ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার চাদরে কাশ্মিরের স্বাধীনতা

এরশাদ আলী | Nov 19, 2019 02:12 pm
ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার চাদরে কাশ্মিরের স্বাধীনতা

ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার চাদরে কাশ্মিরের স্বাধীনতা - ছবি : সংগ্রহ

 

কাশ্মিরে ভারত সরকারের আরোপিত অবরোধের মেয়াদ আড়াই মাসের বেশি অব্যাহত আছে। বহির্বিশ্ব থেকে সবদিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে হিন্দুস্তানি হানাদার সৈন্যরা সেখানকার স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র নারী-পুরুষের ওপর নিত্যনতুন কায়দায় জুলুম করছে। সেসব নির্যাতনের খুব সামান্য তথ্যই বাইরে থেকে জানা যাচ্ছে। কাশ্মিরের মানুষ এ জুলুম নির্যাতন যে এই কয়মাস ভোগ করছে তা নয়। তাদের দুর্ভাগ্যের শুরু পৌনে দুই শত বছর আগে, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে। তারপর ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে ৬২ বছর ধরে তারা অব্যাহতভাবে পাকিস্তানের সাথে যোগ দেয়া তথা স্বাধীনতার দাবিতে শাহাদতের নজরানা আর মা-বোনদের ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে চলেছেন। কিন্তু তাদের অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের অবসান এবং স্বাধিকার অর্জনের আশু কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

কাশ্মিরে অশান্তির আরম্ভ ১৮৪৫ থেকে। তার আগে ইঙ্গ-আফগান প্রথম যুদ্ধে রাজা গুলাপ শিং ইংরেজ বাহিনীকে সহায়তা করেন। আবার ১৮৪৫ সালে যে যুদ্ধ হয় তখনো গুলাপ শিং শিখদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইংরেজদের সাহায্য করেন। এর প্রতিদান হিসেবে গভর্নর জেনারেল হার্ডিঞ্জ গুলাপকে জম্মু-কাশ্মির রাজ্য বন্দোবস্ত দেন। রাজা শ্রীনগর দখল নেন। অবশ্য গুলাপ শিংয়ের দখলের বিরুদ্ধে কাশ্মিরিরা যুদ্ধ শুরু করলে ইংরেজ গভর্নর জেনারেল ও কমান্ডার ইন চিফ হার্ডিঞ্জ সেনাবাহিনী দিয়ে তাকে সাহায্য করেন। কাশ্মির পরাজয় বরণ করে গুলাপ শিংয়ের অধীনস্ত হয়ে যায়। তারপর থেকে কাশ্মিরিদের যুদ্ধ-জেহাদ অব্যাহত রয়েছে। কয়েকবার সুযোগ এসেছে গলা থেকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিড়ে ফেলার। কিন্তু ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি ফেরালে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতকতায় সেসব সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে।

১৯৪৭ সালে কাশ্মিরের সুযোগ ছিল পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার। কিন্তু একশত বছর পর আর এক ইংরেজ গভর্র্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন গুলাপ শিংয়ের বংশধর ও জওয়াহেরলাল নেহরুর সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে কাশ্মিরকে ভারতভুক্ত করেন। সেখানে দখলদারিত্ব বজায় রাখতে কাশ্মিরের সাথে যোগাযোগের কৌশলগত সড়ক যে জেলার ভেতর দিয়ে গেছে পাঞ্জাবের সেই গুরুদাসপুর জেলা (পাকিস্তানের পাওয়া আগে থেকে ঠিক ছিল) শেষ মুহূর্তে ভারতভুক্ত করে দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে শুরু হয় লড়াই এবং পরিণতি গড়ায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে। যুদ্ধে কাশ্মিরের মুজাহিদ ও পাকিস্তানের সম্মিলিত বাহিনীর হাতে শ্রীনগরের পতন যখন অনিবার্য, তখন ভারত সরকার পড়িমরি করে জাতিসঙ্ঘের দ্বারস্থ হয় যুদ্ধবিরতি করতে। দুর্ভাগ্যক্রমে বিজয়ের সব সম্ভাবনা সত্ত্বেও পাকিস্তান সরকার সে যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়। আর কাশ্মিরিদের মুক্তির প্রথম মওকা হাতছাড়া হয়ে যায়।

