সিরিয়া নিয়ে কী হচ্ছে এরদোগান-পুতিনে

মো: বজলুর রশীদ | Mar 12, 2020 05:53 pm
পুতিন ও এরদোগান

পুতিন ও এরদোগান - ছবি : সংগ্রহ

 

অস্ত্রের গর্জন থামবে, শান্তির জলপাইপাতা বাতাসে নড়বে এমন আশা নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান রাশিয়া সফর করেছেন। ৫ মার্চ সেখানে প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়া যুদ্ধ এখনো চলছে। বিরোধী শিবিরের ‘তাকফিরি-জিহাদি’দের বিতাড়নের জন্য আসাদ সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে। বিরোধী শিবিরে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আজো ইদলিবের বেশির ভাগ এবং আলেপ্পোর কিছু অংশ এই গোষ্ঠী দখল করে আছে। সিরিয়া যুদ্ধে তুরস্কের জড়িয়ে পড়া এবং ৬০ জন তুর্কি সেনার মৃত্যু তুরস্ককে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। এতে সিরিয়া-রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে।

সিরিয়ার বর্তমান সংবিধান ২০১২ সালে গৃহীত হয় ও একটি ‘সার্বভৌম দেশ’ হিসেবে সিরিয়া পরিগণিত হয়। এতে দেশের কোনো অঞ্চল কাউকে দিয়ে দেয়া, লিজ দেয়া এসব বিষয়ের উল্লেখ ছিল না। আসাদপন্থী শাসক মহল এখন যে রকম চিন্তাভাবনা করছে, সিরিয়া তেমনটি নয়। সিরিয়ার সেনা সংখ্যা ১৪২০০০; যারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার দায়িত্বে। রিজার্ভ কোনো সেনাবাহিনী নেই। ১৯৯টি ফাইটার ১২৭টি হেলিকপ্টার রয়েছে। এই সৈন্য নিয়ে সিরিয়ার মতো একটি দেশের যুদ্ধ পরিচালনা শুভবুদ্ধির পরিচয় নয়। দুর্ধর্ষ আলকায়েদা যোদ্ধা, হায়াতুত তাহরির আল শাম এবং গুপ্ত সংগঠনের নেতা আহরার আল শামস- এরা একটি প্রদেশের প্রায় পুরো অংশ দখল করে রেখেছে। তারা খুবই উগ্রবাদী। সব সময়ই সিরিয়ার বাহিনী তাদের সাথে বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধরত। এ রকম অবস্থায় তুরস্কের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া, তুর্কি ছাউনিতে বোমাবর্ষণ, তুর্কি সেনা হত্যা করায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সাহায্যনির্ভর আসাদ সরকারের মূলত রাশিয়া ও ইরানের সহায়তা ছাড়া পথচলা অসম্ভব।

ইদলিবে সিরিয়াকে আসতে না দেয়া এবং যুদ্ধের হুমকি দেয়াকে অনেকে তুরস্কের ‘বাড়াবাড়ি’ মনে করছেন। তুরস্কে লাখ লাখ সিরীয় উদ্বাস্তু তুর্কি অর্থনীতির ওপর বড় চাপ ফেলেছে এবং কুর্দিদের তরফ থেকে নিজকে নিরাপদ রাখা তুরস্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। তুরস্কবিরোধী কুর্দি সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সকে আসাদ সরকার সহায়তা করে থাকে। আদানা চুক্তিতে পিকেকে বা কুর্দি ফোর্সকে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে লড়াই করার অধিকার দেয়া হয়েছিল। তুর্কি সেনার সাম্প্রতিক মৃত্যুর পর তুরস্ক ৫৪টি টার্গেটে বোমা বর্ষণ করেছে এবং সিরিয়া সরকারের ৭৬ জন সেনা নিহত হয়েছে। তুরস্ক দাবি করেছে, তাদের সেনারা ১১৫টি টার্গেট আক্রমণ চালিয়ে ১০১টি টার্গেট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে দু’টি আর্টিলারি পজিশনও ধ্বংস হয়েছে। উভয় পক্ষে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে তুরস্ককে হয়তো রাশিয়ার সেনাদের সাথে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হতে হবে। এরই মধ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি এরদোগান সিরিয়ার বিরুদ্ধে ‘পূর্ণমাত্রা’য় যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন।

