করোনাভাইরাস কবে বিদায় নেবে জানলেন গবেষকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 03, 2020 07:21 pm
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস - সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দুনিয়া। আর পৃথিবীর মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত যেমন হুহু করে বাড়ছে, তেমনি চলছে মৃত্যুমিছিলও। আর এই পরিস্থিতিতে আরো আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসির (সিআইডিআরএপি) গবেষকেরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের মহামারী শেষ হতে দুই বছর লাগতে পারে। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসবে না। একই রকম আভাস আগেও দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

গবেষণায় মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস এমন মানুষও ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে, যাদের দেখে মনে হতে পারে তারা অসুস্থ নয়। অর্থাৎ সেই মানুষরা আক্রান্ত হয়েও একেবারেই উপসর্গহীন। ভারতেও সম্প্রতি এমন বহু রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে, যাদের কোনো উপসর্গই ছিল না। গবেষকরা জানিয়েছেন, যেকোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। যখন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে, তখনই এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

পৃথিবীর সমস্ত দেশের উদ্দেশেই তাদের সতর্কবার্তা, সব দেশের সরকারকে প্রস্তুতি নিতে হবে যে, এই মহামারী এখনই শেষ হচ্ছে না। সাধারণ মানুষকেও এখন থেকে মানসিকভাবে দৃঢ় ও সতর্ক থাকতে হবে যে, আরো দু'বছর এই ভাইরাস তার খেল দেখাবে। এই গবেষণাপত্র লিখেছেন সিআইডিআরএপির পরিচালক মাইকেল ওস্টারহলম, চিকিৎসাবিজ্ঞান–বিষয়ক পরিচালক ক্রিস্টেন মুর, তুলান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ হিস্টোরিয়ান জন বারি ও হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের রোগতত্ত্ববিদ মার্ক লিপসিচ। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই মহামারির সঙ্গে ১৯১৮ সালের মহামারি স্প্যানিশ ফ্লুর সঙ্গে মিল রয়েছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এইচ চেন স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি মডেল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। যে রিপোর্ট বলছে, এই করোনাকে কাবু করতে এই সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং রাখতে হতে পারে ২০২২ সাল, অর্থাৎ দুই বছর পর্যন্ত। গবেষকদের দাবি, শুধু লকডাউনে করোনার জব্দ করা প্রায় অসম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় না রাখলে দিন দিন আরো বাড়তে পারে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ওই গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, 'করোনাভাইরাসের উপর লাগাতার নজর রাখার জন্য মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। সারা বিশ্বের তথ্যের ভিত্তিতে তা তৈরি করা হচ্ছে। আরও তথ্য প্রয়োজন।'

গবেষকদের দাবি, লকডাউন উঠে গেলে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের নিয়মও শিথিল করে নিলে ফের বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। শুধু তাই নয়, তখন অনেক দেশেই সংক্রমণে লাগাম টানা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। এমনকী এ দেশের বহু জায়গাতেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না। সেই প্রবণতাও মারাত্মক বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

সূত্র : এই সময়

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us