেটাগরিক কমেন্ট বক্সে লেখেন ‘এই প্রযুক্তিগত বিবর্তন আসার পরবর্তী পদক্ষেপটি হল মানুষকে নিয়ন্ত্রণের খেলা’। অন্য একজন জিআইএফ পোস্ট করেন, যাতে লেখা ছিল মানুষের পন্থা হল হিংসা এবং মৃত্যুর। এই জিআইএফ পোস্ট থেকে সহজেই বোঝা গিয়েছে বানর নিয়ে পরীক্ষা চালানো-কে তিনি সমর্থন করেন না।

নিউরালিংক-এর নতুন এই প্রযুক্তি সামনের দিনে কতটা আলোড়ন ফেলে তা সময় বলবে।

সূত্র : নিউজ ১৮

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us