করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ১১ টিপ্‌স

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Mar 19, 2020 09:16 am
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ - সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বিশ্বব্যাপী ইতোমধ্যেই প্রায় ৯ হাজার লোক মারা যাওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি না হওয়ার কোনোই কারণ নেই।

তবে সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির সাথে করোনাভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে তেমন একটা তফাৎ নেই। তবে অযথা আতঙ্কিত না হতেও অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের কথা হলো : আপনার জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি- এরকম লক্ষণ দেখা দেয় এবং গত ১৪ দিনে আপনার বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস না থাকে, দয়া করে আপনি বাড়িতে থাকুন, ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা করুন, নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে যান।’ তাদের কথা হলো : বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল মাস থেকে মওসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা শুরু হয়, শেষ হয় সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু এবছর এই মওসুম একটু আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে। কাজেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই
এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং অন্যান্য সরকারি নির্দেশিকা দেয়া হলো।

১. বারবার হাত ধুয়ে ফেলাই নোভেল করোনা প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকরী উপায়। হাঁচি-কাশির পর, এই রোগে আক্রান্তের পরিচর্যা করার পর, রান্নার আগে-পরে, খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুর সংস্পর্শে আসলে বা পশুর বর্জ্য পরিষ্কারের পর অবশ্যই হাত জীবাণু মুক্ত করতে হবে।

২. হাত জীবাণু মুক্ত করার জন্য সাবান এবং পরিষ্কার পানি ব্যবহারের মাধ্যমে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

৩. হাতের কাছে সাবান ও পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

৪. চোখ, নাক এবং মুখে যখন তখন হাত দেবেন না। একমাত্র হাত পরিষ্কার করে তবেই নাক, চোখ, মুখে হাত দিতে পারেন।

৫. সুস্থ মানুষের সাধারণত ফেস মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে নোভেল করোনা আক্রান্তের চিকিৎসক, অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী এবং তার পারিবারিক পরিচর্যাকারীদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৬. এই নির্দিষ্ট সময়ে যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলা দরকার।

৭. হাঁচি, কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করে মুখ ঢেকে ফেলতে হবে। ব্যবহারের পর সেই টিস্যু মুখবন্ধ ডাস্টবিনে ফেলে দিন। টিস্যু ফেলে দেওয়ার পরই হাত পরিষ্কার করে নিন।

৮. হাতের কাছে টিস্যু না থাকলে কনুইয়ের ভিতরের অংশ দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচতে-কাশতে পারেন। তারপর যত গিগগির সম্ভব জায়গাটা ধুয়ে নিন।

৯. নিজের আশপাশ ভালো করে পরিষ্কার করে জীবাণু মুক্ত করুন। বিশেষত মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, টেবিল, ইলেকট্রিক সুইচ, দরজা-জানলার হাতল, কম্পিউটার কি বোর্ড, টয়লেট ইত্যাদি।

১০. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত নোভেল করোনায় আক্রান্ত রোগী বা আক্রান্ত হতে পারেন, এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তির খুব কাছে না যাওয়াই ভালো।

১১. কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। বাধ্যতামূলকভাবে ফেস মাস্ক পরুন। এমন শারীরিক পরিস্থিতিতে বাড়িতে আলাদাভাবে থাকাই আপনার এবং সমাজের পক্ষে মঙ্গল।

সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us