তারেককে কেন সবাই টার্গেট করছে?

গোলাম মাওলা রনি | Jul 08, 2021 07:12 pm
তারেক রহমান

তারেক রহমান - ছবি : সংগৃহীত

 

রাষ্ট্র এবং সরকারের হাতে এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে। তারা ইচ্ছে করলে যেকোনো অছিলায় জনগণের যেকোনো সম্পত্তি দখল করতে পারে- প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করতে পারে। টাকা-পয়সা, সোনা-দানা, জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে আরো অনেক দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্য বিষয়-বস্তুও তারা কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। এসব করার জন্য আধুনিক রাষ্ট্রে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে বটে- কিন্তু কর্তাব্যক্তিরা যদি চান তবে আইনের বাইরে গিয়েও অনেক কিছু করতে পারেন অনেকটা মধ্যযুগীয় কায়দায়। মধ্যযুগে যেভাবে বিজয়ী রাজা সব কিছুকে গণিমতের মাল মনে করতেন, তেমনি ক্ষমতাধর রাজা বাদশাহরা প্রজাদের স্ত্রী-কন্যা-দাস-দাসী থেকে শুরু করে অন্য সব সহায়-সম্পত্তিকে নিজেদের ভোগ-দখলের জন্য অবারিত মনে করতেন। মধ্যযুগের সামন্ততান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ক্ষমতাধরদের যে মন-মানসিকতা ছিল তা আধুনিককালে ক্ষেত্র বিশেষে কিছুটা কৌশল পরিবর্তন করেছে মাত্র। কিন্তু যেসব রাষ্ট্রের ক্ষমতাধররা নিজেদের মধ্যযুগের সামন্ত প্রভুদের মতো মনে করেন তারা কিন্তু আচার-আচরণে আদিম যুগের চেয়েও বন্যতা ও নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেন।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমি কবিতায় উপেনের শেষ সম্বল দখলের জন্য জমিদার বাবু যে কৌশল অবলম্বন করেছিল, প্রায় একই কৌশল গ্রহণ করেছিল নাদির শাহ দিল্লির বিখ্যাত ময়ূর সিংহসান ও কোহিনূর পাথর হস্তগত করার জন্য। সম্রাট আলাউদ্দিন যেভাবে পদ্মাবতীকে হস্তগত করতে চেয়েছিল ঠিক একইভাবে রাবণ চেষ্টা করেছিল সীতাকে বাহুলগ্ন করার। গ্রিক সাহিত্যে হেলেনকে চুরি করে নেয়া এবং পরিণামে ট্রয় নগরীর ধ্বংসের সাথে আমাদের দেশের স¤্রাট হর্ষবর্ধনের বোন রাজ্যশ্রীকে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানির কারণে মালাবারের রাজা দেবগুপ্তের কী পরিণতি হয়েছিল তা আমরা কমবেশি জানি।

ক্ষমতাধর সামন্ত প্রভুরা যখন সহায়-সম্পত্তি-স্ত্রী-পুত্র ইত্যাদি লুট করতেন তখন প্রায়ই তাদের কোনো ঝামেলায় পড়তে হতো না। কিন্তু তারা যখন সাধারণ মানুষের আবেগ অনুভূতির জায়গাগুলোতে আক্রমণের তাণ্ডব শুরু করতেন অমনি তাদের পতনঘণ্টা বাজতে আরম্ভ করে দিত। আমাদের দেশের কুখ্যাত ১/১১’র সময়ে তৎকালীন কুশীলব এবং তাদের দোসরদের সব অন্যায় অত্যাচার কিন্তু মানুষ মেনে নিয়েছিল। কিন্তু তারা বাড়তে বাড়তে যখন বেসামাল হয়ে পড়ল এবং রুই কাতলা শিকার করবে বলে ঘোষণা দিয়ে হাসিনা-খালেদাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার জন্য জাল ফেলল, ঠিক তখনই পুরো পরিস্থিতি তাদের প্রতিকূলে চলে গেল। পরে তাদের পতন এবং বর্তমানে তাদের হাল হকিকত কিরূপ তা আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু আফসোস! ক্ষমতাধররা অতীতকালের মতো বর্তমানকালেও সব কিছু বেমালুম ভুলে গেছে।

