সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতির পুরস্কার

মুফতি আবুল কাসেম | Aug 19, 2020 08:05 pm
সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতির পুরস্কার

সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতির পুরস্কার - প্রতীকী ছবি

 

জান্নাত হলো মুমিনের আসল ঠিকানা। ন্যূনতম ঈমান যার আছে, শেষমেশ সেও একসময় জান্নাতে যাবে। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত নহরসমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য থাকবে পুতপবিত্র স্ত্রীগণ। তাদেরকে আমি প্রবিষ্ট করাব ঘন ছায়ানীড়ে’ (সূরা নিসা : ৫৭)।

আল্লাহ তায়ালা সমগ্র পৃথিবীর ধনীদের যে পরিমাণ সম্পদ ও প্রাচুর্য দান করেছেন, সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতিকে এর চেয়ে বহু গুণ বেশি নেয়ামত প্রদান করবেন। প্রিয় নবী সা: বলেছেন, ‘আমি সে ব্যক্তি সম্পর্কে জানি, যে সর্বশেষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে এবং সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশ করবে। সে ব্যক্তি নিতম্ব হেঁচড়িয়ে হেঁচড়িয়ে জাহান্নাম থেকে বের হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে বলবেন, যাও, বেহেশতে প্রবেশ করো। সে তখন জান্নাতের কাছে এসে মনে করবে, জান্নাত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সে ফিরে গিয়ে বলবে, হে প্রভু! আমি তো জান্নাত পরিপূর্ণ পেলাম। (অর্থাৎ আমার জন্য সেখানে স্থান কোথায়?) আল্লাহ তায়ালা তাকে পুনরায় বলবেন, যাও, গিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করো। সে জান্নাতের কাছে গেলে তার মনে এ ধারণাই জাগবে।

ফলে সে পুনরায় ফিরে গিয়ে বলবে, হে প্রভু! আমি তো তা পরিপূর্ণ পেলাম। আল্লাহ তায়ালা পুনরায় তাকে বলবেন যাও, গিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করো। তোমার জন্য দুনিয়া ও তদপেক্ষা দশগুণ বড় জান্নাত রয়েছে। অথবা তিনি বলেছেন, তোমার জন্য পৃথিবীর দশগুণ বড় জান্নাত রয়েছে। সে তখন বলবে, হে প্রভু! আমার সাথে কি উপহাস করছেন? অথচ আপনি হলেন অধিপতি।’ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, ‘আমি এ দৃশ্য বর্ণনাকালে রাসূলুল্লাহকে সা: এরূপ হাসতে দেখেছি যে, তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত প্রকাশ পেয়েছে।’

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: বলেন, প্রিয় নবী সা: বলেন, ‘এ হলো সর্বনিম্ন স্তরের জান্নাতি’ (সহিহ বুখারি : ৬৫৭১)। অপর হাদিসে বিশ্বনবী সা: ইরশাদ করেন, ‘জান্নাতিদের সর্বাপেক্ষা নিম্নস্তরের হলো সে ব্যক্তি, যার উদ্যান, সেবক, স্ত্রী, মসনদ ও খাট এ পরিমাণ জায়গাজুড়ে বিস্তৃত থাকবে, যা এক সহস্র বছরেও অতিক্রম করা যাবে না। আর জান্নাতিদের সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী সে ব্যক্তি, যে সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভে সৌভাগ্যবান হবে। অতঃপর নবীজী সা: এ আয়াত পাঠ করলেন- (তরজমা) সে দিন কতক মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে, তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে’ (তিরমিজি : ২৫৫৩)।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

লেখক : মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া বটগ্রাম, সুয়াগাজী, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা ।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us