মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ দলবদলু গুহর

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | May 22, 2021 02:35 pm
মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ দলবদলু গুহর

মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ দলবদলু গুহর - ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এবারের নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে- এমন সম্ভাবনায় তারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ওই আশায় গুড়ে বালি। ক্ষমতায় বহাল রয়েছে তৃণমূল। এমন প্রেক্ষাপটে অনেকেই আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে চাচ্ছেন।

এদেরই একজন হলেন সোনালি গুহ। তার ফেরার রেশ ধরে হয়তো আরো অনেককে তৃণমূলে ফিরে আসার দৃশ্য দেখা যাবে।

নির্বাচনের আগে টিকিট না পেয়ে ‘অভিমানে’ দলত্যাগ করেছিলেন তৃণমূলের এককালের ‘বিশ্বস্ত সৈনিক’ সোনালি গুহ। যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু তাকে টিকিট দেয়নি বিজেপিও। মাস কয়েকের মধ্যেই তাই উলটো সুর সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়কের গলায়। বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করে দীর্ঘ টুইট করলেন তিনি। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে ক্ষমাও চাইলেন।

টুইটারে দলত্যাগী নেত্রী লেখেন, “সম্মানীয়া দিদি, আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদান্তে, আপনার স্নেহের সোনালি গুহ।” অর্থাৎ পদ্মশিবিরে যে তিনি থাকতে ইচ্ছুক নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

এনিয়ে বিজেপির তরফে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “যে যেখানে শান্তি পাবে, সেখানেই যাক। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” তৃণমূলের তরফে যদিও এখনো এনিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেউ ফিরতে চাইলে, ফিরতেই পারে। এক্ষেত্রে তাই ঘাসফুল শিবিরে সোনালি গুহর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।

সাতগাছিয়ার বেশ কয়েকবারের বিধায়ক সোনালি গুহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই নেত্রী বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে তিনি অসুস্থ থাকায় তাকে সরাসরি ভোটযুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার প্রতি স্নেহ থেকেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন সিদ্ধান্ত, তেমনটা মানতে চাননি সোনালি। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর নিজের নাম না দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অভিমানের সুরে বলেছিলেন, নিজের বেদনার কথা। তার মনে হয়েছিল যে ‘দিদি’ তাকে ভুলেছেন। দিন দুই যেতে না যেতেই কান্না মুছে সোনালি সিদ্ধান্ত নেন বিজেপিতে যোগদানের। তবে ভোট মিটতেই উলটো সুর তার গলায়।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us