প্রতিরক্ষায় তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে!

সুমিত কুমার সিং | Sep 17, 2020 08:39 am
প্রতিরক্ষায় তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে!

প্রতিরক্ষায় তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে! - প্রতীকী ছবি

 

পাকিস্তান তার প্রতিরক্ষা সেক্টরে নির্মাণকে গতিশীল করার লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও সমতাবিধানের নীতির আলোকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কের কাছ থেকে পাকিস্তান সহায়তা চেয়েছে। উল্লেখ্য, তুরস্ক বর্তমানে প্রতিরক্ষা সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ব্লকে উদীয়মান শক্তির মর্যাদা পাওয়ার চেষ্টা করছে।
সূত্রটি জানায়, দেশীয় প্রতিরক্ষা নির্মাণ বাড়ানোর লক্ষ্যে পাকিস্তান সরকার নতুন প্রতিরক্ষা উৎপাদনের নীতি প্রণয়ন করেছে। তারা প্রতিরক্ষা সমতাবিধান নীতিও প্রস্তুত করছে। প্রাথমিক প্রতিরক্ষা সমতাবিধান নীতি প্রণীত হয়েছিল ২০১৪ সালে।

এতে আরো বলা হয়, নতুন নীতি প্রতিরক্ষা গবেষণা, উন্নয়ন ও ম্যানুফেকচারিং শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে। এছাড়া রাষ্ট্রয়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি স্বায়ত্তশাসন দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয় আরো দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য ভেতর থেকেই পুনর্গঠিত হচ্ছে।

সূত্র জানায়, পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে চায়, রাজস্ব সৃষ্টি করতে চায়, চাকরির সুযোগ বাড়তে চায়। বেসরকারি সেক্টরগুলোকে প্রতরক্ষা ম্যানুফেকচারিং খাতে সুযোগ দেয়া হবে।
পাকিস্তান এই খাতে বিপুল বিনিয়োগের পরিকল্পনাও করছে।
প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ইসলামাবাদকে সহায়তা করার জন্য আঙ্কারা পাকিস্তানের অস্ত্র কারখানার সাথে চুক্তি করছে। তারা অনির্দিষ্ট সংখ্যক রাইফেল, এসএমজি (সাবমেশিন গান)-পিকে, এমপি-৫ অ্যাসাল্ট রাইফেল ও জি৩এস অ্যাসাল্ট রাইফেল সরবরাহ করবে।

চলতি বছরের প্রথম দিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান দুই দিনের সফরে পাকিস্তান যান। তার লক্ষ্য ছিল প্রায় প্রতিটি খাতেই তাদের অংশীদারিত্ব জোরদার করা। এরদোগানের সাথে থাকা তুর্কি প্রতিনিধিদলের ছিলেন বিনিয়োগকারী, শিল্প করপোরেট প্রধান, ব্যবসায়ী ও মন্ত্রী। ওই সফরের সময় তিনি জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।

সূত্র : আইএএনএস

তুরস্কের সাথে আলোচনায় প্রস্তুত গ্রিস

ডেইলি সাবাহ ও পার্স টুডে

তুরস্কের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস। ভূমধ্যসাগর থেকে তুর্কি অনুসন্ধানী জাহাজ ওরুচ রেইস সমুদ্রবন্দরে ফিরে যাওয়ায় তিনি অভিনন্দন জানান। এ সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

রোববার গ্রিক প্রধানমন্ত্রী থেসালোনিকি শহরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভূমধ্যসাগর থেকে তুরস্কের আনাতোলিয়া বন্দরে ওরুচ রেইসের ফিরে যাওয়াকে ‘প্রথম ইতিবাচক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যদি উত্তেজনা কমানোর দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ দেখি... আমিই প্রথম আলোচনার টেবিলে বসব। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সাধারণ কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই আলোচনা শুরু হবে।
গত মাসে তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি অনুসন্ধান আবার শুরু করার পর থেকে এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে। কিরিয়াকোস বলেন, ফান্সের মিরাজ-২০০০ এর বদলে ১৮টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান নেয়া হবে। যার প্রথম চালান ২০২১ সালে মাঝামাঝিতে এসে পৌঁছাবে আর বাকিগুলো ২০২২ সালের শুরুতে।

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, অ্যাথেন্স অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নাম লেখাবে না এবং অতীতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে ভুল হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হবে না। লিবিয়া ও সিরিয়াকে কেন্দ্র করে তুরস্কের সাথে এরই মধ্যে ফ্রান্সের সাথে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই মধ্যে গ্রিসের সমর্থন ফ্রান্স যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। আবার শনিবার ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল যুদ্ধবিমানসহ নতুন নতুন অস্ত্র ক্রয়ের ঘোষণা করেছে গ্রিস।

এ দিকে ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে উত্তেজনা চলার একই সময়ে কৃষ্ণসাগরে আরেকটি অনুন্ধান জাহাজ পাঠাচ্ছে তুরস্ক। এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী ফাতেহ দোনমাজ রোববার বিকেলে এক টুইটার বার্তায় জানান, তার দেশ কৃষ্ণসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আরেকটি জাহাজ পাঠাচ্ছে। শিগগিরই ‘কানুনি’ নামের জাহাজটি তার কাজ শুরু করবে বলে জানান মন্ত্রী; অবশ্য কৃষ্ণসাগরের ঠিক কোন জায়গায় এ অনুসন্ধান চালানো হবে, তা জানাননি দোনমাজ।

তুরস্ক সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারের সঙ্গে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান বিষয়ক চুক্তি সইয়ের পর থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের খনিজসম্পদ নিয়ে তুরস্ক, গ্রিস ও সাইপ্রাসের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। গ্রিসের বিরোধিতা সত্ত্বেও সাগরের বিতর্কিত এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। এ জন্য তারা সাগরে গবেষণা ও অনুসন্ধান জাহাজ পাঠিয়েছে। অন্য দিকে গ্রিস তুরস্কের জাহাজকে নজরদারি করার জন্য তার সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us