যক্ষ্মা রোগে জিহ্বায় আলসার : কিভাবে বোঝা যায়

ডা: মো: ফারুক হোসেন | Feb 25, 2020 02:54 pm
যক্ষ্মা রোগে জিহ্বায় আলসার : কিভাবে বোঝা যায়

যক্ষ্মা রোগে জিহ্বায় আলসার : কিভাবে বোঝা যায় - ছবি : সংগ্রহ

 

বর্তমানে উন্নত বিশ্বে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট যক্ষ্মা রোগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে যখন এ ধরনের যক্ষ্মা রোগীরা এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে। যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিসের কারণে জিহ্বার আলসার বা ঘাঁ দেখা দিতে পারে।

টিউবারকুলাস আলসার সাধারণত জিহ্বার উপরি ভাগে হয়ে থাকে। তবে ঠোঁট ও তালু কম আক্রান্ত হয়। জিহ্বার যক্ষ্মাজনিত আলসার বা ঘাঁ একটি বা একের অধিক হতে পারে। সাধারণত ব্যথাযুক্ত আলসার হয়ে থাকে। আলসারের ধূসর বা হলুদ রঙের সøাফ সৃষ্টি হয়ে থাকে স্থানীয় সংক্রমণের কারণে। আলসারগুলোর অসম কিনারা থাকে। আলসার বা ক্ষতস্থান সাধারণত একটু শক্ত হয়ে থাকে। টিউবারকুলাস আলসার বা যক্ষ্মাজনিত আলসারের আকৃতি অ্যাংগুলার বা স্টিলেট হয়ে থাকে। অ্যাংগুলার বলতে বোঝায়, যার সার্প অ্যাংগেল রয়েছে আর স্টিলেট বলতে বোঝায় স্টার আকৃতির। যক্ষ্মাজনিত আলসারের ফ্লোর ফ্যাকাসে রঙের হয়। পুরু মিউকাসের মতো পদার্থ আলসারের বেসে দেখা যায়। টিউবারকুলাস আলসারে আন্ডারমাইন্ড এজ দেখা যায়।

সিস্টেমিক সমস্যা : ক্রনিক কফ, ওজন কমা, জ্বর, রাতের বেলায় ঘাম এবং হেমোপটাইসিস। এছাড়া যক্ষ্মা রোগে সারভাইক্যাল লিম্ফ অ্যাডেনোপ্যাথি পরিলক্ষিত হয়। তাই জিহ্বার আলসার দেখা দিলে আলসার বা ঘাঁয়ের আকৃতি, আলসারের ফ্লোর, বেস ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। জিহ্বা বা মুখে আলসার হলেই কিছু ভিটামিন ওষুধ এবং মলম প্রয়োগ করে কোনো লাভ হবে না। সঠিক রোগ নির্ণয় করে যথার্থ চিকিৎসা গ্রহণ করলে অবশ্যই এ ধরনের রোগ এবং আলসার নিরাময় করা সম্ভব।

লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ, ফোন: ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল : dr.faruqu@gmail.com

লেবুর খোসা উপকারী

লেবুর খোসা কাঁচা খেলে শরীরের খুব উপকার হয়ে থাকে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তবে লেবুর রসের চেয়ে লেবুর খোসা বেশি উপকারী যেমন এলাচি লেবুর খোসা হজম শক্তি ও চোখের জন্য খুবই উপকারী বলে জানা গেছে। ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়াতে ডাক্তাররা লেবুর পাশাপাশি অর্থাৎ লেবুর রসের পাশাপাশি তার খোসা খাওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। লেবুর খোসাতে একজাতীয় টক ও তিতা মিক্সড পদার্থ রয়েছে যাতে আছে পেট পরিষ্কার ও খাওয়া-দাওয়ায় অরুচি দূর করার উপায়।