আরো একটি বড় শক্তি সিরিয়ায় কাজ করছে, তা হলো যুক্তরাষ্ট্র। তারা তেল ক্ষেত্র এবং আল তানাফ সামরিক ঘাঁটি থেকে সেনা সরিয়ে আনার কথা বলেছে। তুরস্ক পররাষ্ট্রনীতিতে পড়শিদের সাথে ‘জিরো প্রবলেম’ নীতি অবলম্বন করলেও সিরিয়ায় আপাতদৃষ্টে সে রকম কিছু দৃশ্যমান নয়।

ফেব্রুয়ারিতে সরকারি বাহিনীর সাথে মিলে রাশিয়া যখন হামলা চালায় তখন তারা জানত, বিদ্রোহীদের সাথে তুর্কি সৈন্যরাও ছিল। গত তিন দশকে কোথাও কোনো যুদ্ধে তুরস্কের এত সেনা নিহত হয়নি। সিরিয়ায় সেনা অভিযান ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে দেশের ভেতর ও বাইরের রাজনৈতিক বলয়ের শক্তি দিন দিন বাড়ছে। অনেকে বলছেন, ইদলিবের আকাশের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত না করে এত সেনা পাঠানো সামরিক কৌশলের ভুল ছিল। তুর্কি সেনাদের প্রাণ দিয়ে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত করতে হচ্ছে।

এখন নতুন করে উদ্বাস্তু সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। সীমান্তের রক্ষীবাহিনী জলকামান ব্যবহার করার পর গ্রিস ও সাইপ্রাস থেকে সেনাবহর একত্রিত হয়ে তুরস্ক সীমান্তে আসছে। নতুন এই উদ্বাস্তুদের জন্য আসাদ সরকার ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন দায়ী। কয়েক বছর ধরে বেপরোয়া বোমা হামলা করে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ধূলিসাৎ করা হয়েছে। সিরীয় প্রেসিডেন্ট আসাদ চেয়েছেন কিছু এলাকা জনশূন্য করতে। লোকজন ভয় পেয়ে নিজ দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে শুরু করে। ইদলিবে ও আলেপ্পোয় রাশিয়ার ব্যাপক বোমা হামলার পর উদ্বাস্তু সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সিরিয়া ও রাশিয়া উদ্বাস্তু সমস্যা সৃষ্টি করে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ব্যস্ত রেখেছিল। ২০২০ সালে আবার উদ্বাস্তু সমস্যা তুরস্ককে ভোগান্তিতে ফেলেছে। ইদলিবে বড় ধরনের সঙ্ঘাত তুরস্ক চায়নি। তাই ৫ মার্চ মস্কোতে যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া এরদোগানের কি কোনো উপায় ছিল? কিন্তু ইদলিবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা টিকবে কি না, বিশ্লেষকরা সন্দিহান।

এ চুক্তিতে বলা হয়েছে, ৬ মার্চ মধ্যরাত থেকে ইদলিবে ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ বরাবর সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে। উভয় দেশের মধ্যে ইদলিবে যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, সেটি যেন আরো ধ্বংসাত্মক না হয় তার লক্ষ্যেই এই চুক্তি। মস্কোতে তিন ঘণ্টা আলোচনার পর দুই নেতা এই চুক্তি করেছে। চুক্তিতে যৌথ সামরিক টহলের কথাও বলা আছে। ৬ কিলোমিটার গভীর ‘সিকিউরিটি করিডোর’ স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে প্রটোকলের মধ্যে। ১৫ মার্চ থেকে এম-৪ হাইওয়ে বরাবর উভয় দেশে টহল শুরু হবে। প্রটোকলে আরো বলা হয়েছে, উভয় দেশ সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে। পুতিনের বক্তব্যে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনগুলোর গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। উভয় নেতা সন্ত্রাস নির্মূল এবং জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত নীতিমালা অনুসারে সব সন্ত্রাসীকে সিরিয়া থেকে বের করে দেয়া এবং যেকোনো কারণে সাধারণ লোকজন ও তাদের অবকাঠামোকে আঘাত করে হামলা না চালানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন। উভয় নেতা মনে করেন, জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৫৪ সিদ্ধান্ত মতে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়ার সঙ্কট সমাধান করতে হবে; কোনো সামরিক পন্থায় নয়।

