জেসিন্ডা আর্দের্ন ; বিশ্বের সফল ‘করোনা-যোদ্ধা’

মৃণালকান্তি দাস | Oct 27, 2020 09:08 am
জেসিন্ডা আর্দের্ন

জেসিন্ডা আর্দের্ন - ছবি : সংগৃহীত

 

প্রত্যাশিতই ছিল। তবে বাস্তবে প্রত্যাশার কয়েকগুণ বেশি প্রতিফলন দেখা গেল। বিপুল ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন সরকার লেবার পার্টি। ফলাফলের অঙ্ক বলছে, লেবার পার্টির ঝুলিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ ভোট। বিরোধী ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে জেসিন্দা আর্দের্ন। মূলত দুটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে এবার নির্বাচনের পথে হেঁটেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমত, করোনার মতো মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আর দ্বিতীয়ত সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই।

২০২০’র গোড়া থেকেই করোনা ভাইরাস মহামারী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। সেই সময় এই দ্বীপদেশটিই তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভালো লড়াই করেছিল। গোড়া থেকে সুনির্দিষ্টভাবে লকডাউনের পথে হেঁটে দীর্ঘ কয়েক মাস কোভিডের কামড় থেকে মুক্ত ছিল নিউজিল্যান্ড। এর পিছনে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডার মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনাই যথাযথভাবে কাজ করেছিল। যদিও এত সাফল্যের পরও শেষপর্যন্ত সম্পূর্ণ করোনামুক্ত থাকতে পারেনি দেশটি। তবে সংক্রমণের হার খুবই নগণ্য। এই পরিস্থিতির জন্য নিউজিল্যান্ডবাসীও সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছিল, জনমত অনেকটাই হেলে জেসিন্ডা আর্ডের্নের লেবার পার্টির দিকে। কোভিডের বিরুদ্ধে জেসিন্ডার লড়াই এখন গোটা দুনিয়ার আলোচ্য বিষয়।

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০। চীন থেকে আসা বা চীনে গত ১৪ দিনে ভ্রমণ করেছেন এমন সকল পর্যটকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নিউজিল্যান্ড। ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে প্রথম কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। একইসঙ্গে ইরান থেকে আসা সব পর্যটকের ভাগ্যেও একই নিষেধাজ্ঞা জোটে। ১৫ মার্চ কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ জন অতিক্রম করে এবং দেশটি নিজেদের সীমান্ত বহিরাগতদের জন্য বন্ধ করে দেয়। এর দশ দিনের মাথায় দেশজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন।

২২ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে নতুন করে কেউ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত না হওয়ার মধ্যেই ৯ জুন থেকে লকডাউন তুলে দেয়া হয়। এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আবারো শুরু হয়। ১৬ জুন ভ্রমণরত দুই ব্রিটিশ নাগরিকের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার পর থেকে ২২ জুন পর্যন্ত নতুন করে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র সাতজন।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত সফল দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডই সেরা। গোটা পৃথিবী যখন হন্যে হয়ে ফ্ল্যাটেনিং দ্য কার্ভের জন্য সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত, তখন এই দেশটি যে সেই সমাধান সফলভাবে খুঁজে বের করেছে। এবং তা সফলভাবে প্রয়োগও করেছে। ২৭ মে যখন আমেরিকায় করোনা ভাইরাসের জন্য মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়, নিউজিল্যান্ডে তখন একজনও নতুন করে আক্রান্ত হয়নি। এমনকি সেই সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একমাত্র রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ভয়াল চেহারা ধারণ করলেও নিউজিল্যান্ড আপাতত এর বিস্তার রোধ করে দক্ষতার পরিচয়ই দিয়েছে।

কিন্তু মাত্র ৭৫ দিনে কীভাবে আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাতে ফিরে যেতে পারল? প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্নের কথায়, এ এক ‘দীর্ঘমেয়াদি এবং টেকসই প্রচেষ্টা’ যার জন্য দেশটির নাগরিককে ধন্যবাদ দেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের প্রথম লক্ষ্য ছিল, যেভাবেই হোক, সারাদেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করতে হবে। ফলে লোকাল ট্রান্সমিশন বা স্থানীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বন্ধ করার জন্যই তাদের সবচেয়ে বেশি প্রচেষ্টা ছিল। ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডে কোভিড ১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা যখন ১০০ জন অতিক্রম করে, তখনই নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং বিদেশফেরত সকলকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা সেদিন তার বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমাদের দ্রুততার সঙ্গে কঠোর অবস্থানের দিকেই যেতে হবে।”

