সত্যের নানা রূপ

ড. মাহবুব হাসান | Feb 27, 2021 01:34 pm
সত্যের নানা রূপ

সত্যের নানা রূপ - ছবি : অন্য এক দিগন্ত

 

২০১৯-এর শেষ দিন ছিলো আনন্দ উৎসবের। গোটা আমেরিকার মানুষই প্রতিবছর এই ক্ষণটি কাটায় নানা আনন্দ আয়োজনে। টাইম স্কোয়ারে পালিত হয় বর্ণাঢ্য উৎসব। সেখানে মানুষের এমনই ঢল নামে যে অনেকে ইচ্ছা থাকলেও ওই ভিড়ের ভয়ে যায় না। টাইম স্কোয়ারের চারপাশের অনেক রাস্তাই জনস্রোতে ভেসে ভেসে মাহেন্দ্রক্ষণ ১২টা বাজার অপেক্ষা করে। রাত বারোটায়, মানে ২০২০-এর শুরুর সময়টিকে স্মরণীয় করতেই আয়োজন হয়েছিলো। আমরা টিভির পর্দায় দেখেছিলাম সেই উদযাপনের দৃশ্য।

সেদিন আমরা নিউ ইয়র্কের এক গৃহকোণে জড়ো হয়েছিলাম নতুন বছরের ক্ষণটি সেলিব্রেট করতে। অর্থাৎ আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে। কিন্তু সেই আড্ডা পরিণত হলো ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে। আর তা রূপ পেলো আলোচনার মুডে। ব্যক্তিগত স্মৃতির ফোকড় গলিয়ে তা আমাদের সাংস্কৃতিক চিন্তার ভেতর দিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে শানিয়ে নিতেই যেন উদগ্র হলো।

আমি ছিলাম এই আয়োজনে একান্তই বহিরাগত একজন। বাকিরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও মনি ভাবী (কামরুন মনি), কাজী জহিরুল ইসলাম ও মুক্তি জহির, নভো ও জল, সারোয়ার সাহেব ও তার স্ত্রী আর আমি। যার বাসায় আমরা জড়ো হয়েছিলাম তিনি আমাদেরই বন্ধু জুবায়ের হোসেন এবং মিতা হোসেনের বাসা। সেটা লং আইল্যান্ডের ওয়েস্টবেরিতে।

ভুল থেকেই আমরা শিখি। সেটা দিয়েই শুরু হলো কথা। মিতা হোসেন তার ছেলের রেফারেন্সে সূচনা করেন। সত্য বটে, ভুল থেকেই শেখে। ভুলটা কী তা বড়ো নয়, আমরা যে সেই ভুল থেকে শিখছি নিয়তই, আর সেই ভুল দ্বিতীয়বার করছি না, মূল কথাটা হচ্ছে তাই। সবাই এটা স্বীকার করলেন। আমিও কি করলাম? হয়তো। কারণ আমি তো দেখছি আজকাল ভুল করে তাকেই শুদ্ধ বা সঠিক বলে চালানো হচ্ছে। সেটা পরিবার থেকে হচ্ছে কি না বলতে পারবো না, কিন্তু সমাজে তা হচ্ছে, চোখের সামনে হচ্ছে, সেটা আমরা দেখছি, শুনছি এবং তার রাজনৈতিক ব্যবহারও হচ্ছে দেশে দেশে, তা নিয়েও আড্ডা-আলোচনা হচ্ছে। আমার পালা এলে বললাম, এটা একটি সামাজিক রীতি। সমাজ শিখিয়েছে যে এগুলো ভুল বা অন্যায়, সমাজে বাস করতে হলে এগুলো করা যাবে না। সমাজের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতেই সমাজপতিরা এমনটা নির্ধারণ করেন বা করেছিলেন। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে এ সব যুক্তির ওপরেও যুক্তিহীন বিষয় আছে। ধর্মকে কোনো রকম সামাজিক যুক্তি দিয়ে বিচার বা বিশ্লেষণ করা দুরূহ। অ্যাবসুলিউট সত্য বা মিথ্যা বলে কি কিছু আছে? এ-দুটি শব্দই যুক্তি-অযুক্তি ও যুক্তি-অযুক্তির ঊর্ধ্বের এমন এক অবস্থানে আছে যা ব্যাখ্যা করা কঠিন।

সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাই ধরা যাক। তিনি মনে করেন, কোনো অন্যায় বা ভুল তিনি করেননি। তিনি কোনো মিথ্যা বলছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিয়তই মিথ্যা বলেন বা বলছেন। ট্রাম্প হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভদের ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে ইমপিচড হন। অর্থাৎ তিনি একজন অযোগ্য লোক প্রেসিডেন্সি চালানোর ক্ষেত্রে। ইমপিচড হলে লজ্জিত হওয়া এবং সেই লজ্জা থেকে বাঁচতে পদত্যাগ করাই শ্রেয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু ট্রাম্প পদ ছাড়েননি। তিনি অপেক্ষা করেন সিনেটের ভোটাভুটির জন্য। সিনেটে গরিষ্ঠ ছিলো তার দল, মানে রিপাবলিকানরা। ফলে সেখানে ট্রাম্পকে অভিসংশন করা হবে না বা তারা জিতে যাবে। তার মানে তাঁকে প্রেসিডেন্সি হারাতে হবে না। ক্ষমতা তার অটুট থাকবে। এটাই ছিলো ট্রাম্পের ভাবনা। আর এটাই সত্য। তবে অ্যাবসুলিউট সত্য নয়। এগুলো হলো যুক্তি। এ-সব যুক্তির পরও বলা যায়, ট্রাম্পের উচিত আত্মসমালোচনা করা। তিনি কী করেছেন এবং কী করছেন, তা বিচার করে নিজের সম্মান রক্ষা করা। আর তাঁর কাছে মনে হয় যে তিনি সত্য ও সঠিকই করেছেন। তিনি অন্যায় করেননি। ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও যুক্তি তার কাছে সত্য, তা ইউনিভার্সাল না হলেও সেই সত্য, পুরোপুরি মিথ্যা নয়।

আরো একটা উদাহরণ দেয়া যাক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা যে রাতের আঁধারে ভোট কাস্ট করেছেন, তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি গণতন্ত্রের। কারণ তিনি যে উন্নয়ন করছেন তার জন্য শেখ হাসিনার পুনরায় ক্ষমতায় থাকাই জরুরি। সেই জরুরি কাজটাই তিনি করেছেন। চানক্যের নীতি হচ্ছে, ছলে-বলে-কৌশলে ক্ষমতায় থাকাটাই সত্য। সেই কৌশল হিসেবেই তিনি এবং তার দল রাতের আঁধারে কাজটা সম্পন্ন করেছেন। তাঁর কাছে এটা সত্য। আর বিরোধীদের কাছে এটা হচ্ছে চরম অন্যায়, যাকে তারা বলছেন, ভোটডাকাতি। নির্বাচন কমিশন সেই রাতের আঁধারে বিজয়ীদের নির্বাচিত বলে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। এটাও তো সত্য। এই সত্যকে উল্টে দেয়া যাবে না। তবে একবার কেউ যদি ক্ষমতায় বসে যায় তাকে কি নির্বাচন কমিশন উল্টে দিতে পারে? সংবিধানে এর কোনো সমাধান আছে বলে মনে হয় না। থাকলে সেটা খুঁজে বের করা উচিত। উচিত এ-জন্য যে তাতে করে রাজনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন হবে।

‘আমরা আর কোনো নির্বাচন রাতেরবেলা সম্পন্ন হতে দিতে পারি না’-এ রকম ভাষ্যই পত্রিকায় পড়েছি সিইসি নূরুল হুদার জবানিতে। পত্রিকাওয়ালারা কি সঠিক রিপোর্ট করেছেন? নাকি রিপোর্ট টুইস্ট করে ছাপানো হয়েছে? জানি না। কারণ বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর নতজানু নীতি বা সরকারের মুখপাত্রে পরিণত হওয়ার কথাই পড়েছি। সাহস বলে যে শব্দটি জার্নালিস্টদের মধ্যে ছিলো তার মৃত্যু হয়েছে। শুনেছি এটা হয়েছে দুটি কারণে। এক. এতে সরকার ও সরকার প্রধান নাখোশ হবেন। তাতে করে ভবিষ্যতে তিনি কিছু পাওয়ার আশা করতে পারেন না রাজনৈতিক সরকারের কাছে থেকে।

