২৫ মণের বাংলার নবাবের দাম ১২ লাখ টাকা

আকরাম হোসাইন শেরপুর (বগুড়া) | Jun 30, 2021 01:57 pm
বাংলার নবাব

বাংলার নবাব - ছবি : নয়া দিগন্ত

 

আর কিছু দিন পর কোরবানির ঈদ। তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। খামারি ও বেপারীরাও সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে কোথায় কোথায় পশুর হাট বসানো হবে তা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। তবে পশুর জোগান বেশি থাকায় ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে খামারিরা।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর গ্রামের আমিনপুর উত্তরপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম শখের বশে তিন বছর ধরে ব্রাহমা জাতের একটি গরু ‘বাংলার নবাব’ লালন পালন করেছেন। ছয় দাঁতের গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ২৫ মণ। গরুটির ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে তিনি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করেছেন গরুটিকে। রেজাউল ২৫ মণ ওজনের গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। যদি কেউ গরুটি কিনতে চান তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৫৫৯১৬৬৩ মোবাইল নম্বরে।

জয়লা গ্রামে শামীম হোসেনের খামারে গিয়ে দেখা যায়, তিনি খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। ৮০ হাজার টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে তার খামারে। যদি কেউ তার খামার থেকে গরু কিনতে চান তাহলে ০১৭৩৩২৬৬৬০৪ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

খামারি শামীম হোসেন বলেন, এবার গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছি। সবচেয়ে বড় ভয় হলো পশু বিক্রি না করতে পারলে বছর জুড়ে খাটানো টাকার পুরোটাই লোকসান হয়ে যাবে। পরের কোরবানি পর্যন্ত পশু লালন-পালন করতে অনেক টাকা খরচ হবে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে চোরাই পথে গরু এলে এবার বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে তিনি জানান। এবার যাতে অন্য দেশ থেকে পশু না আসে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রাণী সম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, গত বছরের মতো এবারো কোরবানির পশুর সঙ্কট হবে না। বরং চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকবে। আর পশুর জোগান বেশি থাকায় ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা।

উপজেলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলায় এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৪৬৩টি। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৮৫২ হাজার গরু-মহিষ ও ১১ হাজার ৬১২ হাজার ছাগল ও ভেড়া।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আমির হামজা জানান, কোরবানির পশুর চাহিদা দেশী পশু দিয়ে পূরণ হয়। এবারো তারা স্বাবলম্বী। সুতরাং কোরবানির পশু নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তিনি জানান, দেশে পশু খামারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গবাদিপশু সুস্থ রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে পশু মোটাতাজাকরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে না। কারণ প্রাকৃতিক উপায়ের তুলনায় রাসায়নিকভাবে মোটাতাজা করলে খরচ বেশি হয় এবং ঝুঁকিও থাকে। আর সেই পশুর গোশত মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। কৃষকরাও তা বুঝতে পেরেছে। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও আমাদের কার্যক্রম এক দিনের জন্যও থেমে থাকেনি।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us