ওমিক্রন : গলা ব্যথাই বড় সমস্যা

অন্য এক দিগন্ত | Jan 16, 2022 02:27 pm
ওমিক্রন : গলা ব্যথাই বড় সমস্যা

ওমিক্রন : গলা ব্যথাই বড় সমস্যা - ছবি : সংগ্রহ

 

ডেল্টা থেকে ওমিক্রন, আগমনের পর থেকেই একের পর এক রূপ বদল করেছে কোভিড-১৯। সাথে বদলে গেছে রোগের কিছু উপসর্গও। প্রথম রূপগুলোর সংক্রমণে কোভিডের অন্যতম উপসর্গ ছিল গন্ধ ও স্বাদের অনুভূতি হারিয়ে ফেলা।

ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষা বলছে, ওমিক্রনের সংক্রমণে স্বাদ-গন্ধ লোপ পাওয়ার উপসর্গ বিশেষ দেখা যাচ্ছে না। ১৭৪৭৫৫ জন ওমিক্রন আক্রান্ত ও ৮৭৯৩০ জন ডেল্টা আক্রান্ত রোগীর উপরে এই সমীক্ষা করেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর।

এই গবেষণা অনুসারে, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শতকরা ১৩ জন হারিয়েছেন স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি। কিন্তু গলা ব্যথা অনুভব করছেন প্রায় ৫৪ শতাংশ রোগী।

অপর দিকে ডেল্টা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে গলা ব্যথা ও স্বাদ গন্ধ হারানোর উপসর্গ। এই উপসর্গগুলি ছাড়াও নাক থেকে পানি পড়া, জ্বর, কাশি বা ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলো তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি হারানোর অপেক্ষা না করে গলা ব্যথা হলেই কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেয়া বাঞ্ছনীয়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

গন্ধ শুঁকেই করোনা রোগী চিহ্নিত করবে কুকুর, দাবি বিজ্ঞানীদের
শুধু গন্ধ শুঁকেই করোনা রোগী শনাক্ত করবে প্রশিক্ষিত কুকুর। এমন দাবি বিজ্ঞানীদের।

রহস্য সমাধানের ব্যাপারে অনেক সময়েই কুকুরের সাহায্য নেয় পুলিশ। শুধুমাত্র গন্ধ শুঁকেই অপরাধী ধরা কিংবা লুকিয়ে রাখা বোমা বা ড্রাগ খুঁজে বের করা এদের কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। কিন্তু এবার শুধু গন্ধ শুঁকেই নাকি কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা জানিয়ে দেবে কুকুর।

আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী কিন্তু এমনটাই দাবি করেছেন। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে পারলে কুকুরেরা কোনো ব্যক্তির শরীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা বলে দেবে। এবং তা নাকি ৯৭ শতাংশই হবে নির্ভুল।

কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে কয়েক লাখ গুণ বেশি। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন রহস্য সমাধানের কাজে কুকুরদের ব্যবহার করা হয় নানা বিষয়ের অনুসন্ধানে। তবে সেজন্য কুকুরদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এ বিষয়টি থেকেই নতুন এ পরিকল্পনা আসে ফ্লরিডার একদল বিজ্ঞানীর মাথায়। একইভাবে করোনা-যুদ্ধে যদি এই প্রাণীটির সাহায্য নেয়া যায়, তবে কেমন হয়!

২০২১ সালের শেষের দিকে, ফ্লরিডার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই বিজ্ঞানীরা এ সংক্রান্ত একটি লেখা প্রকাশ করেন, যেখানে তারা দাবি করেছেন, কুকুরেরা কোভিড শনাক্ত করতে সক্ষম। সেখানে যে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন তারা, তাতে চারটি কুকুরকে ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। পরে তারা জানান, ৯৭ শতাংশ নির্ভুলভাবে কোভিড শনাক্ত করতে পেরেছে কুকুরগুলো।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনে প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণায় আরেক দল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন ৮২ থেকে ৯৪ শতাংশ সঠিক হতে পারে কুকুরের শনাক্তকরণ। তবে জার্মান বিজ্ঞানীদের দাবি ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সঠিকভাবে কোভিড শনাক্ত করতে পেরেছে একদল প্রশিক্ষিত কুকুর।

সাধারণভাবে, এক গন্ধ থেকে অন্য গন্ধকে আলাদা করতে পারে কুকুর। এটি তাদের বিশেষ ক্ষমতা। এই ক্ষমতার সাহায্যেই বিস্ফোরক কিংবা ড্রাগ অথবা অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারে তারা। সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েই এবার করোনা খুঁজতে কুকুরদের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেভাবেই দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।

তাদের যুক্তি, করোনা পরীক্ষা তো চলছে, চলবেই। তবে তা খরচ ও সময়সাপেক্ষ। যদি কুকুরের মাধ্যমে শুধু গন্ধ শুঁকেই কোনো স্থানে করোনা রোগী আছে কিনা - তা জানা যায়, তাহলে এ বিশাল কার্যক্রম হয়ে উঠবে অনেকটাই সহজসাধ্য।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us