মেয়েরা কেন চকোলেট এত পছন্দ করে?

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Feb 12, 2020 04:44 pm
মেয়েরা কেন চকোলেট এত পছন্দ করে?

মেয়েরা কেন চকোলেট এত পছন্দ করে? - ছবি : সংগ্রহ

 

প্রচলিত বিশ্বাস, চকোলেটের মধ্যে থাকা থিওব্রোমাইন ও ক্যাফিন শরীরকে মুহূর্তে চাঙা করে। চকোলেট মস্তিষ্কে এন্ডোরফিনের পরিমাণ বাড়ায় যা অবসাদ, চাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে চকোলেট এমন একটি খাবার, যা সবার প্রিয়। তবে সম্ভবত বেশি প্রিয় মেয়েদের। কেন মেয়েরা চকোলেট বেশি পছন্দ করে?

সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে যে অনন্ত যৌবন থাকে চকোলেটে! তাই মেয়েরা চকোলেট প্রিয়া। এ কারণেই বলা যায়, প্রেম মানেই চকোলেটে কামড়। মিষ্টি স্বাদে আরো মধুর করে তুলতে ভালোবাসাকে। যেকোনো বয়সেই যেমন মদনবাণ বুকে বিঁধতে পারে তেমনি আট থেকে আশি চকোলেটে তুষ্ট। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে যদি শরীর এবং মন- দু'দিক থেকেই চাঙা রাখতে চান তাহলে আজকের দিন আপনার জন্য। বেছে নিন ডার্ক চকোলেট। উপহার দিন প্রিয়জনকে। তারপর দেখুন ম্যাজিক

কেন চকোলেট?
প্রেম বাড়ানোর পাশাপাশি চকোলেট শরীরের অনেক উপকার করে। বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, চকোলেটের মধ্যে থাকা থিওব্রোমাইন ও ক্যাফিন শরীরকে মুহূর্তে চাঙা করে। চকোলেট মস্তিষ্কে এন্ডোরফিনের পরিমাণ বাড়ায় যা অবসাদ, চাপ কমাতে সাহায্য করে।


চকোলেটের গুণপণা
১. অনন্ত যৌবন চকোলেটে
ডার্ক চকোলেটের ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর থাকে। যা ত্বকে আনে যৌবনের দীপ্তি, লাবণ্য। সময়েই আগেই বুড়িয়ে যাওয়া আটকায় ডার্ক চকোলেট। অবসাদ কমাতে কয়েক টুকরো ডার্ক চকোলেট মুখে ফেললেই তাজা নিমেষে। তাই কি মেয়েরা বেশি পছন্দ করেন চকোলেট!

২. ডার্ক চকোলেট ইক্যুয়াল্টু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
শরীরে জমে থাকা দূষণ কমাতে সিদ্ধহস্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খেলে সেই সমস্যআ কমবে। কারণ, এর মধ্যে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা জীবাণুর সঙ্গে লড়তে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৩. ভিটামিনে ভরপুর
চকোলেট মানেই প্রচুর ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম। যা শিরা-ধমনীর ব্লকেজ কমিয়ে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ব্লাড প্রেশার বশে রাখে। ভালো থাকে হৃদয়।

৪. ব্রেন তাজা চকোলেটে
ডার্ক চকোলেটে থাকা পটাশিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থ মস্তিষ্কের কোষ উদ্দীপিত করে। এতে ব্রেন হয় ক্ষুরধার। কমে অ্যালজাইমার্স, ডিমেনশিয়া।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

চকোলেট কী
চকোলেট বলতে নানা প্রকার প্রাকৃতিক ও প্রক্রিয়াজাত খাবারকে বোঝায় যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় কোকোয়া গাছের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকার নিম্নভূমির স্থানীয় উদ্ভিদ কোকো অন্তত তিন শ' বছর মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোতে চাষ করা হচ্ছে, এবং এর ব্যবহারের সবচেয়ে পুরনো লিখিত প্রমাণ হল ১১০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের। বেশিরভাগ মেসোআমেরিকান লোকজনই চকলেট পানীয় তৈরি করত, যার মধ্যে আছে মায়া ও আজটেকরা, যারা xocolātl নামে একটি পানীয় তৈরি করেছিল, নাহুয়াতি ভাষায় যে শব্দটির মানে দাঁড়ায় তেতো পানীয়। কোকো গাছের বীজের তীব্র তেতো স্বাদ আছে, তাই চকোলেটের স্বাদগন্ধ (Flavor) তৈরি করবার জন্যে অবশ্যই একে গাঁজিয়ে নিতে হয়।

চকলেট পৃথিবীর জনপ্রিয়তম ফ্লেভারগুলোর একটি। বিভিন্ন পালাপার্বণে হরেক রকম চকলেট উপহার দেবার রীতি চালু আছে : ঈস্টার পরবে চকলেটের খরগোশ ও ডিম উপহার খুবই জনপ্রিয়, চকলেটের মুদ্রা হানুক্কাহ, সান্তা ক্লজ ও ক্রিসমাসের অন্যান্য উৎসব প্রতীক, এবং ভালোবাসা দিবসে চকলেটের হৃদয়। চকলেট ঠাণ্ডা ও গরম পানীয়, চকলেট দুধ ও গরম চকলেট প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। চকলেট ছোট বড় সকল বয়সী মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়৷


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us