চীনা নারীর কলকাঠিতে চলছে নেপাল!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jul 08, 2020 10:20 pm
হাউ ইয়ানকি ও প্রধানমন্ত্রী ওলি

হাউ ইয়ানকি ও প্রধানমন্ত্রী ওলি - ছবি : সংগৃহীত

 

নেপালে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হাউ ইয়ানকি সরকারের বেশ কিছু কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। নেপালে যখন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি অস্থির হয়ে উঠেছে এবং রাজনৈতিক পক্ষগুলো সেখানে সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছে, সেই মুহূর্তে চীনা রাষ্ট্রদূতের এই তৎপরতার কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক কূটনীতিকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন।

গত সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রদূত হাউ প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি এবং নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র নেতা মাধব কুমার নেপালের সাথে দেখা করেছেন। এমন সময় তিনি এই দেখা করলেন, যখন পদত্যাগের জন্য প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির উপর প্রচণ্ড চাপ বাড়ছে।

নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪৪ জন সদস্যের মধ্যে ৩০ জন সদস্য, দলের কো-চেয়ার পুষ্প কামাল দহল, সিনিয়র নেতা নেপাল, ঝালা নাথ খানাল এবং বামদেব গৌতম সবাই ৩০ জুন ওলিকে দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন।

হাউ ৩ জুলাই শুক্রবার ভাণ্ডারির সাথে বৈঠক করেন। নিয়মিত সৌজন্য সাক্ষাতের অংশ হিসেবে তিনি এই বৈঠক করেছেন বলে প্রেসিডেন্টের এক সহকারী জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্টের ওই সহকারী দ্য পোস্টকে বলেন, “কোন কূটনীতিক যখন প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করতে চান, তখন আমরা না বলতে পারি না। আমরা জানি না, দলের নেতাদের এবং রাষ্ট্রদূতের সাথে প্রেসিডেন্টের বৈঠককে কেন বিতর্কের মধ্যে টেনে নেয়া হচ্ছে”।

কমিউনিস্ট পার্টির দুই চেয়ারম্যান ওলি আর দহলের মধ্যে যেখানে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে, সেখানে দলের মধ্যে ভান্ডারি এখনও ভূমিকা অব্যাহত রাখার কারণে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভান্ডারির সাথে বৈঠকের পর, ওলি পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন এবং তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।

ভান্ডারির সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নিয়ে আরো বেশি প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য পোস্টকে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্টের অফিস বারবার কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করছে।

ভেতরের সূত্রগুলো বলেছে চীনা দূত দলের নেতাদেরকে উপদেশ দিয়েছেন যাতে দলকে তারা ঐক্যবদ্ধ রাখেন। কারণ নেপালের ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’ নিয়ে বেইজিং উদ্বিগ্ন।

পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিশ্লেষকরা অবশ্য চীনা রাষ্ট্রদূতের এই ধারাবাহিক বৈঠকের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেননি, বিশেষ করে যে মুহূর্তে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে একটা সঙ্কট চলছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত লোকরাজ বরাল বলেন, “আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য আমি আমাদের নেতাদেরকে দোষ দিই। এর আগে ভারতের রাষ্ট্রদূতেরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়েছে। এখন চীন সেই ভূমিকায় নেমেছে”।

তিনি বলেন, “ভারতীয় রাষ্ট্রদূতেরা যখন এটা করেছিল, তখন সেটাকে আমরা হস্তক্ষেপ বলেছিলাম। কিন্তু চীনের জন্য সেটা প্রযোজ্য নয়। শুধু মিডিয়াই এ বিষয়টি তুলেছে। রাজনৈতিক নেতা এবং বুদ্ধিজীবীরা সেভাবে বিষয়টিকে দেখেনি”।

দলের নেতারা অবশ্য কঠিনভাবে মিডিয়ার বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন যে, চীনা দূত নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

সূত্র : এসএএম


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us