কাশ্মির সমস্যার নিষ্পত্তির জন্যে জাতিসঙ্ঘ ১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট ও ১৯৪৯ সালের ৫ জানুয়ারি প্রস্তাব গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী কাশ্মিরের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে সেখানে গণভোটের আয়োজন করার কথা বলা হয়। কিন্তু কাশ্মিরে হিন্দুস্তানের দখলদারিত্ব মজবুত করে নিতে পারার পর সে প্রস্তাবগুলোকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়। যা হোক, প্রস্তাব মঞ্জুরের পর নিরাপত্তা পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার একজন বিচারক জন ডিকসনকে সালিশ নিয়োগ করে। তিনি বেশ কুটিল মনে আপাতদৃষ্টিতে সাদাসিদা এক গণভোট আয়োজনের এক পরিকল্পনা পেশ করেন- যা ডিকসন প্লান নামে পরিচিত। সে প্লানে রাজ্যকে জম্মু, লাদাখ, কাশ্মির এবং আজাদ কাশ্মির জোনে ভাগ করে তারপর একেক জেলায় ভোট নেয়ার কথা বলা হয়। এটা জম্মু ও লাদাখকে ভারতের হাতে সোপর্দ করার মতলব বলে পাকিস্তান সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ডিকসন চেনাব নদীকে ভিত্তি করে কাশ্মিরকে বিভক্ত করার বিকল্প প্রস্তাব দেন। সে প্রস্তাবেও জম্মু ভারতের হয়ে যাবে বলে পাকিস্তান প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৫৬ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার পাকিস্তানে একটি সামরিক ঘাঁটি চান। সোহরাওয়ার্দী কাশ্মির সমস্যা সমাধান করে দেয়ার বিনিময়ে সামরিক ঘাঁটি দেয়ার শর্ত দেন। আমেরিকার চেষ্টায় ১৯৫৭ সালের জানুয়ারিতে কাশ্মির সমস্যা আবার জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের অ্যাজেন্ডাভুক্ত হয়। কিন্তু সে বছরের অক্টোবর মাসে মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। আইয়ুব খানের এক ঘনিষ্ঠ সাথী মুরিদ হোসেন এক সাক্ষাতকারে মুনীর আহমদ মুনীরকে বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পদত্যাগের পরে ‘প্রাইম মিনিস্টার সাব তো আনে যানে চিজ হ্যায় লেকিন কাশ্মির হামেশাকে লিয়া হাতছে গিয়া’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার সে আশঙ্কা যে কত বাস্তব ছিল তা তো এখন দেখা যাচ্ছে।

১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের সময় কাশ্মিরের স্বাধীন হওয়ার তৃতীয় সুযোগ এসেছিল। চীন সরকার প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানকে এ মর্মে বার্তা পাঠায় যে, ভারত তার পুরো সেনাবাহিনী চীন সীমান্তে জড়ো করেছে। কাশ্মির খালি। এখন তা স্বাধীন করে দাও। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড ম্যাকমিলান পাকিস্তানকে কাশ্মির আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখেন। সিআইএ’র এক সাবেক কর্মকর্তা ব্রুস রিডল তার ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’ বইয়ে কিভাবে আইয়ুব খানকে বিরত রাখা হয় তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরু ১৯৬২ সালের ২ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যুদ্ধবিরতি লাইনে মামুলি কিছু রদবদল করে আমরা স্থায়ী সীমান্ত করে নেবো। এরপর ১৯৬৩ সালের জানুয়ারি মাসে পাক-ভারত আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু কাশ্মিরের নেতৃবৃন্দ তাতে গররাজি থাকায় সে আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়।

