কোভিড নাইন্টিন

মোজাফফর হোসেন | Apr 19, 2021 01:31 pm
কোভিড নাইন্টিন

কোভিড নাইন্টিন - অন্য এক দিগন্ত

 

গুগল সার্চ দিয়ে হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরির ফর্মুলা বের করে পড়তে থাকেন মহসিন সরকার। দু-তিন কাপ আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহলের সাথে তিন কাপ গ্লিসারিন অথবা অ্যালোভেরা জেল এবং তার সাথে পছন্দের গন্ধযুক্ত এসেনশিয়াল অয়েল মেশালেই তৈরি হয়ে যায় হ্যান্ডওয়াশ। মহসিন সরকার ফর্মুলাটা খুঁটে খুঁটে পড়ে কাগজে টুকে নেন। কিনতে যাবেন। যাওয়ার আগে ভাবেন, গত চার-পাঁচ দিন বাড়ির বাইরে যাননি। বাইরে কি অবস্থা কে জানে। খবরের কাগজ, টেলিভিশন বলছে- করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। একসাথে দু’জন চললেও জরিমানা গুনতে হচ্ছে। কান ধরে ওঠবস করাচ্ছে। মহসিন ভাবলেন, মানুষ নিজের থেকে সচেতন না হলে হোমকোয়েরেন্টিন ঠিক রাখা কঠিন হয়ে যাবে।

ভয়ে ভয়ে মহসিন সরকার বের হলেন। রাস্তাঘাট সুনসান। লোক চলাচল কম। রাস্তায় একজন অল্পবয়সী মাস্ক বিক্রেতাকে মাস্ক হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। রাস্তার দু’পাশের দোকানপাট বন্ধ। কাপড়ের বড় বিক্রেতারা দোকান খোলেইনি। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান খোলা। মহসিন সরকার হাঁটতে হাঁটতে বড়বাজারে গেলেন। এখানেও বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। তাকে সমস্যায় পড়তে হলো। হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামাল আর পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যেই সব ফুরিয়ে গেছে। সাপ্লাই নেই। দোকানদার জানালেন, হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামাল সব ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এত চাহিদা। মহসিন সরকার আরো দু-একটা দোকান ঘুরে শেষে এক দোকান থেকে আইসোপ্রোফাইল অ্যালকাহোল, অন্য এক দোকান থেকে গ্লিসারিন এবং আরেক দোকান থেকে এসেনশিয়াল অয়েল কিনে বাসায় ফিরলেন। বাঁচা গেছে, তাকে সেনাবাহিনীর টহলের সামনে পড়তে হয়নি। পড়লে কি হতো কে জানে!

বাসায় বসে হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরি করতে হবে এটা ভেবে মহসিন সরকার নার্ভাস ফিল করলেন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ইতিহাস নিয়ে। স্নাতকোত্তর। বিজ্ঞানের ল্যাবটেস্ট তার কাছে এক ভৌতিক ব্যাপার। মাঝে মধ্যে তার মনে হয়েছে বিজ্ঞান না পড়ে তিনি ভুল করেছেন। বিজ্ঞান পড়লে হয়তো তিনি ক্যামেস্ট্রি নিয়েই পড়তেন। কারণ পৃথিবীর জন্য মানুষের জন্য রসায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গোটা মানব শরীরই একটা ক্যামেস্ট্রি। মহসিন সরকার ভাবলেন, হ্যান্ডওয়াস তৈরিও তো ক্যামিস্ট্রির ব্যাপারস্যাপার। ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয় এসব জিনিস। রসায়ন না জানলে মহাবিপদ। মহসিন সরকার একটু শঙ্কিত হলেন। কি করা যায়! বাজারে তো তৈরি করা হ্যান্ডস্যানিটাইজার কিনতেও পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে ১৮ কোটি মানুষ। সবাই ব্যবহার করলে কোম্পানির তৈরি প্রোডাক্ট এক দিনেই শেষ হবে। তার ওপর কাঁচামালের অভাব। এসব চিন্তা করে মহসিন সরকার সিদ্ধান্ত নেন, যেমনই হোক তিনি এটা তৈরি করবেন। সরঞ্জামাদি গুছিয়ে স্যানিটাইজার তৈরির জন্য প্রস্তুত হলেন। মনে মনে ভাবছেন, সত্যিই কি এটা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবে! না কি এ শুধু মনের সান্ত্বনা! বিজ্ঞানীরা যা বলে সেটাই আপাতত মানুষ বিশ্বাস করে। এত দিন মানুষ চিনি খেয়ে এসেছে। এখন শোনা যায়, কাঁচা চিনি খেলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মানুষ এখন চায়েও চিনি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা যা বলে মানুষ তা বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাসটাই অন্ধবিশ্বাস। অল্পশিক্ষিত লোকেরা ধর্মে আর অর্ধশিক্ষিতরা বিজ্ঞানে অন্ধবিশ্বাস করে বেশি। কে জানে কি হচ্ছে পৃথিবীতে। মহসিন সরকার নিউজ আপডেট জানার চেষ্টা করলেন।

