করোনা নতুন উপসর্গ : কাঁচা মাছের আর পোড়া গন্ধ!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Dec 31, 2020 04:17 pm
করোনা নতুন উপসর্গ : কাঁচা মাছের আর পোড়া গন্ধ!

করোনা নতুন উপসর্গ : কাঁচা মাছের আর পোড়া গন্ধ! - ছবি সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা প্রায়ই অভিযোগ করে থাকেন, তাদের ঘ্রাণশক্তি চলে গেছে। খাবার বা অন্য কোনো কিছুর গন্ধ তারা পান না। অবশ্য তা যে সকলের হচ্ছে এমনটা নয়। তবে মোটের উপর স্বাদ গন্ধ অনুভূতি হারাচ্ছেন অনেকেই। তবে জ্বর, শুষ্ক কাশি, সর্দি থাকছে। জ্বরের আসা যাওয়ার সঙ্গে ত্বকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারোর কারর আবার বমি ও পায়খানার সমস্যাও দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই উপসর্গই শেষ নয়। সম্প্রতি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার স্থায়িত্ব বেশি দিন হলে কাঁচা মাছের গন্ধের সাথে পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছে তারা। 

করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু গবেষণা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে আছড়ে পড়েছে করোনার নয়া স্ট্রেনের ঢেউ। দেখা দিতে পারে নতুন নতুন উপসর্গ। যে আশঙ্কা ইতিমধ্যে দানা বেঁধেছে বিজ্ঞানীমহলে। সম্প্রতি যে নতুন উপসর্গের খোঁজ মিলছে তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত অনেকেই শুধুমাত্র কাঁচা মাছের গন্ধ পাচ্ছেন। আবার অনেকে সবসময় পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছেন। এই উপসর্গটি নতুন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই উপসর্গ দেখা দিলে, করোনা রোগী প্যারোস্মিয়ায় আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এই রোগে মস্তিষ্ক সঠিক গন্ধ চিনতে পারে না।

ব্রিটেনে ইতিমধ্যে এই উপসর্গ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, তাদের প্রথমে স্বাদ গন্ধ ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি তারা কাঁচা মাছের গন্ধ ছাড়া অন্য কোনো গন্ধ পাচ্ছেন না। আবার অনেকে খালি পোড়া পোড়া গন্ধই পাচ্ছে, যেখানে পুড়ে যাওয়া কোনো জিনিসই থাকছে না। এখন পর্যন্ত মূলত, যে যে স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত তাদের মধ্যেই এই উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স-এর মতে ১২ সপ্তাহের বেশি দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকলে, এই কাঁচা মাছ অথবা পোড়া গন্ধ পাওয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

সূত্র : জি নিউজ

অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীরা ফেসবুক থেকে সাবধান!
ডা: আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার

সারা বিশ্বে ৫০ কোটির অধিক লোক ফেসবুক ব্যবহার করে। দিন দিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ফেসবুকে নিজের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি না করলে স্বস্তি পান না অনেকেই। অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ‘দ্য ল্যানসেট’-এর নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত একটি কেস স্টাডিতে জানানো হয়েছে ফেসবুক ব্যবহার অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে। ইতালির গবেষক ডা: জেনারো ডি’এমারতো এ গবেষণা পরিচালনা করেন।

কেস স্টাডিতে জানা যায়, ১৮ বছরের ফেসবুক ব্যবহারকারী অ্যাজমায় আক্রান্ত তরুণের বান্ধবীর সাথে ফেসবুকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। শত চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারেনি সম্পর্ক। ব্যর্থ হয়ে অন্য নামে ফেসবুকে নতুন আইডি খুলে ওই তরুণীর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা করে সে। কিন্তু প্রতিবার ফেসবুক ব্যবহার করার পর তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তরুণের অভিভাবক ডি’এমারতোর সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি ওই তরুণের নিয়মিত পিক এক্সপেরিটরি ফ্লো (পিইএফ) নির্ণয় করেন যার মাত্রা অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে কমে যায়। এতে দেখা যায় ফেসবুক ব্যবহারের পর পিইএফ-র মাত্রা কমে যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ২০ শতাংশ। ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে দেয়ায় ওই তরুণের শ্বাসকষ্ট কমে যায় তথা পিইএফ-র মাত্রা বেড়ে যায়।

গবেষকরা মনে করছেন ফেসবুক ব্যবহারে মানসিক চাপই অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্টের কারণ। বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে এবং বেশির ভাগই তরুণ সমাজের। তরুণ অ্যাজমা রোগীদের ফেসবুক ব্যবহারে সর্তক হতে সুপারিশ করেছেন গবেষকরা।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us