আড়াই কেজি পেঁয়াজে দু’টি পাতিলেবু!

অন্য এক দিগন্ত | Apr 25, 2022 01:41 pm
আড়াই কেজি পেঁয়াজে দু’টি পাতিলেবু!

আড়াই কেজি পেঁয়াজে দু’টি পাতিলেবু! - প্রতীকী ছবি

 

রোববার সাতসকালে এক গোছা পেঁয়াজ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের নওদার আমতলা বাজারে হাজির বছর পঁয়ষট্টির আজিজ শেখ। এক পাতিলেবু বিক্রেতার কাছে তিনি উপুড় করে দিলেন আড়াই কেজি পেঁয়াজ। দোকানদার সামনের ডালা থেকে তার হাতে তুলে দিলেন দু’টি পাতিলেবু।

নওদার রায়পুরের বাসিন্দা আজিজ পেশায় পেঁয়াজ চাষি। জানালেন, গত কয়েক দিন পেঁয়াজের দাম তলানিতে এসে ঠেকায় খেতের পেঁয়াজ বিক্রি করে উঠতে পারেননি তিনি। তাই ‘অভাবি’ বিক্রি। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ রুপি। চাষিরা পাচ্ছেন পাঁচ থেকে সাত রুপি প্রতি কেজি। অবস্থা এমনই যে, খেত থেকে পেঁয়াজ ঘরে তোলার খরচটুকু করতে নারাজ চাষি। মাঠ থেকেই সামান্য দামে ফড়েকে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। আজিজের মতো ক্ষুদ্র চাষিদের অবস্থা আরো শোচনীয়। ইদের মরসুমে হাতে রুপি না থাকায় পাতিলেবু বা অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তারা সংগ্রহ করছেন অবিক্রিত পেঁয়াজের বিনিময়ে।

পেঁয়াজ ও পান চাষে নওদার খ্যাতি রয়েছে। সেখানে পেঁয়াজ, বরজের পানের বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা চলে। কিন্তু চাষিদের দাবি, এ বারের মতো পেঁয়াজের অভাবী বিক্রি তাদের আগে করতে হয়নি। আজিজের আক্ষেপ, ‘রোজার মাসে ইফতারের শরবত বানাতে লেবু দরকার। কিন্তু সেই পাতিলেবু কেনার টাকাও হাতে নেই আমাদের।’ পেঁয়াজের দাম হঠাৎ পড়ে যাওয়ার পিছনে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ী করছেন চাষিরা। পেঁয়াজ চাষি সবুব হালসানার কথায়, ‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় চাষি খেত থেকেই বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়!’

ঠিক উল্টা ছবি পাতিলেবুর বিক্রিতে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে করোনা আবহে চাহিদা রয়েছে পাতিলেবুর। চাষিদের বক্তব্য, এ বছর চাহিদার তুলনায় পাতিলেবুর জোগান কম। স্থানীয় বাজারে পাতিলেবু উঠতে আরো মাস দেড়েক সময় লাগবে। জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে সাধারণ মাপের কাগজি লেবু এখন বিকোচ্ছে ৫-৬ রুপিতে। একটু বড় লেবুর দাম প্রতিটি ১০ রুপি। বছরের অন্য সময় যে পাতিলেবু এক থেকে দু’ টাকায় পাওয়া যায়, এখন তার প্রতিটির দাম আট থেকে ১০ রুপি। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণ মাপের লেবুতে রস না থাকায় ১০ রুপি দিয়ে কাগজি লেবুর দিকেই ঝুঁকছেন অধিকাংশ ক্রেতা। বিক্রেতারাও যেমন খুশি দর হাঁকাচ্ছেন বলে অভিযোগ। দেদার মুনাফা লুটছে ফড়েরাও। নওদা ব্লকের সহ-কৃষি কর্মকর্তা নমিতা পোদ্দার বলেন, ‘কোন আনাজের দাম কখন বাড়বে, কখন কমবে, তা বোঝা মুশকিল। পেঁয়াজের দাম সাত-আট রুপি কেজি, আর পাতিলেবু একেকটি আট-দশ টাকা, এটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।’

পেঁয়াজের পড়ে যাওয়া দরে যখন চোখে পানি চাষির, তখন হাসি আরও চওড়া হয়েছে পাতিলেবু ব্যবসায়ীদের।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

ফর্মে ফিরতে দরকার সাময়িক বিরতি, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিশ্রামে কোহলি?
দিন কয়েক আগেই ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছেন, প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির উচিত বেশ কিছুদিন ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়া। অবশ্য শুধু একা শাস্ত্রী নন, আরো অনেকে এমনটাই মনে করছেন। বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট মহলও ভালরকম চিন্তায় রয়েছে। পাঁচ মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বিরাটের ফর্মে ফেরা ভারতীয় দলের কাছে কতটা জরুরি, সেটা বুঝতে গেলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হতে হবে না।

যা শোনা যাচ্ছে, তাতে, কোহলিকে একটা ব্রেক দেয়া হতে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে কোহলির উপর। যা শোনা গেল, তাতে নির্বাচকরা বিরাটের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কথা বলা হবে তার সঙ্গে। কোহলিকে জিজ্ঞেস করা হবে, তিনি কী চাইছেন? তিনি কি বিশ্রাম নিতে চান? নাকি খেলতে চান।

অনেকে আবার এটাও মনে করছেন যে বিরাট যেহেতু রানের মধ্যে নেই, তাই হয়তো বিশ্রাম না নিয়ে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে চাইতে পারেন। আইপিএল শেষেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। সেখানে বিরাট যদি বিশ্রাম নিতে চান, তাহলে তাকে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড সফরে অনেক বেশি তরতাজা হয়ে নামতে পারবেন।

যা শোনা গেল, তাতে আইপিএলের শেষদিকে নির্বাচকরা সম্ভবত কথা বলবেন কোহলির সঙ্গে। বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত কেউ কেউ এদিন বলছিলেন, ‘বিরাটের সঙ্গে এটা নিয়ে আগে কথা বলা হবে। ও ঠিক কী চাইছে, সেটা আগে আমাদের জানতে হবে। এখন আইপিএল চলছে, তাই ওর সঙ্গে এই ব্যাপার নিয়ে কোনো কথা হয়নি। ওর সঙ্গে কথা বলা হবে।’ দেখা যাক বিরাট কী করেন।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us