কোরআন রক্ষাকারী যুবক

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Dec 07, 2019 07:02 am
মুক্তি পেয়েছেন কোরআন রক্ষাকারী সেই যুবক

মুক্তি পেয়েছেন কোরআন রক্ষাকারী সেই যুবক - ফাইল ছবি

 

অগ্নিসংযোগ থেকে পবিত্র কোরআন শরীফ রক্ষা করায় এক সিরীয় যুবককে আটক করে রেখেছিল নরওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত নভেম্বরের ঘটনা। নরওয়েতে ইসলাম প্রীতি রুখতে 'স্টপ ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে' সমাবেশের আয়োজন করে ছিল ইসলামবিরোধী। সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন লারেস থারসেন নামে একব্যক্তি। দু'কপি পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিচ্ছে। আচমকাই কোরআন শরীফ দুটির একটিতে অগ্নিসংযোগ করেন লারেস।

পুলিশ থাকলেও এই ধরণের নিন্দনীয় ঘটনায় কোনো বাধা দিতে দেখা যায়নি তাদের। তবে এই তামাশা দেখতে থাকা মানুষজনের মধ্যে থেকে হঠাৎই ছুটে আসতে দেখা যায় এক যুবককে। একা, খালি হাতে লারেসকে প্রতিহত করে। পবিত্র কোরআনকে অগ্নিসংযোগ রোধ করে।

ওই দিনের ঘটনার ভিডিও এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। ওই যুবকের নাম ইলিয়াস। তিনি সিরীয়। ইলিয়াসকে এখন সামাজিক মাধ্যমে ‘ দি মুসলিম হিরো’, ‘ দি ডিফেন্ডার অব কুরআন’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।

কিন্তু তাতে উল্টা ইলিয়াসকেই আটক করে নরওয়ে কর্তৃপক্ষ। সারা বিশ্বের ইলিয়াসের এমন সাহসিকতার প্রশংসা হলেও নরওয়ে প্রশাসনের কাছে সে অপরাধী হয়ে থেকেছে। এখনো তাকে আটক কেন্দ্র থেকে ছাড়া হয়নি। সম্প্রতি ইলিয়াসের মুক্তি দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স কমিটি। আবেদনে বলা হয়েছে একজন মুসলমান হিসেবে ইলিয়াস তার চোখের সামনে কুরআনের অবমাননা সহ্য করতে পারেননি। তাই সেদিন পুলিশের ঘেরাটোপ পেরিয়ে এই অন্যায় রুখতে গিয়েছিল। এটা তার ধর্মীয় বিশ্বাস করে আঘাত করেছে। বরং যে ব্যক্তি কোরআনে অগ্নিসংযোগ করছিলেন তিনি অমানবিক কাজ করেছেন। মুসলমানরা কুরআনকে আল্লাহর বাণী বা আসমানি কিতাব হিসেবে বিশ্বাস করে। মুসলিমরা সন্ত্রাসী নয়।

তাকে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

বিশ্বে ৫ শ' কোটি মানুষ আছে যারা ইসলামের অনুসারী নয় কিন্তু মুসলমানরা এ কারণে তাদেরকে কখনো আঘাত করে না। কারণ অন্যায়ের প্রতি ইসলাম শ্রদ্ধা করতে শেখায়। এমনকি ইসলামের সমালোচনাকারীকেও মুসলমানরা কিছু বলে না কারণ এটি তার অধিকার। কিন্তু কেউ যদি কোরআনকে অবমাননা করে এতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় তাহলে তা সহ্য করার মত নয়। কারো আশা করা ঠিক হবে না যে কোরআনে অগ্নিসংযোগ করা হবে এবং মুসলমানরা তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। তাই ইলিয়াস যা করেছে তা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে কোরআনকে রক্ষার। অবিলম্বে ইলিয়াসকে মুক্তি দেয়া হোক। পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরে এ ঘটনা ঘটার আগেই স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সমাবেশ ঘোষণার পর সাবধান করে দেয়া হয়েছিল। এরপরও নরওয়ে কৃর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেনি। চোখের সামনে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ করতে দেখে ইলিয়াস নিশ্চুপ থাকতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এ প্রতিরোধের দৃশ্য বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তুরস্ক, সৌদি আরব, পাকিস্তান নরওয়েতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইলিয়াসকে অনেকে ‘ দি মুসলিম হিরো’, ‘ দি ডিফেন্ডার অব কুরআন’ বলেও অভিহিত করে।
সূত্র : পূবের কলম


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us