যে কথাগুলো বলার জন্য এত্তোবড় লম্বা ভূমিকা টানলাম সে কথার সারবস্তু হলো, সরকারি দল যেভাবে জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, ইনু মিয়ার জাসদ, মাইজভাণ্ডারী, ড. কামালের গণফোরামকে সংসদের ভেতরে ও বাইরে অধিগ্রহণ করে নিয়েছে, ঠিক একইভাবে তারা বিএনপি ও জামায়াতকে অধিগ্রহণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। দুই বিঘা জমির জমিদার বাবুর বাগান বাড়ির আকৃতি যেমন উপেনের শেষ দুই বিঘের বসতভিটে ছাড়া বর্গাকার হচ্ছিল না, তদ্রূপ বিএনপি-জামায়াত অধিগ্রহণ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহজাত স্বভাব-মন-মানসিকতার ষোলোকলা পূর্ণ হচ্ছে না। ফলে তারা গত কয়েক বছর ধরে হাজারো ছলা-কলা, জুলুম-অত্যাচার-মামলা-হামলা, অর্থ বিনিয়োগ, ভাড়া করা মীরজাফর, রায় দুর্লভ-জগৎ শেঠদেরকে দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে বহু হীরাঝিল-মতিঝিল প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করা, ঘসেটি বেগমদের দিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে শত সহস্র বিষবৃক্ষ তৈরি করার পরও কাক্সিক্ষত সফলতা পায়নি একজন মোহন লালের কারণে। ফলে সেই মোহন লালকে রাজনীতির ময়দান থেকে তাড়ানোর জন্য জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে যে ত্রিমুখী আক্রমণ শুরু হয়েছে সেই আক্রমণের পরিণতি কী হতে পারে তা কিন্তু আমরা আকাশ-বাতাস-নদ-নদীর দিকে তাকালেই বুঝতে পারি।

বাংলাদেশের অপরাপর রাজনৈতিক দল এবং বিএনপির মধ্যে কতগুলো মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতার বীরত্ব-সততা এবং দক্ষতা রীতিমতো কিংবদন্তি হয়ে রয়েছে। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র হাতে বীরত্ব দেখাতেন অমন বীর হাজার বছর তো দূরের কথা আরো লম্বা ইতিহাস খুঁজলেও বাংলার জমিনে পাওয়া যাবে না। সেই বীর যখন ধার্মিক হিসাবে মসজিদে যেতেন তখন তার মধ্যে সে সততা-নিষ্ঠা ও মুমিন মুত্তাকির গুণাবলি জ্বলজ্বল করত তা বাংলার অন্য কোনো শাসকের মধ্যে দেখা যায় না। আবার এই মহামানব যখন রাষ্ট্রনায়করূপে দেশ-বিদেশে কর্ম করে বেড়িয়েছেন এবং যে সফলতা অর্জন করেছেন তাও পরবর্তী বা পূর্ববতী অন্য কারো মধ্যে পাওয়া যায় না। ফলে বাংলার প্রতিইঞ্চি ভূমি এবং বাংলার সাথে সম্পর্কযুক্ত বিশ্বের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যেভাবে জিয়াকে স্মরণ করে তাতে জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ তথা মূলমন্ত্র প্রকৃতির অপার মহিমায় আকাশ-বাতাস এবং ভূমিতে স্থায়ীভাবে শিকর গড়ে তুলেছে। ফলে জমিনের নবজাতকের পঞ্চইন্দ্রিয়তে যখন প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলের গৌরবগাথা প্রাকৃতিক মহিমায় অনুরণিত হয় তখন সে দলটি যে বিএনপি তা ইতিহাস দিয়ে প্রমাণিত।

আমাদের দেশের কিশোর-তরুণরা সাধারণত পিতামাতা-আত্মীয়-স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে ক্ষেত্রবিশেষে কোনো দলের অনুরক্ত হয়। কিন্তু কোনো রকম পারিবারিক প্রভাব ছাড়া কিশোর-যুবকরা পাইকারি হারে যে দলটির প্রতি অনুরক্ত হয় সেটির নাম বিএনপি। শুধু তই নয়, অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় যে, বাবা-দাদা-ভাইদের রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির টানে শত সহস্রর কিশোর-যুবক স্বপ্রণোদিত হয়ে পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। বিএনপির এই গণজোয়ারের চাপ যে কত প্রবল তা আমরা দেখতে পেয়েছি তখন যখন বাংলায় মোটামুটিভাবে রাজনীতি করার মতো একটা পরিবেশ এবং প্রতিবেশ ছিল।