ড্রইংরুমে টেলিভিশন চলছে। মাঝে মধ্যে নিউজ আপডেট তার নজরে আসছে। করোনাভাইরাসে আরো একজন আক্রান্তের খবর ভেসে এলো। এ নিয়ে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পঁচিশে। এরই মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। মহসিন সরকার হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরিতে মন দিতে পারলেন না। রাজ্যের চিন্তা এসে তার মাথায় ভর করছে। তিনি শঙ্কিত হচ্ছেন। ঘেমে যাচ্ছেন। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন বেলা ২টা। তিনি মন দিলেন টিভির খবরে। উহান এখনো লকডাউন রয়েছে। ইতালি লকডাউন। তবুও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। ইরান লকডাউন, স্পেন মৃতমানুষের সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সৌদি আরব কাবা তাওয়াফ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। মসজিদে নব্বীতে জামায়াতে নামাজ বন্ধ। পাকিস্তান, ভারত তাদের রাস্তাঘাট ফাঁকা করেছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শহর নিউইয়র্ক। সেই নিউইয়র্কের রাস্তাঘাট জনশূন্য করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্ব এখন তটস্থ। মহসিন সরকার ভাবেন, বড় বড় দেশ যেখানে করোনা ঠেকাতে অস্থির হয়ে পড়েছে সেখানে বাংলাদেশ কিভাবে এর মোকাবেলা করবে। ঘনবসতির এই দেশে করোনা বিস্তার রোধ করা কল্পনাতীত। পৃথিবীশুদ্ধ মানুষ মরছে। বাংলাদেশেও মরছে। করোনা ছোঁয়াচে ভাইরাস। একজন থেকে দ্রুত হাজার জনে ছড়াতে পারে। হাজার জন থেকে লক্ষজনে বিস্তারলাভ করতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কোনো চিকিৎসা নেই। ডাক্তারাও রোগীর কাছে ভিড়তে ভয় পাচ্ছে। এই মড়কে কেউ কারো নয়। সংক্রমণের ভয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। আপনজন আত্মীয়স্বজন হিমশীতল বেদনায় বুক ভারী করে দূর থেকে চেয়ে চেয়ে লাশ দেখছে। প্রিয়জনকে, আপনজনকে স্পর্শ করার, কাছে যাওয়ার অনুমতি নেই। কি এক ভয়াবহ নিষ্ঠুর হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির জন্ম দিলো পৃথিবী।

