কর্তৃত্ববাদী শাসন আইডিইএ’র প্রতিবেদন

হারুন জামিল | Dec 22, 2021 02:22 pm
কর্তৃত্ববাদী শাসন আইডিইএ’র প্রতিবেদন

কর্তৃত্ববাদী শাসন আইডিইএ’র প্রতিবেদন - ছবি : সংগ্রহ

 

বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র বড় বিচিত্র। এখানকার আবেগতাড়িত রাজনীতি কোনো হিসাবের ধার ধারে না। কে কখন কি বলেন, তাও আন্দাজ করা মুশকিল। এখানে রাজনীতিতে ভুল স্বীকার করার রেওয়াজ খুব বেশি নেই।

মহাকেলেঙ্কারী মাথায় নিয়ে মন্ত্রিসভায় বহাল তবিয়তে থাকার নজির ভুরি ভুরি। এখানে টিকে থাকা নির্ভর করে উপরমহলে কার কতটুকু প্রভাব ও ম্যানেজ করার যোগ্যতা আছে তার ওপর। কিন্তু কখনো কখনো এমনো হয় মন্ত্রী কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিকে বিদায় নিতেই হয়। মাসাধিক কালজুড়ে একের পর এক সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত ও নোংরা বক্তব্য দিয়ে দেশজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দেন সরকারের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে মাসখানেক আগে তিনি প্রথম বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তিনি মানেন না। স্বীকারও করেন না।

১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থার যে ধারণা তিনি এবং সরকার সেখানেই ফিরে যাবেন। এবং তার এই উক্তি নিজের নয়। সরকারের। এমনই বক্তব্য ছিলো তার। প্রতিমন্ত্রী বিরোধী দলকে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেয়ার হুমকি দেন এবং বলেন, ছাত্রজীবনে এ অপকর্ম তিনি বহুবার করেছেন। তার একথায় সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফরমে হৈ চৈ পড়ে গেলেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এনিয়ে তেমন মাথা ঘামানো হয়নি। শুধু এতটুকু বলা হয়েছে; এ বক্তব্য তার নিজস্ব। এরপর বেসামাল মুরাদ হাসান একের পর এক বিধ্বংসী বক্তব্য দিতে থাকেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াত নেতারা তার আক্রমণের নিশানায় পরিণত হতে থাকেন। সর্বশেষ তিনি বক্তব্য দেন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান ও জাইমা রহমানকে নিয়ে। অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় তিনি যেসব কথা বলেছেন তা যেকোনো বিবেকবান মানুষকে নাড়া দেবে। আমাদের রাজনীতির অন্দরমহলে লুকিয়ে থাকা একশ্রেণীর নেতার চরিত্র সম্পর্কে নতুন ধারণা ও ঘৃণার সৃষ্টি করবে। মুরাদ হাসানের এসব বক্তব্য একের পর এক সামাজিক মাধ্যমে যখন ভাইরাল হতে থাকে তখন অনেকেই হয়তো ভেবেছেন বিরোধী দলকে আক্রমণ করার পুরনো ও গতানুগতিক রেওয়াজ অবলম্বন করে তিনি দলের জন্য ‘সুনাম’ কুড়িয়েছেন। কিন্তু এরপরই ঘটে যায় আরেক ঘটনা। মুরাদ হাসানের আরেকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে। সেখানে এমনসব অশ্লীল কথাবার্তা তিনি বলেন, যা লিখতে বা বলতে রুচিতে বাঁধে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভিপি নূরকে নিয়েও তিনি অশালীন মন্তব্য করেন। এই দুর্বিনীত আচরণই একপর্যায়ে কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মধ্যেও। অবশেষে ৬ ডিসেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও তাকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, মুরাদ হাসান শুধু অশালীন কথাবার্তাই বলেছেন তাই নয়। তার বক্তব্যের বিষয়বস্তু অনেকটাই নারী বিদ্বেষী। একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে নারীর প্রতি এমন বক্তব্য সত্যিই অবাক করার মতো। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে নারীর প্রতি সামান্য উষ্মা নিয়েও বক্তব্য প্রদান করে যেখানে অতীতে দ্রুততার সাথে সম্মানীয় নাগরিকদের জেল খাটার দৃষ্টান্ত আছে- মাঠ সরগরম করে যেসব নারীবাদীরা সরব ভূমিকা রাখেন; প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের এহেন বক্তব্যের পরও তাদের ভূমিকা ছিলো অনেকটাই দায়সারা গোছের। যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়টি নজরে আসতেই পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন।

আমাদের বক্তব্য সেখানে নয়। আমরা বহুবার বলেছি, যতদিন এদেশের রাজনীতিতে ঘৃণা ছড়ানোর রেওয়াজ থাকবে, পরষ্পরকে সম্মান জানানোর পরিবর্তে অপমান কিংবা অসম্মান করা হবে মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দেয়ার রীতি কিংবা সত্যকে মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকবে; ততদিন এ রাজনীতি পরিশুদ্ধ হতে পারবে না। গনতন্ত্র অর্থই হলো- ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। বাংলাদেশের উন্নয়নের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা সূচিত হওয়ার সাথে সাথে রাজনীতিতে আশ্চর্যজনকভাবে প্রতিহিংসামূলক তৎপরতা বেড়েছে। আমরা হয়তো অনেকেই এ অগ্রযাত্রায় সন্তুষ্ট। কিন্তু যারা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেন; বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের সূচক নিয়ে গবেষণা করেন, তারা কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে সতর্ক সঙ্কেত জারি করেছেন। তারা বলছেন, বাংলাদেশে গনতন্ত্রের অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। নাজুক।