১৯৬৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইয়ুব খান নানা ছলচাতুরি ও কারচুপির মাধ্যমে ফাতেমা জিন্নাহকে পরাজিত করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করলে দেশের মানুষের মধ্যে দারুণ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। সেই অসন্তোষ চাপা দিতে আইয়ুব খান অপারেশন জিব্রাল্টারের অনুমোদন দেন। পাক ফৌজ জম্মু-কাশ্মিরে ঢুকে পড়ে। ভারত পাল্টা লাহোর হামলা করলে দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যায়। ১৭ দিন চলার পর আন্তর্জাতিক শক্তির হস্তক্ষেপে ফের যুদ্ধবিরতি হয়। ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা সরে যাওয়ার পর কাশ্মিরে আবার সশস্ত্র সংগ্রাম দানা বেঁধে ওঠে। জম্মু-কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা মরহুম আমানুল্লাহ খান তার স্মৃতিকথা ‘জেহাদ মুসলসাল’-এ লেখেন, ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের সক্রিয় সমর্থন ও সাহায্যে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করি। জেনারেল জিয়াউল হক সন্দেহজনক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে জেকেএলএফের মোকাবেলায় হিজবুল মুজাহিদিনকে খাড়া করা হয়। এতদসত্ত্বেও ১৯৯৫ সালে আমাদের দুই সংগঠনের মতবিরোধের অবসান হয় এবং আমরা স্বাধীনতার দোরগোড়ায় উপনীত হই। কিন্তু পাকিস্তানি নেতাদের নেতিবাচক সমর্থনের কারণে আমাদের আজাদি অর্জনের আশা নিরাশায় পর্যবসিত হয়।

১৯৯৯ সালে কারগিল অপারেশনের ফলে আর একবার কাশ্মিরের স্বাধীনতা অর্জনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিন্তু অতীতের শাসকদের মতো এবারো পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জন্য সে সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যায়। যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জাননেসার মুজাহিদরা শ্রীনগর পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন নওয়াজ শরিফ যুদ্ধবিরতি এবং অগ্রবর্তী অবস্থান থেকে তাদের এলওসিতে ফিরিয়ে নেন দৃশ্যত আমেরিকার চাপে। সে সময় লন্ডন থেকে প্রকাশিত ইম্প্যাক্ট ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকায় এক রিপোর্টে লেখা হয়- নওয়াজ শরিফ তৎকালীন ভারতীয় শাসকদলের কাছ থেকে সে জন্য ৭০ কোটি ডলার পেয়েছিলেন এবং তা দিয়ে ইংল্যান্ডে একটি এস্টেট ক্রয় করেছিলেন। ওই সময় শুধু যে কাশ্মির স্বাধীনতা লাভে ব্যর্থ হয় তা নয়, পাকিস্তান সরকারের ভুল পদক্ষেপে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের গায়ে জঙ্গি তকমা এঁটে যায় এবং পাকিস্তানে সিভিল মিলিটারি সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়। যা হোক, এর প্রতিক্রিয়ায় নওয়াজ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ক্ষমতা দখল করেন। ২০০৭ সালে পারভেজ মোশাররফ এবং মনমোহন শিং সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। তাদের সমাধানের ফর্মুলা প্রায় জন ডিকসনের প্রথম প্লানের মতোই ছিল। পরে নেহরুও এলওসিকে স্থায়ী সীমান্ত লাইনের স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কাশ্মির হুররিয়াত নেতা সাইয়েদ আলী শাহ গিলানি জেনারেল মোশাররফের এ ফর্মুলাকে কাশ্মিরবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করে বাতিল করে দেন। ইতোমধ্যে জেনারেল মোশাররফ ক্ষমতাচ্যুত হন, আর তিনি তার ফর্মুলা বাস্তবায়নের সুযোগ পাননি।

