ভারতে হঠাৎ কেন বাড়ছে করোনার প্রকোপ?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Aug 01, 2020 07:15 pm
ভারতে হঠাৎ কেন বাড়ছে করোনার প্রকোপ?

ভারতে হঠাৎ কেন বাড়ছে করোনার প্রকোপ? - ছবি : সংগৃহীত

 

লকডাউন বহাল থাকলেও কার্যত তবে আনলকের প্রাধান্য বেশি। ভারতের অর্থনীতি ফেরাতে কর্মক্ষেত্র খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার। আর এর ফলেই জুলাই মাসে অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। ১১ লাখ ছুঁয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এক মাসেই দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। মোট সংক্রমণের দিক থেকে ভারত এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের ওপরে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। ভারতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৬ হাজার ৩৯১ জন। আর মারা গেছে ৩৬ হাজার ৬৬২ জন।

পরিসংখ্যান বলছে জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ভারতে করোনা থাবায় পড়েছেন ৩৫ হাজার জন। গত তিন দিনে সেই সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫০ হাজার। প্রতিদিনই আগের দিনের চেয়ে রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এই কারণ যে লকডাউন তুলে নেয়া তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি এটাও ঠিক ভারতে আগের থেকে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে অনেক বেশি। জুনে যেখানে পরীক্ষা হয়েছে ৮৮ লক্ষ, জুলাই মাসে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটিরও বেশি। বৃহস্পতিবার করোনা টেস্টে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। এক দিনে পরীক্ষা হয়েছিল সাড়ে ছয় লাখ। তবে করোনার যেরকম বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে সেখানে এক দিনে ১০ লাখ করোনা পরীক্ষার দিকে জোর দিচ্ছে ভারত সরকার।

করোনার প্রাদুর্ভাব প্রথম থেকেই ছিল। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় সেই সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু এখন পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যাও বাড়ছে। যা স্বাভাবিক। সংক্রামিত বেশিরভাগের মধ্যেই এই রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। তাই শনাক্ত করা অসম্ভব ছিল। তবে যদি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোয় এর মধ্যে অনেকগুলো অ্যাসিম্পটোমেটিক কেসও এখন শনাক্ত করা যাচ্ছে। এর ফলে রোগের বিস্তারকে নির্ণয় করে তা রুখতে পারা সম্ভব হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

যে হারে মৃত্যু বাড়ছে দেশের প্রতিটি রাজ্যে, সেই প্রেক্ষাপটে করোনার সামাজিক সংক্রমণ নিয়েই এখন সকলে চিন্তিত। আর তা হবে নাই বা কেন? যেকোনো অতিমারীর ক্ষেত্রে ভয়ের জায়গাটাই এই সামাজিক সংক্রমণ। আর আশঙ্কাকে সত্যি করে করোনা থাবা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না কোনো ভারতের রাজ্যেই। এক দিনে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা এবং মৃত্যু দেখিয়ে দিচ্ছে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’কে অস্বীকার করার উপায় নেই কোনো রাজ্যের।

যদিও বিজ্ঞানী-গবেষক মহলের মত, ভারতে সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। তাদের মত মানুষের কাছ থেকে বিষয়ে লুকিয়ে আদপে ক্ষতিই ডেকে আনছে ভারতের সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে মানুষের মনে স্বচ্ছতা তৈরি না হওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়েও কেউ ভাবছে না, সুরক্ষাও নিচ্ছে না। তাই অনায়াসেই সামাজিক পর্যায়ে নিজের দাপট কায়েম করতে পারছে করোনা।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us