কিন্তু বিরোধী দলের বা সত্যান্বেষী সাংবাদিকরা কেন সাহস করে কোনো প্রশ্ন করেন না? প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে কজন এবং কারা কারা প্রশ্ন করবেন, তা পূর্বেই নির্ধারিত হয়। বিরোধী মনোভাবাপন্ন সাংবাদিকের পক্ষে প্রশ্ন করার সুযোগও নেই। শুধু তাই নয়, তারা ওই সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার দাওয়াতপত্রও পান না। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগই থাকে না। এটাই হচ্ছে চরম সত্য, বাংলাদেশে। এই সত্য অস্বীকার করতে পারবে না সরকার বা তাদের বশংবদরা। আবার এটাও সত্য যে ওই বিরোধী চেতনার সাংবাদিকরা যদি এমন প্রশ্ন করেন, যা প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় বা হবে, এই ভয়ে বশংবদরা কোনো রকম ঝুঁকি নেন না।

সেটা প্রধানমন্ত্রী জানেন কি জানেন না, সেটাও এক ধরনের সত্য, যা লুকোছাপার ভেতরেই থাকে। প্রধানমন্ত্রী কেবল চাটুকার সাংবাদিকদের পছন্দ করেন আমার এটা মনে হয় না। এটাও একটি সত্য। আবার তিনি চাটুকারবেষ্টিত সাংবাদিকদেরই পছন্দ করেন তার সংবাদ সম্মেলনে, এটাও আরেক সত্য। দুটোই সত্যের ভিন্ন ভিন্ন রূপ।

অন্যায় বা সত্যপ্রকাশের জন্য বাংলাদেশে কত সাংবাদিককে নিগৃহীত হতে হয়েছে, জেলে গিয়ে পচতে হয়েছে, মামলার শিকার হয়েছে, হামলার শিকার হয়েছে, আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে, তার পরিসংখ্যান আমরা জানি। সারা পৃথিবীতেই এখন সাংবাদিকরা রাজনৈতিক সরকারের ও তাদের সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এই সত্য শেখ হাসিনা মানবেন না। ট্রাম্প মানবেন না। রাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতাবানরা মানবেন না।
অর্থাৎ সত্যের যেমন ভিন্ন ভিন্ন রূপ আছে তেমনি মিথ্যারও আছে।

কোনোটাই অ্যাবসুলিউট নয়। এই সত্য-মিথ্যার ঊর্ধ্বেও আরেক সত্য আছে যা কোনো যুক্তিতেই প্রকাশ করা যায় না। যেমন শেখ হাসিনা কায়মনোবাক্যে একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তিনি নিজের ধর্ম পালন করেন এবং অন্যের ধর্ম পালনের ব্যাপারে ততটাই আগ্রহী। দুটোই সত্য। এই দুটি সত্য যিনি ধারণ করেন সেই সরকার প্রধানের আমলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতিনিয়তই উৎখাত করা হচ্ছে এবং তা সরকারি দলের রাজনীতিকদের সরাসরি অংশগ্রহণে, এই সত্য কি আমরা সমাধানে নিয়ে যেতে পারব? সেক্যুলার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং তার চর্চা যিনি করেন, তার পক্ষে সকল পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করাই যৌক্তিক। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে সেই যুক্তি তো এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টিকছে না। নিগৃহীত ও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অনেক হিন্দু পরিবার, যারা জন্মগতভাবে এ দেশের মানুষ।

কিন্তু সরকার তো নীরব। সরকার এই নীরব-দস্যুতার অবসান করতে পারছে না বা করছে না। তাহলে কি বলব তার কি নীরব সম্মতি আছে? নীরবতা সম্মতির লক্ষণ। এটাও আরেক রকম সত্যরূপ। এসব সত্যের পরও কিছু সত্য আছে যা গুমরে মরছে, যা প্রকাশিত হয় না জনসমক্ষে। ধরুন, ক্ষমতাবান চান ন্যায়সাধনে, কিন্তু তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা তা চান না দলীয় স্বার্থে। কখনো কখনো সেই স্বার্থ দৈশিক। সেই দৈশিক স্বার্থ আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের অনেক অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার ও খুনের প্রতিবাদ করতে পারে না বাংলাদেশ ও তার রাজনৈতিক সরকার। গত পঞ্চাশ বছরে সীমান্তে ভারতের বিএসএফের হাতে খুন হয়েছে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। সেগুলোর কোনো কড়া প্রতিবাদ হয়নি। সীমান্তে ফ্লাগবৈঠক হয়েছে বটে কিন্তু গুলি করে হত্যা বন্ধ হয়নি। পাল্টা হিসাবে একটা ভারতীয় লোককেও গুলি করেনি বিডিআর বা বিজিবি।

