যেভাবে চেনা যায় ফুসফুসের ক্যান্সার

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Aug 13, 2020 09:09 am
যেভাবে চেনা যায় ফুসফুসের ক্যান্সার

যেভাবে চেনা যায় ফুসফুসের ক্যান্সার - ছবি : সংগৃহীত

 

এখন প্রায়ই ফুসফুস বা লাং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা যায়। জেনে নেয়া যাক কেন হয় এই লাং ক্যান্সার।

১) ধূমপান, এটি হলো ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ।
২) ধূমপান না করেও, ধূমপানকারী ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩) পরিবারে যদি কারোর ক্যান্সার থেকে থাকে।
৪) অত্যাধিক পরিবেশ দূষণ, ক্ষতিকর ধোঁওয়ার আশেপাশে থাকলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫) আর্সেনিক, অ্যাসবেস্টোস, ক্রোমিয়াম বা এই জাতীয় মৌলগুলোর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

রোগের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে সমান ধরণের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। ফুসফুসে টিউমারের আকৃতির উপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো।

১) অত্যাধিক কাশি। কারো কারো আবার কাশির সঙ্গে রক্ত পড়ে।
২) শ্বাসকষ্ট
৩) বুকে ব্যথা
৪) গলার স্বরের পরিবর্তন
৫) ওজন কমে যাওয়া
৬) ঘন ঘন মাথাব্যথা
৭) শরীরের বিভিন্ন হাড় ও গাঁটে ব্যথা
৮) অবসাদ
৯) স্মৃতিশক্তি লোপ এবং ভারসাম্যহীন চলন ভঙ্গি
১০) রক্তপাত এবং রক্তপিণ্ডের সৃষ্টি

লাং ক্যান্সারের প্রকার
১) স্মল সেল লাং ক্যান্সার যারা প্রচুর পরিমাণে ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার দেখা দেয়।
২) নন স্মল সেল লাং ক্যান্সার নন স্মল সেল লাং ক্যান্সারের অধীনে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার রয়েছে। এতে মূলত স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা, অ্যাডিনোকার্সিনোমা ও লার্জ সেল কার্সিনোমা দেখা দেয়।

পর্যায়
স্টেজ-০, স্টেজ-১, স্টেজ-২, স্টেজ-৩ ও স্টেজ-৪ এই পাঁচ ধরনের পর্যায়ে বিভক্ত করা হয় ফুসফুসের ক্যান্সারকে। তবে ফুসফুসে ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে খুব কমই ধরা পড়ে। মূলত স্টেজ-৩ অবস্থায় থাকাকালীন এটি বেশি ধরা পড়ে। '

এই রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে রোগ নির্ণয়
১) বায়োপসি।
২) রক্ত পরীক্ষা এবং কফ পরীক্ষার মাধ্যমে।
৩) এক্সরে।

প্রাথমিক ক্ষেত্রে, এইসব পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে লাং ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসা লাং ক্যান্সার চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে রোগের পর্যায় নির্ণয় করে তবেই চিকিৎসা করা হয়। পাশাপাশি রোগীর শারীরিক অবস্থার কথাও বিবেচনা করেন চিকিৎসকেরা।
১) প্রথম পর্যায় হিসেবে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে থাকেন। যাতে ক্যান্সার কোষগুলো অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
২) অস্ত্রোপচারের পর কেমোথেরাপির একটা কোর্স দেয়া হতে পারে।
৩) অস্ত্রপ্রচার না হলে রেডিওথেরাপি দেয়া হয়।
৪) যদি ক্যান্সার অত্যন্ত বেশি পরিমাণ ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ স্টেজ-৩ তে ধরা পড়ে তবে কেমোথেরাপি দেয়া হয়।

এর থেকে মুক্তি পেতে আমাদের প্রথমেই ছাড়তে হবে ধূমপান। এছাড়াও পলিউশন, ধোঁওয়া ইত্যাদি থেকে আমাদের দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us