সুইডেনভিত্তিক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্সের (আইডিইএ) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ‘কর্তৃত্ববাদী শাসন’ চলছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘দুর্বল গণতন্ত্র’ ছিল। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি গত ২২ নভেম্বর ‘গণতন্ত্রের বৈশ্বিক পরিস্থিতি-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে। আইডিইএ বলছে, বিশ্বের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো আগের চেয়ে বেশি মাত্রায় নিপীড়নের পথ বেছে নিচ্ছে। কিছু কিছু দেশে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের অধীনে নিয়মিত নির্বাচন হচ্ছে, যা মোটেই স্বাধীন, অংশগ্রহণমূলক ও অনিয়মমুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের নাম বলা যেতে পারে। এতে বলা হয়, করোনা মহামারীর সময়ে সরকারের জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের সক্ষমতা দুর্বল করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে লিখতে গিয়ে যেসব দেশে গণমাধ্যমকর্মীরা আটক ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ব্যবহারকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সমালোচনাকে ‘মিথ্যা তথ্য’ হিসেবে দাবি করে সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিকে মহামারীর শুরুতে আটক করেছিল। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, করোনা মোকাবেলার নামে তার বৈধতা দেয়া হয়েছে। করোনাকালে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে সংঘবদ্ধ দুর্নীতি হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার ঘাটতির বিষয়টি জনসমক্ষে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে গণতান্ত্রিক শাসনের ক্ষেত্রে দেশগুলো কেমন করছে, তা নিয়ে পাঁচটি শ্রেণিবিভাজন করা হয়। এগুলো হলো-গণতন্ত্রের সূচকে সবচেয়ে ভালো, মধ্যম মানের গণতন্ত্র, দুর্বল গণতন্ত্র, হাইব্রিড সরকার ও স্বৈরতান্ত্রিক সরকার। এ তালিকায় বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন’ সামনে রেখে আইডিইএ-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে শতাধিক দেশ অংশ নেবে। সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

প্রতিবেদনটি ২৮টি সূচক আর পাঁচটি বিস্তৃত বিষয়ের ওপর ভিত্তি তৈরি করা হয়। এতে নিরপেক্ষ প্রশাসন সূচকে বাংলাদেশের স্কোর সর্বনিম্ন। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের সূচকেও ‘নিম্ন’ অবস্থানে রয়েছে আমাদের দেশ। ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার, নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ এবং নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে আছে বাংলাদেশ।
সংস্থাটি বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার আছে কি না, তা খতিয়ে দেখেছে। এর মধ্য মৌলিক অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা চর্চা, সামাজিক অধিকার এবং সমতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর মধ্যে বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক দেশ ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী কৌশল অনুসরণ করছে। অন্যদিকে কর্তৃত্ববাদী শাসনগুলো নিজেদের ক্ষমতা আরো সুসংহত করছে। গণতন্ত্র থেকে পিছু হটার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম উঠেছে। গণতন্ত্রের ক্ষয় শুরু হয়েছে ভারতেও। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোর রাজনীতিতে সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ বছর প্রথমবারের মতো পিছু হটা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তথ্য-উপাত্ত বলছে, ২০১৯ সাল হতেই গণতন্ত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পিছুহটা শুরু হয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ জানানোকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক যাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ট্রাম্প ও মিত্রদের উসকানিতে তাদের সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিল আক্রমণ করে। যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান অবনতিকে অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আইডিইএ মহাসচিব কেভিন ক্যাসাস-জামোরা। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের অনেক বেশি দেশ কর্তৃত্ববাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রের দেশগুলোও এখন যতটা হুমকির মুখে রয়েছে, আগে ততটা ছিল না। গত এক দশকে বিশ্বে গণতন্ত্র থেকে পিছুহটা দেশের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভেনিয়ার মতো দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত বছর গণতন্ত্র থেকে পিছুহটা দেশগুলোর তালিকায় ছিল ইউক্রেন ও উত্তর মেসিডোনিয়া। ওই দেশ দুটির গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবারের প্রতিবেদনে পিছুহটা দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই মহাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন বাড়ছে। আফগানিস্তান, হংকং ও মিয়ানমারের এর প্রভাব পড়ছে। ভারত, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় উগ্র জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতির সামরিকীকরণসহ এ অঞ্চলে গণতান্ত্রিক অবক্ষয় হয়েছে। বিভিন্ন দেশে চীনের প্রভাবে স্বৈরাচারীরা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এতে গণতন্ত্র ঝুঁকিতে পড়ছে।

নব্বই দশকে দেশে দেশে গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করতো যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্র, গণতন্ত্র নিয়ে কোনো ব্যত্যয় হলেই কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতো। সেসব বক্তব্য কিংবা বিবৃতি উপেক্ষা করা খুব সহজ হতো না। কিন্তু সময় বদলে গেছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোও বাজার অর্থনীতির প্রবল ঢেউয়ে ছিটকে পড়ছে। এখন প্রধান কাজই পুঁজির বিকাশ। এখনো অনেকক্ষেত্রেই গনতন্ত্রের বিপন্ন অবস্থা দেখলে বিবৃতি প্রকাশ করে। কিন্তু বিপন্ন গণতন্ত্রকে রক্ষা কিংবা নিজেদের বিঘোষিত মানবাধিকারের মৌল নীতি সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। পুঁজিবাদের নতুন এরূপ বিশ্বব্যাপী নতুন করে কর্তৃত্ববাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করছে। কিন্তু একটি কথা বলে রাখা ভাল; বিশ্ব কিন্তু পরিবর্তনশীল। যেসব রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান, যাদের ছত্রছায়ায় পরিপুষ্ট হয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন, সময়ই তাদের ছুঁড়ে ফেলেছে আস্তাকুঁড়ে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সৌন্দর্য্য এটাই যে জনগণই এখানে বড় নিয়ামক। শাসকরা উপলক্ষ মাত্র।

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us