এর ১০ দিন পর দেশজুড়ে ৪ সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করা হলেও তা পরবর্তীতে ৭৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই দীর্ঘ সময়ে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, ফার্মেসি, হাসপাতাল এবং গ্যাস স্টেশন খোলা ছিল। জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়, নিজের বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ারও কোনো সুযোগ ছিল না। গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও সীমিত আকারে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল চালু থাকে। নিউজিল্যান্ডের জনগণও আস্থা রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপর।

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার করে টেস্ট করার সক্ষমতা নিউজিল্যান্ডের আছে, যা জনসংখ্যা অনুযায়ী পরীক্ষার দিক থেকে অনেক বেশি। শ্বাসতন্ত্রের যেকোনো সমস্যা থাকলেই টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, পাশাপাশি দেশজুড়ে গণহারে পরীক্ষা করার ব্যাপারেও সরকার উদ্যোগ নেয়।

শুধু পরীক্ষা নয়, এর পাশাপাশি কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যাপারে আলাদা তহবিল গঠন করে বানানো হয় নিউজিল্যান্ড কোভিড ট্রেসার নামে মোবাইল অ্যাপ। সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়াতে অনেক আগেই এই অ্যাপ ছাড়া হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডে দেরিতে ছাড়া হলেও ফলাফল অতি দ্রুতই দেখা দেয়। ফলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা সবাইকে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করা সম্ভব হয় এবং দরকার হলে আইসোলেশনেও পাঠানো হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে যদি কখনও করোনা ভাইরাস ছড়ানো শুরু করে, তখনও এই অ্যাপ এর সাহায্যে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করে তা বন্ধ করা সম্ভব। অর্থাৎ শুধুমাত্র বর্তমান নয়, ভবিষ্যতের জন্যও এই মোবাইল অ্যাপ অনেক উপকারী।

নিজেদের ভৌগলিক অবস্থানও একরকম আশীর্বাদ হয়ে ওঠে এই দ্বীপরাষ্ট্রের জন্য। তাই অন্য রাষ্ট্রের মতো নিজেদের স্থল সীমানা দিয়ে কোভিড-১৯ এর প্রবেশ নিয়ে বেশি চিন্তাও করতে হয়নি তাদের। এছাড়াও আকাশ এবং নৌপথে দেশে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনকে অবহেলা করার সুযোগ কেউ পায়নি।

করোনাকালে দেশের জনগণ যেন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে, সেজন্য স্বাস্থ্যখাতকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় জেসিন্ডা আর্ডার্নের সরকার। জেসিন্ডা তার ও সরকারের সব মন্ত্রীর বেতন ২০ শতাংশ কমিয়ে দেন। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাড়ানো হয় বরাদ্দ। নিজেদের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ সমান আইসিইউ থাকার পড়েও বাড়ানো হয় আইসিইউ এর সংখ্যা। ডাক্তারদের জন্য নিশ্চিত করা হয় উচ্চমানের পিপিই। এছাড়াও লকডাউনের সময় বন্ধ থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩ বিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলারের একটি বিল সংসদে পাশ করা হয়।

২০১৯-এর মার্চে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্দের্ন যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছিলেন এবং দেশের মুসলিম বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতেই বোঝা গিয়েছিল তার প্রকৃত স্বরূপ। নিজে রীতিমতো বোরকা, হিজাব পরে স্বজনহারা পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বুঝিয়েছিলেন, দেশের সংখ্যালঘুদের উপর এমন আঘাত নেমে এলে তিনিও নিমেষে সংখ্যালঘু হয়ে যেতে পারেন এবং সেটাই তার সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হিসেবে দেখেছিলেন ক্রাইস্টচার্চের মুসলিম সম্প্রদায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুযায়ী, অমুসলমানদের দ্বারা সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার তুলনায় মুসলমানদের দ্বারা সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা গণমাধ্যমে ৩.৫৭ গুণ বেশি আলোচিত হয়। শুধু গণমাধ্যমই না, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অনেক বিশ্বনেতার ট্যুইট বার্তায়ও দুই ধরনের হামলার ক্ষেত্রে শব্দ চয়নে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তাই ১৫ মার্চ ২০১৯-এ যখন নিউজিল্যান্ডের দু’টি মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী, ইসলামবিদ্বেষী সন্ত্রাসীর মেশিনগানের এলোপাথাড়ি গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়, তখন প্রথমে অনেকেরই আশঙ্কা ছিল, এই হামলার ঘটনাও হয়তো ‘টেররিজম’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে না।

