করোনায় কত লোক মারা যেতে পারে?

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Apr 04, 2020 06:45 am
করোনা ভাইরাস

করোনা ভাইরাস - সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসটি ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। মনে করা হচ্ছেÑ সার্স বা ইবোলার চেয়ে অনেক বিপজ্জনক এটা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসটি মানুষের দেহকোষের মধ্যে গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।

এ কারণে এটি বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। করোনাভাইরাসের আরেক নাম কোভিড-১৯। এর অনেক প্রজাতি আছে। এর মধ্যে সাতটি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন, এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে। করোনাভাইরাস ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়াচ্ছে। সাধারণত ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। করোনার প্রথম লক্ষণ হলোÑ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। এর সাথে সাথে থাকে জ্বর ও কাশি। দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। হতে পারে নিউমোনিয়া। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে পাঁচ দিন লাগে।

প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনা কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলোÑ যারা ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে বা ভাইরাস বহন করছে, তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। ডাক্তারের পরামর্শ হলো বারবার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা। অসুস্থ হলে মাস্ক পরতে হবে। আর নিজে অসুস্থ না হলেও অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মুখোশ বা মাস্ক পরুন। কেননা, চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শ এসে ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি অন্যান্য শহর এবং চীনের বাইরে থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ে।


করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এই ভাইরাস চীনের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, মালয়েশিয়া। ছড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আমেরিকাতেও।

একবার যদি ভাইরাসের উৎস প্রাণীকে শনাক্ত করা যায়, তাহলে রোগটি প্রতিষেধক তৈরি করা সহজ হবে। করোনাভাইরাসের সাথে জড়িত চীনের উহানে অবস্থিত, সমুদ্রের খাবারের পাইকারি বাজারের সাথে। কিছু সামুদ্রিক প্রাণী করোনাভাইরাস বহন করতে পারে। ওই বাজারে অনেক জীবন্ত তিমি থাকে। মুরগি, বাদুড়, খরগোস, সাপ এসব প্রাণী করোনাভাইরাসের উৎস হতে পারে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তারা দাবি করেছেন, এই সংক্রমণ নিম্নমাত্রার হলেও দেড় কোটি, আর মাঝারি মাত্রার হলেও এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই গবেষকরা বলছেন, একেবারে নি¤œমাত্রার মহামারী হলেও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে আসতে পারে ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের মতে, সংক্রমণে বেশি মানুষ মারা যাবে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে। তাদের মতে, নিম্নমাত্রায় মহামারী হলে চীন ও ভারতে কয়েক মিলিয়ন করে মানুষ মারা যাবে। হ


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us