বিষণ্নতা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়

আপনার কি সম্প্রতি হার্ট সার্জারি হয়েছে? আপনি কি বিষণ্নতায় ভোগেন? সেই সাথে আরেকটি প্রশ্ন, আপনি কি বেশি দিন বাঁচতে চান? তবে সাবধান, অহেতুক বিষণ্ন হবেন না। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখেছেন, বাইপাস সার্জারির পর বিষণ্নতায় ভুগলে মৃত্যুর শঙ্কা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৮১৭ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করে দেখেছেন, সার্জারির আগে ও পরে বিষণ্নতার পরীক্ষার পর চিকিৎসা করা সম্ভব হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকখানি কমানো সম্ভব।

রোগীদের বিষণ্নতার সম্ভাবনা আছে কি না, বাইপাস সার্জারির আগে তা পরীক্ষা করে নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে তারা বিষণ্নতা কিভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় তা আরো গবেষণা করে দেখার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন। গবেষকরা সার্জারির ঠিক আগে বিষণ্নতা পরীক্ষা করে দেখেছেন, সার্জারির ছয় মাস পর পরীক্ষা করেছেন এবং পরে তারা পাঁচ বছর ধরে নিয়মিতভাবেই পরীক্ষা করেছেন। কারো কারো ক্ষেত্রে ১২ বছর ধরেও পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার পাঁচ বছরের মধ্যে ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪০ শতাংশ বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। সার্জারির সময় যেসব রোগীকে মাঝারি থেকে গুরুতর বিষণ্নতায় ভুগতে দেখা গেছে অথবা সার্জারির পর মৃদু বিষণ্নতায় ভুগছিল, পরের ছয় মাসে পরীক্ষায় তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল।

ড. জেমস ব্লুমেনথাল বলছিলেন, সার্জারির আগে ও পরে রোগীর মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করা খুব একটা ব্যয়সাপেক্ষ নয়। আর এর মধ্য দিয়ে জীবন রক্ষা করাও মোটামুটি সহজসাধ্য। তার মতে, মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্টের অগ্রসরতা সত্ত্বেও ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা থাকলে ক্ষতিকর ফলাফল থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়। সিএবিজি’র মধ্য দিয়ে যাওয়া রোগীরা ক্লিনিক্যালি ডিপ্রেসড হওয়ায় তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রবল থাকলেও গবেষকদের মতে সার্জারির পর চিকিৎসার মাধ্যমে এটা কাটানো সম্ভব।

তবে এই ঝুঁকি বৃদ্ধির জন্য দায়ী ম্যাকানিজমগুলো ভবিষ্যতে আরো ভালো করে গবেষণা করে দেখতে হবে বলেও গবেষকরা জোরারোপ করেছেন। কেননা, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্বাভাবিক স্থূলতার সাথেও বিষণ্নতার যোগসূত্র রয়েছে।

ব্যায়াম ছেড়ে দিলে ওজন বাড়ে

যারা প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করেন তাদের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা অব্যাহত রাখা উচিত। হঠাৎ ব্যায়াম ছেড়ে দিলে শরীরের ওজন বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়াম করা ভালো। তবে মনে রাখবেন ব্যায়ামের সাথে আপনার খাদ্য তালিকার মিল থাকতে হবে। এক ঘণ্টা ব্যায়াম করে শরীর থেকে যতটা ক্যালরি বা খাদ্যশক্তি ব্যয় হয় তার চেয়ে অনেক বেশি খাদ্যশক্তি গ্রহণ করেন অনেকে। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক আড়াই থেকে তিন হাজার কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি প্রয়োজন। আর এই খাদ্যশক্তি আসতে হবে সব ধরনের খাবার থেকে। তবে খাবারের মেনুতে চর্বিযুক্ত খাবার কম থাকা ভালো। পাশাপাশি শুধু ব্যায়াম নয়, যাদের নাচের অভ্যাস আছে তাদেরও হঠাৎ করে নাচ ছেড়ে দেয়া উচিত নয়।
ষ ডা: রুমানা চৌধুরী


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us