মহসিন সরকার খেয়াল করেছেন, এই সঙ্কটে মানুষ ধর্ম সামনে আনছে। বিভিন্ন রকম গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। কোনটা সত্যি আর কোনটা গুজব সেটা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছে। মানুষ বলাবলি করছে, পৃথিবীব্যাপী অন্যায় অত্যাচার জুলুম বেড়ে গেছে। দুর্বলদের ওপর চলছে সবলের নির্যাতন। ভোগবিলাস বেড়ে গেছে। অশ্লীলতায় ছেয়ে গেছে প্রত্যেকটি সমাজ। এমন অরাজকতায় মানুষকে সতর্ক করার জন্য যুগে যুগে এরকম গজব লক্ষ করা গেছে। মানুষ যেন নিজেকে শুধরে নিতে পারে সেজন্য আল্লাহ নানা পন্থায় মানুষকে শাস্তি দিয়ে থাকেন। ইতঃপূর্বে বহু জাতিকে আল্লাহ এভাবেই শায়েস্তা করেছেন। একমাত্র আল্লাহই পারেন এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে। ইতোমধ্যে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের সব প্রচেষ্টা শেষ। আকাশের সাহায্য ছাড়া আমাদের আর করার কিছুই নেই।’

টেলিভিশনে এসব সচিত্র প্রতিবেদন দেখে মহসিন সরকার এই ভাইরাস সম্পর্কে একটি ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছেন। মহসিন সরকার মনে মনে চিন্তা করছেন, এ ভাইরাস মানবসৃষ্ট কোনো সঙ্কট কি না! না কি সত্যিই আল্লাহর গজব। তিনি নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করেন; ভাইরাস আবার মানবসৃষ্ট হয় কিভাবে হয়। বিজ্ঞান অনেক কিছু পারে। মহসিন সরকার একটু গভীরভাবে ভাববার চেষ্টা করল। ইতিহাস তিনি কম বোঝেন না। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে তার সুনাম ছিল। এখনো ইতিহাসের অনেক অধ্যায় তার দখলে। ইতিহাস পড়ে তিনি পৃথিবী ও এর রাজনীতি সহজে বুঝতে পারেন। নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন। টিভি নিউজ দেখেন। মোটের উপর পৃথিবী সম্পর্কে একটা ধারণা রাখার চেষ্টা তিনি সবসময় করেন। তিনি খেয়াল করলেন, বিগত কয়েক বছর থেকে জীবাণু অস্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছিল। পত্র-পত্রিকায় আলোচনা হতো, এখন পারমাণবিক অস্ত্রের যুগ শেষ হতে চলেছে। বিশ্বের সুপার পাওয়ার শক্তিগুলো সমগ্র পৃথিবীকে একসাথে জব্দ করার জন্য জীবাণু অস্ত্রের খেলায় মেতে উঠতে পারে। সে লক্ষ্যে চলছে গোপনে গোপনে বিভিন্ন দেশে জৈব অস্ত্রের পরীক্ষা। রাসায়নিক জীবাণু নিয়ে কাজ চলছে উন্নতবিশ্বের ল্যাবরেটরিগুলোতে।

হতে পারে করোনাভাইরাস এ রকম কোনো পরীক্ষাগারের প্রথম টেস্টকেস। মহসিন সরকারের খুব করে সন্দেহ হতে থাকল; এটিই হয়তো ঘটেছে। তিনি ইতিহাস স্মরণ করার চেষ্টা করলেন। প্রাচীনকালে প্লেগ আক্রান্ত রোগীকে যুদ্ধকূপে ফেলে প্রতিপক্ষকে বিষাক্ত পানি খাইয়ে প্লেগ আক্রান্ত ও পরাজিত করার নজির রয়েছে। এই ক্ষেত্রে প্লেগ আক্রান্ত লাশ জৈব মারণাস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। সম্রাট বারবারোসা খ্রিষ্টীয় ১১৫৫ সালে এই জৈব মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। ১৩৪৬ সালে মোঙ্গলরাও প্লেগ আক্রান্ত শরীর দিয়ে প্রতিপক্ষের মধ্যে প্লেগ ছড়িয়ে পরাজিত করতে চেয়েছিল। স্প্যানিশরা তাদের চির দুশমন ফরাসিদের বিরুদ্ধে রক্তের সাথে কুষ্ঠ রোগীর রক্ত মিশিয়ে তাদের কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত করতে চেয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সৈন্যরা চীনা গ্রামগুলোতে কমপক্ষে এক হাজার কূপ দূষিত করেছিল। তারা দেখতে চেয়েছিল কিভাবে কলেরা ও টাইফয়েড ছড়িয়ে চীনারা নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে। ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মহাখালীতে জীবাণু সংক্রমণের গবেষণাগার চালু করেছে। এখনো সেখানে দাতাদের অর্থায়নে গবেষণা হয়ে থাকে।