আলোচনায় কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।যেমন-
১. সব সামরিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা। এতে যদি যুদ্ধ করা বুঝানো হয় তবে এক বিষয়। কেননা তুরস্কসহ অন্যরা সেখানে সমরসজ্জা অব্যাহত রেখেছে। এরদোগান চেয়েছিলেন রাশিয়ার সাথে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী শান্তি স্থাপন করতে।

পুতিন পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে না। তা হলে চুক্তিটি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞও মনে করেন, এই চুক্তি টিকবে না।

২. ৬ কিলোমিটার গভীর উত্তরে ও ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে এম-৪ হাইওয়ে বরাবর সিকিউরিটি করিডোর স্থাপন করা, যেখানে লাতাকিয়া ও আলেপ্পো সংযুক্ত হয়েছে। ফলে রাশিয়া-সিরিয়া বাহিনী উত্তর ইদলিবে সহজে প্রবেশ করতে পারবে, এটি তুরস্কের জন্য অস্বস্তিকর।

৩. তুরস্ক-রাশিয়া তুরুম্বা থেকে আইন আল হাভর যৌথ টহল দিতে চায়, এটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এলাকা, এখানেই এম-৪ ও এম-৫ মিশেছে। রাশিয়ার মিলিটারি পুলিশ গত সপ্তাহে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। মস্কো চুক্তিতে রয়েছে সারাকিব রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত শহর হিসেবে পরিচিত থাকবে; অথচ এরদোগানকে সেটি মেনে আসতে হয়েছে। রাশিয়া সিরিয়ার সেনারা এম-৪ ও এম-৫ এলাকায় বিচরণ করছে,

৪. তুরস্ক সিরিয়ার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, বসত- এসবের গুরুত্ব দিয়েছে। অপর দিকে পুতিন জাতিসঙ্ঘ আখ্যায়িত ‘সন্ত্রাসী’ গ্রুপকে বের করে দেয়ার বিষয়কে পাত্তা দেয়নি।

৫. এই চুক্তিতে তুরস্ক সীমান্তে বাফার জোনের নিরাপত্তার প্রতি কোনো জোর দেয়া হয়নি, অথচ তুরস্কের জন্য বাফার জোন যেন ‘হট কেক’।

৬. তুরস্কের অবজারভেশন পোস্ট নিয়েও সন্তোষজনক সমাধান হয়নি। রাশিয়ার সেনা কৌশলীরা বলেছেন, ‘এগুলো ক্ষণিক সময়ের জন্য।’ এগুলোর ওপর সিরিয়া বাহিনী গতবার হামলা চালিয়েছিল। যারা তুরস্ক বাহিনীকে যমের মতো ভয় করে, তাদের নাকের ওপর সিরিয়া সরকারের বাহিনীর ‘নাচানাচি’ তুরস্ককে সহ্য করতে হচ্ছে। অনেকে বলেছেন, তুরস্কের জন্য চুক্তিটি অবমাননাকর।

৭. চুক্তিতে বলা আছে সকল পক্ষের মধ্যে আলোচনার সুযোগ করে দেয়া হবে। বুঝা যায়, তুরস্ক ও সিরিয়া আলোচনার টেবিলে আসুক- এটা পুতিন চান। তবে এর আগে যে ‘আদানা চুক্তি’ হয়েছিল তার অনেক শর্ত আসাদ সরকার পালন করেনি। আগামী আলোচনায় এসব বিষয় পথরোধ করতে পারে।

৮. ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে ‘সোচি চুক্তি’ সম্পাদিত হয়েছিল। সেখানেও তুরস্ক সীমান্তে গোলযোগ না করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বাশার আল আসাদ বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে এবং রাশিয়া ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে সোচি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে।