কিন্তু হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে সেই হামলাকে ‘টেরোরিস্ট অ্যাটাক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বলেন, ‘‘যারা আহত বা নিহত হয়েছে, তাদের অনেকেই অভিবাসী এবং শরণার্থী হিসেবে নিউজিল্যান্ডে এসেছে দেশটিকে নিজেদের দেশ মনে করে। এবং এটি তাদেরই দেশ। বিপরীতে যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, তারই বরং নিউজিল্যান্ডে কোনো স্থান নেই।’’ শুরু থেকেই জেসিন্ডা আর্দের্ন প্রচার করে আসছেন শান্তি, সহানুভূতি এবং সহমর্মিতার বাণী। দেশে দেশে পপুলিজম তথা লোকরঞ্জনবাদের উত্থানের এই যুগে তাঁর এই ভূমিকাই যেন বিশ্ববাসীর কাছে হয়ে উঠেছে অবিশ্বাস্য। সঙ্কটময় মুহূর্তে যোগ্য নেতার মতো আচরণ করে তিনি যেন অন্যান্য দেশের নেতাদের সীমাবদ্ধতাগুলো, তাদের ভুল অবস্থানগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

জাসিন্ডা কেট লরেল আর্ডের্ন, সংক্ষেপে জাসিন্ডা আর্ডের্ন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৭ সালে। গত ১৫০ বছরের ইতিহাসে তিনি সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের বেনজির ভুট্টোর পর তিনিই বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী, যিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে নিজের শিশু সন্তানসহ উপস্থিত হয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, সন্তান জন্মদান তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। জাসিন্ডা আর্ডের্ন নিজেকে একজন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এবং প্রগ্রেসিভ রাজনীতিবিদ হিসেবে দাবি করেন। ২০১৭ সালে তিনি যখন তার দলের প্রধান নির্বাচিত হন, তখন তা নিউজিল্যান্ডের জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার দল রেকর্ড সংখ্যক অনুদান লাভ করে। একের পর এক গণমাধ্যমে উপস্থিতি তার জনপ্রিয়তাকে শীর্ষে নিয়ে যায়, যা জাসিন্ডা ইফেক্ট বা জাসিন্ডাম্যানিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে।

জাসিন্ডা ক্ষমতায় আসেন অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং শিশুদের দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। বিশ্বের পপুলিস্ট নেতারা যেখানে ক্ষমতায় আসেন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিষাদাগার করে, সেখানে বরাবরই জাসিন্ডার অবস্থান ছিল সকলের প্রতি উদার এবং সহানুভূতিশীল। ক্ষমতায় আসার পর তার সরকার পাপুয়া নিউ গিনি এবং নাউরুতে আটকে পড়া শরণার্থীদেরকে নিউজিল্যান্ডে এনে আশ্রয় দেয়। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবুল কালামের উপদেষ্টা সৃজন পাল সিং ট্যুইটারে মন্তব্য করেন, মাত্র ৩৮ বছর বয়সী জাসিন্ডা এই দুঃসময়েও জাতিকে যেভাবে একত্রে ধরে রেখেছেন, তা তার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী বিশ্বের অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য শিক্ষণীয়।

ক্ষমতায় আসার পরপরই জাসিন্ডা আর্ডার্নকে সংবাদমাধ্যম ‘অ্যান্টি ট্রাম্প’ হিসেবে উপাধি দিয়েছিল। এই দুঃসময়েই জাসিন্ডা সেটা প্রমাণ করেছেন। সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, আমেরিকা নিউজিল্যান্ডকে এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, তিনি উত্তর দেন, “মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি এবং ভালোবাসা প্রকাশ করার মাধ্যমে।”

এহেন ৪০ বছর বয়সী জেসিন্ডা দ্বিতীয়বারের জন্য দেশের প্রশাসক পদে বসছেন। জয়ের পর তিনি বলছেন, ‘৫০ বছর ধরে আপনারা লেবার পার্টির সমর্থনে ভোট দিয়ে চলেছেন। এই সমর্থনকে আমরা মোটেই হেলায় গ্রহণ করছি না। প্রত্যেক নিউজিল্যান্ডবাসীর সুবিধায় কাজ করবে নতুন সরকার।’

সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us