এখন ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর হিন্দুস্তানের সরকার শক্তি প্রয়োগ করে মনমোহন-মোশাররফ ফর্মুলা কার্যকরী করার পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে অনুমিত হচ্ছে। কাশ্মিরে আগস্ট মাসের প্রথম থেকে কারফিউ জারি আছে। এর সুযোগে ভারতীয় নানা সশস্ত্র বাহিনীর ৯ লাখ সদস্য সেখানকার মুসলমানদের উপর নির্যাতন-নিষ্পেষণের যেসব উপায় ব্যবহার করছে তাকে অমানবিক পশুসুলভ বর্বরতা বললেও খুব কম বলা হবে। কাশ্মিরের মানুষ সব সময় মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে পাকিস্তানি ভাইদের দিকে তাকিয়ে থাকে। পাকিস্তানের মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষ সে ব্যাপারে সোচ্চার। কিন্তু সেখানকার নেতাদের অবস্থা কী? পাকিস্তানি সিনেটর সিরাজুল হক আগস্ট মাসেই করাচিতে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ইমরানের উদ্দেশে বলেন, ‘কাশ্মিরের মানুষের আর লিপসার্ভিসের প্রয়োজন নেই। কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চায়।’

কিন্তু এখনো তেমন কোনো উদ্যোগ নজরে পড়ছে না। এ জন্য বিরোধী দলসহ পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রাথমিক যে কাজ করার দরকার ছিল তা করা হয়নি। বরং করা হচ্ছে উল্টোটা। নওয়াজ শরিফ ও আসিফ জারদারিসহ বিরোধী নেতাদের অর্থ আত্মসাতের মামলার জেলে পাঠানোর কাজ অব্যাহত আছে। এর সুযোগ নিচ্ছে ভারত। ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হচ্ছে- আগে ইমরান দেশের আত্মসাত হওয়া অর্থ নওয়াজের কাছ থেকে উসুল করুন। পরে ভারতের অভ্যন্তরীণ (তারা কাশ্মির সমস্যাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ই বলে) ব্যাপার নিয়ে ভাবুন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাখদুম শাহ মেহমুদ কোরেশি আমেরিকাসহ সেসব দেশের সাহায্য চেয়ে বেড়াচ্ছেন যারা আগাগোড়া পাকিস্তানের সাথে বিশ্বাসভঙ্গের আচরণ করে এসেছে। ফলে কাশ্মিরসহ বিশ্ব মুসলিমের এ ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো কারণ এখনো দৃশ্যপটে ভেসে উঠছে না।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর ১৯৬৭ লেখা পুস্তক দ্য মিথ অব ইন্ডিপেনডেন্স থেকে উদ্ধৃতি দেয়া যায়। তিনি বলেন, ‘নেহরুর চিন্তা সেটাই যা আরএসএস নেতা সাভারকারের ছিল। তা হচ্ছে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা। এর ওপর বিশ্বাস রেখে নেহরু শুধু কাশ্মির কব্জা করার চেষ্টা নয়, পুরো পাকিস্তানকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব ভারতীয় ষড়যন্ত্রে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।’ ভুট্টোর এ আশঙ্কার চার বছরের মধ্যে পাকিস্তান ভাঙে। অবশ্য পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ন্যায্য অধিকার না দেয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ও দুর্ভাগ্যক্রমে অধিকার না দেয়ার এ ষড়যন্ত্রে ভুট্টোও অংশীদার ছিলেন। এখন পাকিস্তানের রাজনীতিকরা সেই ষড়যন্ত্রের আবর্তেই যদি ঘুরপাক খেতে থাকেন, সতর্কতার সাথে পা না ফেলেন তাহলে ভবিষ্যৎ ভেবে শুধু আতঙ্কিত হওয়া ছাড়া আর কোনো কিছুই আশা করার নেই। ভবিষ্যতের গর্ভে কী আছে তা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us