আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেই তুরস্কের সাথে মহড়া চালাচ্ছে আজারবাইজান

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Sep 09, 2021 05:12 pm
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধের একটি দৃশ্য

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধের একটি দৃশ্য - ছবি সংগৃহীত

 

আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রী লেয়লা আব্দুল্লায়েভা বুধবার বলেছেন, আজারবাইজানের লাচিন জেলায় আজারবাইজান-তুর্কি কৌশলগত যৌথ সামরিক মহড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

লাচিন জেলায় আজারবাইজান-তুর্কি যৌথ মহড়া অনুষ্ঠান ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা ভঙ্গ করবে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা ক্ষুন্ন করবে- আর্মেনীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন দাবির সমালোচনা করে আব্দুল্লায়েভা এই মন্তব্য করেন,

'নিজস্ব সীমানার মধ্যে যেকোনো মহড়া চালানোর প্রতিটি রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার,' বলেন আব্দুল্লায়েভা।

তিনি উল্লেখ করেন, এখন পর্যন্ত আজারবাইজান নিজ ভূখণ্ডে অসংখ্য সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে, যার মধ্যে সহযোগী দেশগুলোর অংশগ্রহণে যৌথ মহড়াও রয়েছে।

মুখপাত্রী আরো বলেন, 'লাচিন জেলায় [২০২০ সালের দ্বিতীয় কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনীয় দখল থেকে মুক্তকৃত] শুরু হওয়া যৌথ কৌশলগত মহড়া একই ধরনের একটি পদক্ষেপ, যা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।'

'আমরা আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কোন রাষ্ট্র তার ভূখণ্ডে সামরিক মহড়া চালালে আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে না; বরং শান্তি এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে অন্য দেশের ওপর আঞ্চলিক দাবি উত্থাপন করলে, সামরিক আগ্রাসনের নীতি অনুসরণ করলে, অন্য দেশের এলাকা দখল করলে এবং আন্তর্জাতিক আইনকানুন উপেক্ষা করলে- যেমনটা আর্মেনিয়া বহু বছর ধরেই করে আসছে।' তিনি আরো উল্লেখ করেন।

'যদি আর্মেনিয়া এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী হয়, তাহলে দেশটিকে অবশ্যই তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে,' আবদুল্লায়েভা বলেছিলেন।

১৯৯১ সাল থেকে সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। ওই বছর আর্মেনীয় সামরিক বাহিনী সাতটি সংলগ্ন এলাকাসহ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগোর্নো-কারাবাখ, যা পার্বত্য কারাবাখ নামেও পরিচিত, দখল করে।

৪৪ দিনের সংঘর্ষের পর গত ১০ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে যুদ্ধ শেষ হলে আর্মেনীয়দের হাতে প্রায় তিন দশকের দখল থাকা বেশ কয়েকটি শহর এবং প্রায় ৩০০ জনবসতি ও গ্রাম মুক্ত করে আজারবাইজান।

এই যুদ্ধবিরতিকে আজারবাইজানের জন্য বিজয় এবং আর্মেনিয়ার জন্য পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনী চুক্তি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার করেছে।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us