৯. সিরিয়া থেকে পুতিন এখন লিবিয়াতেও হাত বাড়িয়েছেন। সেখানে জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত সরকারের বিরোধী মিলিশিয়া নেতা জেনারেল হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছেন। অপর দিকে এরদোগান হাফতারের বিপক্ষে ও সরকারি বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছেন। এখানেও রাশিয়া তুরস্ক ও পরস্পর মুখোমুখি। রুশ নেতা পুতিন কোনোভাবেই দামেস্ক হাতছাড়া করতে চাইছেন না। এরদোগানও ইদলিব ও সেফজোন ছেড়ে যাবেন না। রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্ক কখন কিরূপ পরিগ্রহ করে, তা বলা মুশকিল,

১০. হায়াতুত তাহরির আল শাম, সংক্ষেপে, এইচটিএসকে জাতিসঙ্ঘ ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করেছে। এরা এম৪ এর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছে। ইদলিবে এইচটিএসের এলাকাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ‘পাওয়ার সেন্টার’।

তাই আলোচ্য চুক্তি বাস্তবায়নে এইচটিএস বড় ফ্যাক্টর। ইদলিবে এইচটিএসকে প্রতিহত করা তুরস্কের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এক সময় তুরস্ক তাহরির আল শামের বিরোধিতা করেছিল, যুদ্ধ করেছিল এবং তাদের সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছিল। ওরা সিরিয়ায় ছায়া সরকার গঠন করে নাম দিয়েছে ‘সিরিয়ান স্যালভেশন সরকার’।

তুরস্কও অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে সিরিয়ায়। এরা পরস্পর সঙ্ঘাতমুখী দু’টি পক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দলের আবু মোহাম্মদ আল জোলানি ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে যুদ্ধে যোগ দেন। ফ্রি সিরিয়ান আর্মি বা এসএনএকে তুরস্ক সহযোগিতা করে থাকে। মার্চ ২০২০ সালে ডাচ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ইদলিবে হায়াতুত তাহির আল শাম তুরস্কের সৃষ্ট বিদ্রোহী দল। তবে যুদ্ধের চাইতে যুদ্ধের কূটনীতি, অর্থ প্রদান, দলে বিভাজন সৃষ্টি, উপঢৌকন প্রেরণ, কর্তৃত্ব প্রদান এসবের মাধ্যমে এদের পরাস্ত করা সম্ভব। কেননা এদের ১৪০টির বেশি উপদল রয়েছে, যারা মূলত সুন্নি মজহাবের। বেশির ভাগের উদ্দেশ্য, কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠা। তাই বিষয়টি জটিল।

বর্ণিত চুক্তিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়নি, যেমন রাশিয়ার ঘাঁটি, তেলকূপ, বিমানঘাঁটি স্থাপন, অবরোধ ব্যতীত তুর্কি পণ্য ঢুকতে না দেয়া ইত্যাদি। নগদ যেটি পাওনা, তা হলো যুদ্ধ থেমে যাওয়া। ফেব্রুয়ারির শেষ ও মার্চের শুরুতে তুরস্ক ব্যাপক আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছিল। তুরস্ক তা করলে এমনকি বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারত। নিদেনপক্ষে বড় ধরনের আঞ্চলিক যুদ্ধ হতো। আপাতত সেটি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু এ যুদ্ধবিরতি কত দিন টিকবে? আলোচনার দিনই রাশিয়া অস্ত্রবোঝাই তৃতীয় জাহাজ প্রেরণ করেছে সিরিয়ায়। এ দিকে এরদোগান চেয়েছেন ন্যাটোর সহায়তা। তুরস্ক ইদলিব থেকে পিছু হটলে সিরিয়ায় অন্য যেসব এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেগুলোতেও আসাদ বাহিনী আক্রমণ চালাবে এবং এলাকাগুলো তুরস্কের হাতছাড়া হতে পারে। সঙ্কটাপন্ন সময়ে তুরস্কের ধৈর্য প্রশংসার দাবিদার।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us