ড্রোন যুদ্ধ : তুরস্কের পথ অনুসরণ করতে প্রস্তুত হচ্ছে ফ্রান্স

অন্য এক দিগন্ত | Jul 27, 2021 12:37 pm
ড্রোন যুদ্ধ : তুরস্কের পথ অনুসরণ করতে প্রস্তুত হচ্ছে ফ্রান্স

ড্রোন যুদ্ধ : তুরস্কের পথ অনুসরণ করতে প্রস্তুত হচ্ছে ফ্রান্স - ছবি : সংগৃহীত

 

তুরস্কের ড্রোন সাফল্যের বিষয়টি এখন অনেক উন্নত দেশের চোখেও পড়েছে। ওইসব দেশ এখন তুরস্ককে অনুসরণ করতে চাচ্ছে। এমন একটি দেশ হলো ফ্রান্স।

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং নিজের দেশে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আত্মরক্ষার জন্য ফ্রান্সকে অবশ্যই তার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তার মনুষ্যবিহীন আকাশযান ড্রোন বহরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করতে হবে। সম্প্রতি দেশটির সিনেট প্রতিরক্ষা কমিটিতে পেশ করার জন্য তৈরিকৃত একটি প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

এএফপির যাচাই করা এবং দৈনিক উয়েস্ত-ফ্রাঁসে প্রকাশিত ড্রোন যুদ্ধের প্রস্তুতি : একটি কৌশলগত বিষয় শিরোনামে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০১৪ সাল থেকে ফ্রান্স তার ড্রোন-বিষয়ক ঘাটতি পূরণে ব্যস্ত। কয়েক বছর আগের সামান্য কিছু ড্রোনের লোকের তুলনায় ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির মালিকানায় কয়েক হাজার ড্রোন থাকবে।

বিশ্বজুড়ে তুরস্কের সাফল্যের কথা স্বীকার করে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে : সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি যুদ্ধে, যার মধ্যে শুধু ২০২০ সালের নাগোর্নো-কারাবাখ সংঘাতই নয়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে লিবিয়ায় সংঘর্ষ এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে উত্তর সিরিয়ার তুর্কি অভিযান অন্তর্ভুক্ত; তুরস্ক সাফল্যের সাথে কৌশলগত ড্রোন এবং ক্ষুদ্রাকৃতির ড্রোন ব্যবহার করেছে ।

ইসরাইল, চীন, তুরস্ক ও ইরানের মতো স্বল্প ব্যয়ের ও ক্ষতিযোগ্য ড্রোন নির্মাণে বিনিয়োগ করার জন্য প্রতিবেদনে দেশটিকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতে এমন যুদ্ধকৌশলের পূর্বাভাস দিচ্ছে যেখানে ড্রোনের ভূমিকা হবে সর্বব্যাপী।

তুরস্কের ড্রোন কৌশল বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। লিবিয়া, সিরিয়া এবং নাগোর্নো-কারাবাখে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারসাম্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আঙ্কারার সাম্প্রতিক সাফল্যের আলোকে অনেক দেশ তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলগুলি পুনঃমূল্যায়ন করতে প্ররোচিত হয়েছে।

বায়রাক্তর টিবি২ ইউএভি, যা তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংস্থা বায়কার টেকনোলজিস উদভাবিত এবং প্রস্তুত করেছে, ২০১৫ সাল থেকে তা তুর্কি সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশটির সুরক্ষা অধিদফতর ব্যবহার করে আসছে। অতি সম্প্রতি কারাবাখ সংঘাতে আজারবাইজানের সামরিক সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয় এই সমরাস্ত্রকে।

টিবি২ ইউএভি কৌশলগত পর্যবেক্ষণ এবং নজরদারি অভিযানের জন্য তৈরি করা হয়েছে; এটি গুলি বহন এবং লেজার লক্ষ্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে হামলা পরিচালনাও করতে পারে।

তুর্কি ড্রোনগুলোর জন্য প্রতিটির জন্য ১ থেকে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়। অন্য দিকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর এক একটি ড্রোনের পিছনে ২০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করতে হয়ে থাকে বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, অন্যান্য দেশ যে এখন সামরিক প্রযুক্তিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তুর্কি টিবি২ ড্রোন তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

উল্লেখ্য, অদূর ভবিষ্যতে ব্যয়বহুল জঙ্গিবিমানের বিকল্প হয়ে ওঠতে পারে ড্রোন।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us