আবার এই সত্য আমরা কি করে সমর্থন করব যে আসামের যে ১৯ লাখ মানুষকে বহিরাগত বা বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু-মুসলিম বাঙালি বলে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে, চাপ দেয়া হচ্ছে, তা আসলে মিথ্যারই এক জ্বলন্ত রূপ, এক মহাজালিয়াতি। এন আর সি ও সিএএ নামক জুজুর খেলা খেলছে ভারতের মোদি সরকার, যারা রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্মান্ধ, হিন্দুত্ববাদী। পশ্চিমা একজন ইতিহাসবিদ ও গবেষক বলেছেন, প্রায় হাজার বছর ভারত উপমহাদেশ শাসন করা মুসলমানরা যদি চাইতো তাহলে আজ ভারতে একজনও হিন্দু থাকত না। এটা চরম সত্য। স্প্যানিশরা চায়নি যে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে তাদের সভ্যতা বাঁচুক তাদের ধর্মীয় ও ভাষার বৈচিত্র্য নিয়ে। ব্রাজিল বাদে গোটা এলাকার দেশগুলোই স্প্যানিশ ভাষা কায়েম হয়েছে এবং তার সাথে তারা তাদের ধর্ম বটিকাও গিলিয়েছে। ১৪৯২ সালের পর এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকায় এবং উত্তর আমেরিকায়ও। এই রকম সত্য তো ভারতে প্রতিষ্ঠার সহজ সুযোগ ছিল মুসলিম শাসকদের। তারা সেটা করেনি বলেই আজ ভারতের মুসলমানদের উৎখাত করতে প্রকাশ্যে আরএসএস-এর শিষ্য মোদি-অমিত শাহরা গোটা ভারতকে নরক বানাচ্ছে। ইউনিয়ন স্টেটের রাজনৈতিক অসুবিধা হচ্ছে, আজ এই প্রশ্নে আলাদা হয়ে যেতে পারে যে কোনো স্টেট।

অমিত-মোদিরা প্রকাশ্যেই বলেছে যে ভারত কেবল হিন্দুদের দেশ, অন্য কোনো ধর্মের মানুষ এদেশে বাস করতে পারবে না বা নাগরিক হতে পারবে না। আজকের এই সত্য বিশ্বব্যাপী ভারতের রাজনৈতিক চেহারায় যে কালি মেখে দিচ্ছে, তা কি সহজে মোছা যাবে? যাবে না। বিশ্বের নানা কোণের প্রজ্ঞার অধিকারী মানুষরা প্রতিবাদ করছে মোদি সরকারের। সিএএ ও এনআর সি বাতিলের দাবি তাদের। নাগরিকদের সুখে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ দেবার জন্য অন্ধ মোহ ত্যাগেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাদের চেনে বিশ্বের বিদ্যাপাড়ার লোকেরা, চেনে রাজনীতি পাড়ার লোকেরা চেনে প্রজ্ঞার আলোয় বসবাসকারীরা। ভারতের অরুন্ধতী রায় বা রমনি থাপারই কেবল নয়, সদ্য নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বিনায়ক ব্যানার্জিও আছেন। আছেন আমেরিকার সবচেয়ে বিতর্কিত অ্যাক্টিভিস্ট নোয়াম বা নোম চমস্কিসহ অনেকেই। ভারতের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমেছে এর প্রতিবাদে। তিনজন মেয়ে, যারা এমএ-তে গোল্ড মেডেল পেয়েছে, সমাবর্তের অনুষ্ঠানেই মোদির নীতির প্রতিবাদ করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এ-সব সত্যের ব্যাখ্যা কি দিয়ে করা যায়? বা যাবে? অমিত শাহরা চায় দেশটা কেবল হিন্দুদের হোক। এটা সামজিক সত্য নয়। এটা পলিটিক্যাল সত্যও নয়, তবে এই সত্যের সাথে লেগে আছে একধরনের রাজনৈতিক অন্ধত্ববাদী সত্য। সে সত্যও আবার অ্যাবসুলিউট নয়। ন্যায় হচ্ছে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করা। ধর্ম তার আচরিত কালচারের প্রধান অঙ্গ, প্রধান প্রবাহও বটে, তবে তার সাথে আছে তার জীবনাচারের নানা অনুষঙ্গ। সব মিলিয়েই একজন মানুষ, পূর্ণাঙ্গ মানুষ। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন, তাদেরকে আমি মানুষ হিসেবে গণ্য করতে রাজি নই। তারা মনুষ্যাকৃতির বটে, তবে তারা সাব-হিউম্যান স্তরেই রয়ে গেছে। মোদি-অমিত সেই শ্রেণীর প্রাণী।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us