করোনা নিয়ে ইরানি জেনারেলের বিস্ফোরক দাবি

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Mar 07, 2020 07:12 am
করোনা ভাইরাস

করোনা ভাইরাস - সংগৃহীত

 

শত্রুপক্ষকে শায়েস্তা করতে যুক্তরাষ্ট্রই জীবাণু অস্ত্র হিসেবে করোনাভাইরাস ব্যবহার করতে পারে বলে দাবি করেছেন ইরানের এলিট বাহিনী রেভুলিউশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসেন সালামি। বৃহস্পতিবার কেরমান শহরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যে করোনাভাইরাস প্রথমে চীনে, এরপর ইরানসহ বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু আগ্রাসনের ফল হতে পারে।

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল চীনে, ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্তত ৮১টি দেশ ও অঞ্চলে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের বেশির ভাগই চীনে। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশের মধ্যে ঘুরেফিরে তিন-চারে ওঠানামা করছে ইরান। এ দু’টি দেশের সাথেই যুক্তরাষ্ট্রের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। সালামি বলেন, দেশটি (যুক্তরাষ্ট্র) আজ জীবাণুযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। তাদের জানা উচিত, তারা যদি সত্যিই এটা করে থাকে, তবে তা ফেরত পাবে।

দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে আইআরজিসি প্রধান বলেন, ‘আজও আমরাই যুদ্ধে জয়ী হবো, এমনকি ভাইরাসের বিরুদ্ধেও।’
এর আগে, ইরানের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান গোলাম রেজা জালালিও দাবি করেছিলেন, করোনা সঙ্কট চীন-ইরানের ওপর জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহারের কারণে হতে পারে। তবে তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলেননি।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এরপর অন্তত ৮১টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৫৫২ জন, মারা গেছেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।
চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে অন্তত ছয় হাজার ২৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৪২ জন। মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪৮ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮৫৮ জন। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের তাণ্ডব চলছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০৭ জন।

করোনা সন্দেহে দেশের তিন নাগরিক আইসোলেশনে

করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিদেশী কেউ নেই। মংলা বন্দর থেকে বাইরে গভীর সমুদ্রে যে জাহাজটি অবস্থান করছে এর নাবিকদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ তারা ১৪ দিন আগেই ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে এসেছেন এবং এর মধ্যে অন্য কোনো বন্দরে তারা নামেনি বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা: মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে আইইডিসিআরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং করছিলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা: এ এস এম আলমগীর।


মংলা বন্দরে আসা জাহাজের যাত্রীদের কী অবস্থা জানতে চাইলে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, জাহাজে তিন আরোহীর জ্বর থাকলেও দু’জনের জ্বর সেরে গেছে। একজনের জ্বর রয়েছে। তাদের জাহাজের ভেতরেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করিনি। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ্ওই তিন নাবিকের জ্বর অব্যাহত থাকলে এবং তাদের মধ্যে আরো উপসর্গ দেখা দিলে তখন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us