করোনা : এক হাঁচিতেই ছড়ায় ৪০ লাখ ভাইরাস

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 05, 2020 05:20 pm
করোনা : এক হাঁচিতেই ছড়ায় ৪০ লাখ ভাইরাস

করোনা : এক হাঁচিতেই ছড়ায় ৪০ লাখ ভাইরাস - সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাস একটি ছোঁয়াচে রোগ। এর ছোঁয়া বাঁচাতে পারলেই এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু কিভাবে? আপনি কি জানেন, কিভাবে করোনাভাইরাস ছড়ায় সবচেয়ে বেশি?

জানা গেছে, করোনা আক্রান্তের এক হাঁচিতে ছড়ায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ভাইরাস। তখন তার গতি থাকে প্রতি ঘন্টায় ৫০ মাইল। তবে একটি হাঁচি দিলে ৫০০ মাইল দূরের লোককে আক্রান্ত করবে, বিষয়টি তেমন নয়। তবে কাছের লোকদের আক্রান্ত করবেই। তাই দরকার সামাজিক দূরত্ব বা ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ মেনে চলা। দরকার লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা। নির্দেশ মেনে বাড়িতে থাকা। এবং অপরিহার্য জিনিসপত্র কিনতে বের হলেও বাজার-দোকানে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে এক মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর করোনা বিষয়ক সর্বভারতীয় রিসোর্স পার্সন এবং প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ কৃষ্ণকুমার আগরওয়াল বলেন, করোনা আক্রান্ত একবার হাঁচলে, কাশলে পরিবেশে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ভাইরাস নির্গত হয়। তিন ফুট বা এক মিটারের মধ্যে কেউ না থাকলে ভাইরাসগুলো ভূপৃষ্ঠ বা সারফেস-এ গিয়ে পড়ে। আর কোনো ব্যক্তি থাকলে তার মুখ, নাক, পোশাক প্রভৃতি জায়গায় ড্রপলেট বা হাঁচির কণা ছিটকে যায়। সেই কণা হাতে লেগে দ্বিতীয় ব্যক্তির মুখ, চোখ, নাক ইত্যাদিতে লাগলেই মহাবিপদ!

পিজি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, করোনা ভাইরাস ছড়ায় দু’ভাবে। এক, তিন ফুট বা এক মিটারের মধ্যে কেউ থাকলে আক্রান্তের হাঁচি থেকে নির্গত ভাইরাস তার মুখ, নাক ও চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। করোনার মূল লক্ষ্য শ্বসনতন্ত্র এবং নিউমোনিয়া ঘটিয়ে শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়া।

উল্লেখযোগ্য হলো, এই তিন অঙ্গেরই শ্বসনতন্ত্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে। দুই, ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়ানো। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির বাষ্পীয় কণা তিন ফুট বা এক মিটারের মধ্যে থাকা কোনো ব্যক্তি বা কোনো তল বা পৃষ্ঠে পড়লে এবং সে জায়গায় কেউ হাত দিয়ে সেই হাত মুখ, নাক বা চোখে দিলে সংক্রামিত হতে পারে।

মানুষ কীভাবে বুঝবে যে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন? তাছাড়া বাজারে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বের হলেও তো প্রচুর মানুষ পরস্পরের সংস্পর্শে আসে?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সৌমিত্রবাবু বলেন, মনে রাখবেন, এজন্যই দরকার সামাজিক দূরত্ব। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বের হলেও পাশের মানুষটির সঙ্গে এক মিটারের দূরত্ব রাখুন। সর্দি-কাশি হয়ে থাকলে মাস্ক পড়ুন। আরো একটি বিষয় মনে রাখবেন, করোনা আক্রান্ত পাশ দিয়ে চলে গেল আর আপনি আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, এমন হয় না। কমপক্ষে ১৫ মিনিট এক মিটারের মধ্যে সংস্পর্শে থাকলে তখন এমন ঘটতে পারে। তাও মনের মধ্যে কোনো আশঙ্কা থাকলে, বহু জায়গায় দরজা-জানালার হাতলসহ বহু সারফেস-এ স্পর্শ করে থাকলে বাড়িতে এসে হাতটা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us