করোনামুক্ত হওয়ার পর যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন

অন্য এক দিগন্ত | May 06, 2021 07:45 pm
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে হৃদপিণ্ডে ক্ষতি হচ্ছে। তাই সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা সামলে ওঠার পরও হৃদপিণ্ডে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে আসছেন অনেকেই। তাদের পরামর্শ, করোনা-মুক্ত হয়ে গেলেও কয়েক সপ্তাহ সাবধানে থাকা দরকার। প্রয়োজনে ডাক্তার দেখানো জরুরি।

শুরুর দিকে হৃৎপিণ্ডে করোনার প্রভাব যতটা ভাবা হয়েছিল, আদতে ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়েও বেশি। কম বয়স, সুস্থ-সবল, উপসর্গহীন হলেও করোনার জন্য বড়সড় ক্ষতি হচ্ছে হৃদপিণ্ডের, বিশেষ করে হৃদপেশির। চিকিৎসকদের মতে, ইমিউন সিস্টেমের অতি সক্রিয়তা বা হাইপার ইনফ্ল্যামেশনের জন্যও হৃৎপেশির ক্ষতি হচ্ছে। অতিরিক্ত সাইটোকাইন নিঃসরণের ফলে ফাইব্রিন প্রোটিন ও মৃত কোষ সংযোগে ক্লট তৈরি হচ্ছে আর তাই রক্তবাহে জমাট বাঁধছে। করোনামুক্ত হওয়ার পর কিছু লক্ষণ দেখা দিলে ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকদের মতে, যারা করোনায় নিরাময় হয়েছেন, তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে হার্ট চেকআপ করে নেয়াটা জরুরি।

হার্ট ফেলিয়োর কখন হয়
হার্ট ফেলিয়োর বা হার্টের ব্যর্থতা হলো হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলোর কিছু ক্ষতি হওয়ার ফলাফল। যা কার্যকরভাবে রক্ত পাম্প করার ক্ষমতাকে কম করে এবং রক্ত সঞ্চালনের চেয়ে কম রক্ত সঞ্চালনের কারণে এটি অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে শরীরের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হৃদপেশি ধীরে ধীরে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে তা পর্যাপ্ত ক্ষমতার সঙ্গে হার্ট পাম্প করে উঠতে পারে না। ফলে প্রতি পাম্পে যতটা রক্ত ও অক্সিজেন হার্ট থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার কথা, সেখানে ঘাটতি হয়ে পড়ে। সময়মতো এই সমস্যাটি শনাক্ত করে চিকিৎসা করলে সমস্যা মিটে যায়। তবে, শনাক্ত না করা গেলে পরিস্থিতি আরো গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।

করোনার সময় যদি বুকে ব্যথা থাকে
সংক্রমণের সময় যদি আপনার বুকে পেইন হয়ে থাকে সেরে যাওয়ার পর প্রথমেই আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এছাড়াও, যাদের হৃদ পেশী দুর্বল এবং যাদের আগে থেকে যদি হার্টের সমস্যা থাকে তাদেরও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, হার্ট চেকআপের মাধ্যমে এটি খুঁজে পাওয়া যাবে যে আপনার হার্টের পেশীর উপর করোনার কী প্রভাব রয়েছে। সময়মত চেক-আপ আপনাকে হার্ট ফেইলিয়োরের মতো গুরুতর সমস্যা এড়াতে সহায়তা করতে পারে।

রোগীর চিকিত্সা
হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর প্রথম দিনগুলোতে ওষুধ দিয়ে রোগীর চিকিত্সা করা হয়। অন্যদিকে, যদি হার্ট ফেলিয়োরের মতো কোনো আশঙ্কা থাকে, তবে রোগীকে এলভিইডি নামক একটি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টও করা যায়।

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই সচেতন হন
শ্বাসকষ্ট
দুর্বলতা ও ক্লান্তি
গোড়ালি এবং পা ফোলা
অনিয়মিত এবং দ্রুত হৃদস্পন্দন
ব্যায়াম করতে সমস্যা হচ্ছে
ক্রমাগত কাশি
ওজন দ্রুত বৃদ্ধি
খিদে কমে যাওয়া
প্রস্রাব বেড়ে যাওয়া

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
যদি করোনা থেকে সদ্য সেরে ওঠেন এবং এইরকম লক্ষণ দেখতে পান তবে, নিজে নিজে চিকিত্সা করবেন। বরং, যত শিগগির সম্ভব একজন চিকিৎসকরে সঙ্গে কথা বলুন এবং আপনার হার্ট চেকআপ করে নিন।

সূত্র : এই সময়

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us