এত রোগ সারায় কালো জিরা!

নজরুল ইসলাম টিপু | Jul 13, 2021 07:13 pm
এত রোগ সারায় কালো জিরা!

এত রোগ সারায় কালো জিরা! - ছবি : সংগৃহীত

 

কালো জিরা, ইংরেজি Black Cumin হিসেবে বহুল পরিচিত। কালো বর্ণের স্বচ্ছ দানাদার এই বীজকে সর্ব-রোগের মহৌষধ বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে রোগ নিরাময়ের অন্যতম পথ্য হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। ইউনানি, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কালো জিরার বহুবিধ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, সে জন্য এটাকে কখনো কালোজিরা না বলে কালো হীরা নামেও অভিহিত করা হয়।

স্বয়ং রাসুল সা. কালো জিরা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, "কালো জিরায় সকল প্রকার রোগের উপশম আছে, তবে ‘আসসাম’ ব্যতীত। আর ‘আসসাম’ হলো মৃত্যু।” (মুসলিম-৫৬৫৯) এই হাদিস থেকে একটি কথা পরিষ্কার হয়ে যায়, যে সচেতন ব্যক্তি বাল্যকাল থেকে বৃদ্ধাবস্থা অবধি যদি প্রতিদিন কালোজিরা খায়, তার মরণ রোগ ব্যতীত অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হবে না। তবে যিনি ইতিমধ্যে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেই তার কথা তো ভিন্ন।

এর শিরোনাম যদি দেয়া যায়, “কালো জিরা : নিয়ত করে খেলে যে বিচি রোগ সারায়” তবে কেমন হয়? এ কথাটি প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত ধরতে হবে। কেননা রোগীর যে রোগ আছে তা তো যাবেই, যে রোগ লুকায়িত আছে সেটাও যাবে। মূলত কালোজিরায় এমন ঔষধি গুণ রয়েছে, যা মানুষের দেহকোষকে সজীব ও তাজা করে তোলে। অসুস্থ কোষগুলো সারিয়ে তোলে এবং মৃত কোষকে মিটিয়ে দেয়। মানুষের যত-রোগ হয়, তা কোনো না কোনোভাবেই দেহ কোষকে আক্রান্ত করে। কলিজা, ফুসফুস, কিডনি, হার্ট, অগ্নাশয় ও অন্ত্রে বহু নামের ভিন্ন ভিন্ন রোগ হয়। রোগের নাম যাই হোক না কেন, তা কোষকেই আক্রান্ত করে। একটি শিশু সদা প্রাণচঞ্চল থাকে। কারণ, তার দেহ কোষ সজীব। একজন বৃদ্ধ প্রাণ চঞ্চলতা হারায়। কারণ, তার দেহ কোষের অনেকগুলো মরে গেছে নতুবা আক্রান্ত। মানবের দেহ কোষ সজীব হলে, সে দেহে আর কোনো রোগের আলামত থাকে না। তাই দেহ-কোষকে সতেজ, সজীব ও প্রাণবন্ত রাখতে যে উপাদান দরকার, তা কালো জিরার মধ্যেই লুকায়িত।

কালো জিরা একটি মৌসুমি উদ্ভিদ। পাতাগুলো সরু এবং নীলাভ ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। একটি জিরা ফলের ভিতরে অনেকগুলো কালো বীজের জন্ম হয়। এগুলোই পরে জিরা হিসেবে বাজারে আসে। জিরা একটু তেতো প্রকৃতির বলে অনেকেই এটা খেয়ে মজা পায় না। যেহেতু তেতো সেহেতু এটা মসল্লা হিসেবেও ব্যবহার হয় না। যার ফলে সাংসারিক কাজ কিংবা রান্নাঘরে এর অভাব অন্যান্য মসল্লার মতো অনুভূত হয় না। তারপরও অনেকে এটাকে সবজি, ভাজিতে দিয়ে দেন। বেকারির রুটি, পাউরুটিতেও ব্যবহার আছে।

সুতরাং কালোজিরা খেতে হয় তার গুরুত্ব বোঝে। নুতবা স্বাভাবিক সাংসারিক জীবনে কালোজিরার প্রয়োজনীয়তা কী তা কেউ বুঝে না।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us