মধ্যপ্রাচ্য থেকে কেন মিসাইল সিস্টেম সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jun 19, 2021 01:34 pm
প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম

প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম - ছবি সংগৃহীত

 

মধ্যপ্রাচ্য থেকে মিসাইল সরাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে কমিয়ে আনা হচ্ছে সৈন্য সংখ্যাও। আন্তর্জাতিক মঞ্চে জল্পনা উসকে শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে পেন্টাগন।

বেশ কয়েক বছর ধরেই ইরাক, কুয়েত, জর্ডান ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’ মোতায়েন রেখেছে আমেরিকা। এছাড়া, ওই জায়গাগুলোতে ‘থাড মিসাইল সিস্টেম’ও রয়েছে। বিভিন্ন সেনঘাঁটিতে থাকা ওই হাতিয়ারগুলোর চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য ও টেকনিশিয়ান রাখতে হচ্ছে আমেরিকাকে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, এবার ওই সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে আনতে চলেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। জানা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কুয়েত, ইরাক, জর্ডান ও সৌদি আরব থেকে বেশ কয়েকটি মিসাইল সিস্টেম সরিয়ে ফেলতে 'ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।এই বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার জেসিকা ম্যাকনাল্টি বলেন, কয়েকটি মিসাইল সিস্টেম অন্য দেশে মোতায়েন করা হবে। কয়েকটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা হবে। মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এবং আমাদের কৌশলগত প্রয়োজন বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাতের আবহে মিত্র দেশগুলো থেকে মিসাইল সিস্টেম কেন সরাচ্ছে আমেরিকা? এর উত্তরে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এবার ইরানের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে চাইছে ওয়াশিংটন। কারণ, চীন ও রাশিয়া এবার আমেরিকার মাথা ব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনের হাত থেকে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নিয়ে ইউরোপে নিজের অভিসন্ধি সাফ করে দিয়েছে মস্কো। একইভাবে, দক্ষিণ চীন সাগরে আগ্রাসন চালিয়ে আমেরিকাকে বিপাকে ফেলেছে বেইজিং। ফলে ওই দুই দেশকে নজরে রেখেই মিসাইল মোতায়েন করতে চলেছে পেন্টাগন। তাই ইরানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্রন্টে আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষেই বাইডেন প্রশাসন।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

ইরানে নতুন সরকার গঠনের আগেই সমঝোতা চায় আমেরিকা

ইরানের নয়া প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের আগেই পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে তেহরানের সাথে একটি চূড়ান্ত ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে চায় ওয়াশিংটন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক এ খবর দিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করার আগে এখনো হাতে যে ছয় সপ্তাহ সময় রয়েছে তার মধ্যেই ইরানের সাথে একটি রফাদফা করে ফেলতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কারণ, তিনি মনে করছেন, তেহরানের ক্ষমতায় পরিবর্তন হওয়ার পর চলমান ভিয়েনা সংলাপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরো জানান, ‘আমরা যদি ইরানের নতুন সরকার গঠিত হওয়ার আগে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারি তাহলে ভিয়েনা আলোচনা থেকে একটি ফল বের করে আনার সম্ভাবনা নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তৈরি হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আলোচনা যত দীর্ঘায়িত হবে তা থেকে ফলাফল আশা করা কঠিনতর হয়ে পড়বে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরো বলেন, ইরান আন্তরিকতা নিয়ে ভিয়েনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তেহরানের সাথে একটি চূড়ান্ত সমঝোতা অর্জিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার আগের অবস্থায় সক্রিয় করার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বর্তমানে ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে ইরানের সংলাপ চলছে। ভিয়েনায় আলাদাভাবে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল উপস্থিত রয়েছে এবং তারা ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করছে। আমেরিকা ২০১৮ সালে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে দেশটির সাথে সরাসরি বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তেহরান।

সূত্র : পার্সটুডে


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us