প্রতি জন্মদিনে কেন আলাদা রঙের পোশাক পরেন পরীমনি

আলমগীর কবির | Oct 25, 2020 05:43 pm
পরীমনি

পরীমনি - ছবি সংগৃহীত

 

২৪ অক্টোবর ছিল অভিনেত্রী পরীমনির জন্মদিন। গত কয়েক বছরের মতো এবারো রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জন্মদিনের কেক কেটেছেন তিনি। জন্মদিনে থিম ছিল সবুজ। আমন্ত্রিত অতিথিরা সেই থিম মাথায় রেখে ডেস কোড মেনে হাজির হয়ে ছিলেন অনুষ্ঠানে। এ বিষয়ে নয়া দিগন্তের সাথে কথা বলেছেন পরীমনি। সাথে ছিলেন আলমগীর কবির

কেমন আছেন?
ভালো আছি। তবে মাসটা অক্টোবর হওয়ায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ভালো আছি।

এই ভালোবাসাময় জীবনটার গন্তব্য কত দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে চান?
আমার গন্তব্য হবে প্রয়োজনের সমান। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এমনিতেই থেমে যাবে সব। তা ছাড়া কারণ ছাড়া একদিনও আমি বাঁচতে চাই না। বাঁচার অনেকগুলো কারণ থাকে এর মানে যদি হারিয়ে যায় তাহলে আমি এক দিনও বাঁচতে চাই না, এক সেকেন্ডও বাঁচতে চাই না।

করোনার কারণে সব কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। আপনার জন্মদিনের অনুষ্ঠান কি করোনা না হলে অন্য রকম হতো?
না। আমার মনে হয় আমি এমনই করতাম। জন্মদিন নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয় ১ তারিখ থেকে। অক্টোবর মাসটাই আমার কাছে অনেক স্পেশাল। এই মাসের শুরু থেকে আমি অনেক বেশি খুশি হয়ে যাই। পরিবারের মানুষকে সারপ্রাইজ দেয়ার কিছু থাকে না। কারণ আমিই সবাইকে সারপ্রাইজ দিয়ে দেই।

পথশিশুদের নিয়ে প্রতি জন্মদিনে আপনার একটি আয়োজন থাকে এবার কি সেটা ছিল?
হ্যাঁ। এবারও ছিল। তবে আমি সরাসরি ওদের কাছে যাইনি। আমার টিম মেম্বাররা গিয়েছেন। হয়তো খেয়াল করেছেন, জন্মদিনের কেকটা কাটার সময় নানুভাই ছাড়া কেউ আমার পাশে ছিল না। মূলত নানু ভাইয়ের কারণেই এমনটা করা হয়েছে। উনি অনেক মুরব্বি মানুষ, উনার সেফটির কারণেই সবাইকে অনুরোধ করেছি যেন কেক কাটার সময় কেউ কাছে না আসে। আমার পরিবারের লোকজনও কেউ ছিলেন না। পথশিশুদের ক্ষেত্রেও এবার এই চিন্তা মাথায় রেখেছি। কারণ আমি যদি যাই সেখানে আমার টিম মেম্বাররাও থাকবে। এতে বাচ্চাদেরও বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে বাচ্ছাদের জন্য প্রতিবার যা করি, খাবার এবং গিফট আমি পাঠিয়ে দিয়েছি এবারও। সরাসরি ওদের সাথে দেখা করতে না পারার একটি আফসোস এবার রয়ে গেল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই আফসোস মিটিয়ে ফেলব।

প্রতি বছর জন্মদিনে আলাদা রঙের ড্রেস কোড থাকে। এই পরিকল্পনাটা আসলে কিভাবে এলো?
প্রথম যখন বড় করে জন্মদিনের কেক কাটি তখন শুটিংয়ের জামা-কাপড় পরে অনুষ্ঠানে চলে এসেছিলাম। নানাভাইসহ পরিবারের লোকজন সেখানে ছিল। হঠাৎ করেই সেদিন মনে হলো, কেন জন্মদিন আলাদা পোশাক নেই, কেন আমার সময় নেই, কেন কোনো পরিকল্পনা নেই। এরপর থেকে জন্মদিনে আলাদা ড্রেস কোডের চিন্তা মাথায় আসে।

এবার জন্মদিনে সবুজ কেনো প্রাধান্য পেলো?
করোনার সময় ঘরবন্দী অবস্থায় সবুজটাকে সবচেয়ে বেশি মিস করছিলাম। হঠাৎ যখন বাইরে বের হলাম সবুজটা এতো সুন্দর করে চোখে লাগছিল, তখন ভাবলাম সব কিছুর রঙ কেন এমন হয় না। এই ভাবনা থেকেই সবুজকে বেঁছে নেয়া। আর সবুজের সাথে মিল রেখে বেছে নিয়েছি ময়ূর।

নতুন কাজের কী অবস্থা?
করোনার পর নতুন স্বাভাবিক সময়ে কিছু কাজ শুরু করেছি। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ‘মুখোশ’ নামের আরো একটি ছবির শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। করোনার সময় কাজটাকে ভীষণ রকম মিস করেছি। চেষ্টা করবো নতুন বছর বেশি বেশি কাজ করে সব পোষিয়ে দিতে।

প্রেক্ষাগৃহে খুলে দিয়েছে। আপনার নতুন ছবি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে?
ছবি মুক্তির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কবে রিলিজ দিবে, কবে শুটিং শুরু হবে এগুলো আসলে ডিরেক্টর প্রোডিউসারের কাজ। এগুলো নিয়ে কিছু ভাবতেও চাই না।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us