ইতিহাস স্মরণ করে মহসিন সরকার নিশ্চিত হতে চাইছেন যে, এই করোনাভাইরাস সত্যিই জীবাণু অস্ত্র হতে পারে। এখন কথা হচ্ছে, কে মানবজাতির এই সর্বনাশটা করে বসল। এই সন্দেহ সামনে রেখে মহসিন সরকার নিজের মধ্যে জানার কৌতূহল বাড়িয়ে দিলেন। তিনি টিভির চ্যানেল পাল্টিয়ে সিএনএন, আলজাজিরা খোঁজার চেষ্টা করলেন। ইতোমধ্যে সিএনএনে প্রচার করা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, চীন এই জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করে থাকতে পারে। চীনের উহান প্রদেশের একটি গবেষণাগার থেকে এটি ছড়িয়েছে। হয় অসাবধানতাবশত কিংবা ইচ্ছা করে চীন এই কাজ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘দ্য আইজ অব ডার্কনেস’ বইয়ের রেফারেন্স টেনে বলার চেষ্টা করা হয়েছে, এ কাজ চীন-ই করতে পারে। ‘দ্য আইজ অব ডার্কনেস’ বইটি ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘উহান ৪০০’ বা কোভিড-১৯ ভাইরাস ২০২০ সালে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়া হবে। ‘দ্য অ্যান্ড অব ডেইজ’ নামে অন্য একটি গ্রন্থেও একই আভাস পাওয়া গেছে। কোনো কোনো মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত নিউজ বিশ্বাস করতে চাইছে। কারণ করোনাভাইরাস চীনের উহান থেকেই সর্বপ্রথম ছড়িয়েছে এবং চীন তার জৈব-রসায়নের গবেষণাগুলো এই উহানের ল্যাবরেটরিতেই করে থাকে। মহসিন সরকার গুগল সার্চ দিয়ে বইটি পড়েন। তাতে দেখেন ১৯৮১ সালে বইটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয় তখন এই বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে রাশিয়ার একটি শহর গোর্কি-৪০০ ভাইরাসের কথা। ১৯৮৯ সালে বইটির দ্বিতীয় এডিশন প্রকাশ করা হলে লেখক গোর্কি-৪০০ এর পরিবর্তে উহান-৪০০ উয়েপন লেখেন।

মহসিন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগ সহজে বিশ্বাস করতে চাইছেন না। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল মিথ্যা অভিযোগ করতে ওস্তাদ। তাদের কথা বিশ্বাস করা মানে আত্মহত্যা করা। এরা ইরাকে পারমাণবিক অস্ত্রের মিথ্যা অভিযোগ তুলে দেশটাকে তছনছ করে দিয়েছে। হাজার হাজার নিরস্ত্র লোককে হত্যা করেছে। বিশ্বে যত অশান্তি রয়েছে তার বেশির ভাগ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কারণে। হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই এই জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করে চীনের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এটাও না হওয়ার নিশ্চয়তা নেই যে, যুক্তরাষ্ট্র এই ভাইরাস শিশিতে ভরে সেনাবাহিনীকে দিয়ে সেটা উহানে নিয়ে অবমুক্ত করিয়েছে। এমনও তো হতে পারে চীনকে অভিযুক্ত করার জন্য উবধহ কড়ড়হঃু কে দিয়ে ‘দ্য আইজ অব ডার্কনেস’ বইটি লিখিয়ে নেয়া হয়েছে! যুক্তরাষ্ট্র পারে না এমন কাজ নেই। চীন ও ইরান করোনাভাইরাস বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই ইঙ্গিত করছে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার হবার জন্য মহসিন সরকার আর একবার গুগল সার্চ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

(গল্পটি গত বছর মার্চে লেখা : সম্পাদক)


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us