হাইপারসোনিক অস্ত্র বানাবে জাপান

অন্য দিগন্ত ডেস্ক | Mar 16, 2020 06:32 am
হাইপারসোনিক অস্ত্র

হাইপারসোনিক অস্ত্র - সংগৃহীত

 

নিজস্ব প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র উৎপাদনের রূপকল্প প্রণয়ন ও উন্নয়নের জন্য গবেষণায় অগ্রগতি করছে জাপান। এই পদক্ষেপই নিশ্চিত করে যে দেশটি সামরিক সামর্থ্য আরো বৃদ্ধি করতে চাইছে। ভবিষ্যতে নতুন আরো কী ধরনের হুমকি আসতে পারে তা চিন্তাভাবনা করছে দেশটি। সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার উপায়ের বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় আরো সমৃদ্ধ অস্ত্র ভাণ্ডার গড়ে তুলতে চাইছে তারা।

প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস এজেন্সির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাপানি ভাষায় লিখিত একটি নথিতে দেশটির সরকার বলেছে, হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল (এইচসিএম) এবং হাইপার ভেলোসিটি গ্লাইডিং প্রজেক্টাইল (এইচভিজিপি) এই দুই ধরনের অত্যাধুনিক হাইপারসোনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

এইচসিএম এমন একটি ব্যবস্থা যেটি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হবে এবং এটি একটি সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দেখাবে। তবে এটি অনেক বেশি দ্রুত গতিতে সমুদ্রে চলাচল করতে পারবে এবং দীর্ঘ পরিসরে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে। অন্য দিকে এইচভিজিপিতে সম্পূর্ণ কঠিন জ্বালানি শক্তি নির্ভর রকেট ইঞ্জিন থাকবে, যা বেশি উচ্চতায় ধারাবাহিকভাবে ওজন বহনের ক্ষমতা ও মিসাইল নিক্ষেপের সময় তার গতি স্বয়ংক্রিয়ভাবেও বাড়িয়ে দেবে।

জাপানের রূপকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সাল থেকে ২০২৮ সালের সীমার মধ্যে উভয়ের প্রাথমিক সংস্করণ মাঠে আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি, বহন ও নিক্ষেপের জন্য সর্বাধুনিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে দেশটি এর নকশা তৈরি করেছে এবং কঠিন জ্বালানি ইঞ্জিন প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি গ্রহণ করছে। তারা ২০৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে এসব পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাপান বেশ কয়েক বছর ধরে হাইপারসোনিক অস্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

তবে বেশ কিছু জায়গাতে হাইপারসোনিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে আরো অনেক কাজ বাকি রয়েছে জাপানের।

সূত্র : ইয়াহু নিউজ

ইরানকে পরমাণু সমঝোতা মেনে চলার আহ্বান ইইউর

পার্সটুডে 


ইরানকে পরমাণু সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। ওই ইউনিয়ন মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে দাবি করেছে, এই আন্তর্জাতিক চুক্তি রক্ষা করার ক্ষেত্রে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে ইইউ।

পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেটিও ইইউর বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সময় ইরানের প্রতি এ আহ্বান জানাল যখন গত দুই বছর ধরে তারা তেহরানকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকা একতরফাভাবে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরান ঘোষণা করে, সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি দেশগুলো এটিতে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তেহরানও তা বাস্তবায়ন করে যাবে।

কিন্তু তখন থেকে এখন পর্যন্ত ইইউ মৌখিকভাবে তাদের প্রতিশ্রতি রক্ষা করার কথা বলে আসলে বাস্তবে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারি ইরান ঘোষণা করে, তার পক্ষে একতরফাভাবে আর পরমাণু সমঝোতার ধারাগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এ সমঝোতারই ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, অন্য পক্ষগুলো যদি সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে ইরান আংশিক বা পুরোপুরিভাবে নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখতে পারবে। তেহরান এর আগে ইউরোপকে সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, তারা যদি পরমাণু সমঝোতা মেনে তেহরানকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা দিতে পারে তাহলে ইরানও এ সমঝোতা আবার মেনে চলতে শুরু করবে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us