বিএনপির উল্লেখিত ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সাথে যুক্ত হয়েছে শহীদ জিয়ার স্ত্রী এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ইতিহাস। যে সততা-নিষ্ঠা-সাহস এবং নেতৃত্বের অনুপম গুণাবলি নিয়ে তিনি রাজপথে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন তা এ দেশের অন্য কারোর সাথেই তুলনীয় নয়। শালীনতাবোধ, পরিমিত কথাবার্তা, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অরুচিকর ও অশ্লীল মন্তব্য না করা, জ্ঞানী-গুণীদেরকে মর্যাদা দেয়া এবং শাসনকার্যে যুগান্তকারী সফলতার কারণে তিনিও তার প্রয়াত স্বামীর মতো জনগণের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা এবং মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। ফলে তিনি কথা না বললেও জনগণ তার পক্ষে কথা বলেন এবং তিনি কোনো প্রতিশোধ না নিলেও তার পক্ষে প্রকৃতি এগিয়ে এসে অনেক বিষয়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করে থাকে। ফলে তার রাজনৈতিক জীবনে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারী এবং অদৃশ্য শয়তান-জিন-ভূত-অশরীরী আত্মার সম্মিলিত উপর্যুপরি কূটচাল সত্ত্বেও মানুষের আত্মার আকুতি এবং প্রকৃতির দয়ায় তার মান-মর্যাদা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।
শহীদ জিয়া এবং বেগম জিয়ার পর বিএনপি নেতৃত্বের তৃতীয় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন তারেক রহমান। আমার কাছে তারেকের একটি বিষয় খুবই অভাবনীয় এবং আশ্চর্যজনক বলে মনে হয়।

রাজনীতি করতে এসে তার পিতা এবং তার মা যতটা না বিপদ-বিপত্তির মুখে পড়েছেন অথবা দলের ভেতর অথবা বাইরের শত্রুর মোকাবেলা করেছেন তার চেয়েও শতগুণ বাধাবিপত্তি তারেককে সর্বদা অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরে রাখে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাকে যেসব বদনামী, অপপ্রচার এবং চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হয়েছে তা বাংলাদেশের কোনো রাজনীতিবিদদের জীবনে ঘটেনি। ১/১১ সময়ে কারাবরণ এবং ১/১১-এর কুশীলবদের ব্যক্তিগত রোষানলে পড়ে তিনি যে সামাজিক, মানসিক, পারিবারিক এবং রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিলেন তা যদি তার সমালোচকদের কারো জীবনে শত ভাগের এক ভাগ ঘটত তবে তারা প্রথমত বাবার নাম ভুলে যেত। তারপর তাদের শরীরে এমন বেগে ডায়রিয়া দেখা দিত যার প্রকোপে এবং দুর্গন্ধে প্রথমে নিজেরা মরত এবং তাদের ডায়রিয়াজাত বর্জ্যরে দুর্গন্ধে আশপাশের লোকজনও মারা পড়ত। অন্য দিকে, তারা যদি কোনো মতে বেঁচে যেত তবে বাকি জীবনে সারা শরীরে ডাস্টবিনের বৈশিষ্ট্য বহন করত অর্থাৎ তারা মুখ খুললে লোকজন নাকে হাত দিয়ে বলত ওই দেখো ডাস্টবিনের ঢাকনা খুলে গেছে।

উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমান যে বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন এবং তার প্রতিপক্ষের আরামকে হারাম করে দিচ্ছেন তা ভাবতে গিয়ে আমি প্রায়ই হিসাব মেলাতে পারি না। বিএনপির মতো এতবড় একটি রাজনৈতিক দল এবং সেই দলের ঝানু ঝানু বাঘা প্রকৃতির শত সহ¯্র নেতাকর্মী যারা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্বৈরাচারের সিংহাসন কাঁপিয়ে তুলেছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘদিন দেশ চালানোর অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তাদের সীমাহীন আনুগত্য, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তিনি কিভাবে পাচ্ছেন! তার কাছে তো গত ১৫ বছর ধরে টিআর, কাবিখা, টিন, বিস্কুট, কন্ট্রাকটরির ব্যবসা, কমিশন, চাকরি দেয়ার ক্ষমতা, লুটপাট-টাকা পাচারের অবাধ লাইসেন্স প্রদানের ক্ষমতা, মদ-গাজা-ক্যাসিনো ইত্যাদির লাইন্সেস দিয়ে মাফিয়াদের বাগে রাখা অথবা ব্যাংক-বীমার লাইসেন্স প্রদান অথবা ব্যাংক-বীমা-শেয়ার মার্কেট লুট করার লাইসেন্স দেয়ার ক্ষমতা নেই- তথাপি কেন কোটি কোটি নেতাকর্মী তার হুকুম মানছে এবং তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে!

বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে হাইব্রিড-কাউয়া, ভারতীয় এজেন্ট, ইত্যাদি নেই। এই দলের নেতাকর্মীরা অবোধ-শিশু-বেকুব বা পাগলও নয়। বরং শিক্ষা-দীক্ষা, পারিবারিক ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যে এই দলের নেতাকর্মীদের যে ঐতিহ্য রয়েছে তার সাথে তুলনা করার মতো এ দেশে আর কয়টি দল রয়েছে তা আমার জানা নেই। সুতরাং একবিংশ শতাব্দীর এই মহাসন্ধিক্ষণে যখন পুরো পৃথিবী প্রযুক্তির যন্ত্রণায় পাগল হবার উপক্রম, যখন পিতামাতা তার সন্তানকে টেলিভিশন-কম্পিউটার-মোবাইলের আসক্তি থেকে এক ঘণ্টার জন্য মুক্ত করে খাবার টেবিলে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন তখন সুদূর লন্ডনে বসে তারেক রহমান এমনকি চুম্বক আবিষ্কার করেছেন যার আকর্ষণে বিএনপির কোটি কোটি কর্মী গত ১৫ বছরের শত জুলুম-নির্যাতন-গুম হত্যা-জেল-জরিমানা-মামলা-হামলার প্রতি থু থু নিক্ষেপ করে দলটিকে আঁকড়ে ধরে আছেন তা জানার জন্য তার প্রতিপক্ষরা রীতিমতো পাগল হয়ে গেছে।

বিএনপির প্রতিপক্ষদের একমাত্র টার্গেট তারেক। পলাশীর ময়দানে মহাবীর মোহন লালকে যেভাবে মীর জাফর-ক্লাইভ এবং উঁমিচাঁদরা টার্গেট করেছিল ঠিক একইভাবে তারেক ও বাংলার রাজনীতি-বাংলার গণতন্ত্র এবং বাংলার সুশাসন ও ন্যায়বিচার ধ্বংকারীদের মূল টার্গেট। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের দোসর ছাড়াও বহু অদৃশ্য অপশক্তিকে মোকাবিলা করে তারেক রহমান কি শেষাবধি তার পিতার ঐতিহ্য মায়ের সুনাম এবং বিএনপির কোটি কোটি নেতাকর্মীর আবেগ-অনুভূতি ও আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন, নাকি- গ্রিক ট্রাডেজির নায়করূপে রাজনীতি থেকে বাদ পড়বেন ঠিক যেভাবে বাদ পড়েছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ওয়াটার লু যুদ্ধের মাধ্যমে। যদি তাই হয় তবে কে হবেন বিএনপির নতুন কাণ্ডারী?

আপনি যদি তারেক রহমানের পতন নিয়ে অতিমাত্রায় উৎসাহী হন তবে আমি বলব তারেকের গত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করতে এবং একই সাথে তার প্রতিপক্ষের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করার জন্য। এরপর আপনি যদি তার পিতা ও মায়ের প্রতি প্রকৃতির অবারিত সাহায্য এবং এ দেশের মাটি ও মানুষের সাথে বিএনপির সম্পর্কটি ওজন করার চেষ্টা করেন তবে বাংলাদেশের সাথে তারেক রহমানের বন্ধন- দেশের মাটির সাথে তার সম্পর্ক এবং মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে তার জন্য যে অনুভূতি রয়েছে তা কোনো চক্রান্তকারীর পক্ষে কোনো অবস্থাতেই ছিন্ন করা সম্ভব নয়।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us