স্বামীর বিরুদ্ধে শাবনূরের যত অভিযোগ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক | Mar 05, 2020 06:47 am
শাবনূর

শাবনূর - সংগৃহীত

 

বিয়ের সাত বছরের মাথায় ভেঙে গেল চিত্রনায়িকা শাবনূরের সংসার। স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি ও অন্য নারীর সাথে বসবাসের অভিযোগ এনে বাধ্য হয়েই তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাবনূর।

শাবনূরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ জানান, গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে তালাক দিয়েছেন শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় সেই নোটিশ পাঠানো হয়।

এ ছাড়া তালাক নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিস কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো: নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দু’জন। আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এই তালাক কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে টেলিফোনে শাবনূর জানান, ছেলের জন্মের পর থেকেই বদলে যেতে থাকে অনিক। স্বামী হিসেবে তার দায়িত্বহীনতা ও সংসারের প্রতি উদাসীনতায় এক সময় তিনি হতাশ হয়ে যান। একপর্যায়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তিনি সংসারের ইতি টানতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, প্রায় ছয়টা বছর নীরবে তার অত্যাচার সহ্য করেছি। চেয়েছি সংসারটা আগলে রাখব। পারিনি। অনেক আগে থেকেই আমরা আলাদা থাকছি। দফায় দফায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। বাধ্য হয়েই ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছি।

নোটিশে শাবনূর বিচ্ছেদের কারণ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যতœ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।

একজন মুসলিম স্ত্রীর সাথে স্বামী যে ব্যবহার করে অনিক সেটা করছে না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরো বাড়তে থাকে। উপর্যুক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয়ে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না।
তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’

একটি সূত্র জানিয়েছে প্রায় চার বছর আগেই শাবনূরের স্বামী অনিক আরো একটি বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আয়েশা। তিনি অনিকের পূর্বপরিচিত। এ নিয়ে ছেলে জন্মের পর ২০১৪ সাল থেকেই স্বামীর সাথে দূরত্ব তৈরি হয়েছে শাবনূরের। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে শাবনূর সংসারের ইতি টানেন।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us