নতুন উদ্যোগ : ভবিষ্যতে আমদানি করতে হবে না পেঁয়াজ

বগুড়া অফিস | Sep 17, 2020 06:39 pm
পেঁয়াজ

পেঁয়াজ - ছবি সংগৃহীত

 

সরকারের সঠিক পরিকল্পনা এবং স্বদইচ্ছা থাকলে মশলা গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন বারী-৫ জাতের পেঁয়াজ দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা ড. হামিম রেজা।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে ৩০ লাখ মেট্রিক টনের উপরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে কিন্তু সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ২৩ লাখ মেট্রিক টন। ফলে ঘাটতি পূরণ করতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয় বছরে ৭ লাখ মেট্রিক টন। তবে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব শীতকালিন পেঁয়াজের পাশাপাশি উচ্চ উৎপাদনশীল গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ বেশি বেশি চাষের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, স্থানীয়জাতের দেশী শীতকালীন পেঁয়াজ যেখানে প্রতি হেক্টরে ১০-১২ মেট্রিক টন উৎপাদন হয় সেখানে বারি-৫ জাত হেক্টর প্রতি ১৮-২২ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়ে থাকে। জমিতে লাগানো সহ সাথী ফসল আদা, হলুদ, আখ, মরিচের সাথেও বারি-৫ পেঁয়াজ চাষ করা যায়।

ড. হামিম রেজা বলেন, গত দুই বছর যাবৎ গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ উৎপাদনের চাহিদা বেড়েছে। সরকারী, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ অনেকেই গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের বীজ নিয়ে চাষ করছেন। দেশের এটাই সবচেয়ে বেশী ফলনশীল পেঁয়াজ। বারি -৫ পেঁয়াজ শীত ও গ্রীষ্মকাল দুই মওসুমেই উৎপাদন করা যায়। শীতকালে প্রতি হেক্টরে ২০-২৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হলেও গ্রীস্মকালে ৩০-৩৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়।

বারি- ৫ পেঁয়াজের পাশাপাশি শীতকালিন বারি- ৪ ও ৬ চাষে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকার সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এ সব পেঁয়াজ দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে পেঁয়াজের ঘাটতি পুরণ করা সম্ভব। এর ফলে দাম যেমন সহনীয় হবে তেমনি আমদানী করতে হবে না।

এ প্রধান কর্মকর্তা আরো বলেন, আগষ্ট- সেপ্টেম্বরে বারি -৫ পেঁয়াজের বীজ বপন করা হয়। নভেম্বরে চারা লাগানো হয়। ওই সময় আগাম শবজি, আখসহ অন্য ফসল লাগানো হয়। তবে ওই সব ফসলের প্রতি প্রভাব পড়বে না। ওই ফসলের চেয়ে বেশী লাভজনক হবে পেঁয়াজ। যদি ১০ লাখ ঘাটতি থাকে তাহলে প্রতি হেক্টরে গড়ে ২০ মেট্রিক টন উৎপাদন ধরলে ৫০ লাখ হেক্টর জমিকে পেঁয়াজ চাষের আওতায় আনতে হবে।

মশলা গবেষনা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন বিএনপি সরকার দেশে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বগুড়া জেলার শিবগন্জ উপজেলার রায়নগর এলাকায় ৭০ একর জমির উপর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’র অধীনে মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। এ কেন্দ্রের অধীনে লালমনিরহাট ও ফরিদপুরে দুটি উপকেন্দ্র রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটিই উচ্চ ফলনশীল গ্রীষ্মকালিন বারী -৫ (বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ই্সটিটিউট -৫ ) জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছে। সাধারণ দেশীয় জাতের শীতকালিন পেঁয়াজের চেয়ে এ জাতের ফলন বেশী। চারা রোপনের পর ৬০-৭০ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়।

সংস্থাটির শিবগন্জের রায়নগরস্থ কেন্দ্রে দেখা গেছে, অন্যান্য মসলার চারার পাশাপাশি বারি-৫ পেঁয়াজের বীজতলা রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। বাড়ন্ত চারা পলিথিন সেড দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। আলাদা একটি ছাউনীতে বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us